এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > সাঁতরাগাছি থেকে মেচেদা – চরকিপাক খেয়েও রাজীব কুমারের টিকিও ছুঁতে পারলোনা সিবিআই

সাঁতরাগাছি থেকে মেচেদা – চরকিপাক খেয়েও রাজীব কুমারের টিকিও ছুঁতে পারলোনা সিবিআই


একি ভোজবাজি! নাকি আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপের জিন এর কারসাজি ? কোথায় গেলেন বর্তমান গোয়েন্দাপ্রধান রাজীব কুমার ? রাজ্যের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত ছুটে বেরিয়েও কিছুতেই নাগালে পাচ্ছেনা সিবিআই তাঁকে। কোন মন্ত্র বলে তিনি পুরোপুরি ভ্যানিশ হয়ে গেছেন। সিবিআই কোমর বেঁধে নেমেও তাঁর কোন হদিস পাচ্ছে না। সারদা মামলার তথ্য বিকৃতির অভিযোগে সিবিআই প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার কে হাজিরার নোটিশ পাঠায়। জেরা এড়াতে গোয়েন্দাপ্রধান হাইকোর্টে মামলা করে।

কিন্তু সে মামলার রায় সিবিআইয়ের পক্ষেই যায় এবং সিবিআই রাজীব কুমারকে তাঁদের দপ্তরে ডেকে পাঠায়। কিন্তু হাইকোর্টের রায় বেরোনোর পরেই রাজীব কুমার হঠাৎ করেই যেন উবে যান। সিবিআই রাজীব কুমারকে ধরতে তাঁর বাড়ি অব্দি পৌঁছে যায়। কিন্তু সেখানেও রাজীব কুমারের হদিস মেলে না। এরপর সিবিআই তন্নতন্ন করে গোটা শহর জুড়ে রাজীব কুমারের খোঁজ চালাতে থাকে। কিন্তু রাজীব কুমার এর ছায়াও মেলে না। তাহলে কোথায় গেলেন রাজীব কুমার? এমন কোন জায়গা আছে যেখানে সিবিআইয়ের হাত পৌঁছাতে পারছে না ?

গত 11 দিন ধরে সিবিআই এর তরফ থেকে শহরের বিভিন্ন কোণায় কোণায় খানাতল্লাশি চালিয়ে রাজীব কুমারের হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। শুধুমাত্র শহর কলকাতাতেই সিবিআইয়ের তল্লাশি থেমে নেই। শহর থেকে জেলা, বিভিন্ন প্রান্তে সিবিআইয়ের গাড়ি ছুটে চলেছে অবিরাম। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না।

অন্যদিকে, সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্স থেকে সিবিআইয়ের দল এদিন সাঁতরাগাছি থেকে মেচেদা পর্যন্ত চলে যান। বিভিন্ন তথ্য মারফত রাজীব কুমারের হদিসের খবর শুনে মেচেদা গিয়ে সিবিআই বিভিন্ন হোটেলে রাজীব কুমার সম্পর্কে খোঁজখবর নেন। চলে বিভিন্নজনকে জেরা। দু ঘন্টা ধরে অভিযান চলার পরেও রাজীব কুমারের কোন খোঁজ পাওয়া যায় না। অবশেষে ক্ষান্ত দিয়ে সিবিআই এর দল পুনরায় কলকাতা অভিমুখে যাত্রা শুরু করে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রসঙ্গত, সারদা মামলায় তিনটি নোটিশ পাঠানোর সাথে সাথে রোজভ্যালি কাণ্ডের নোটিশও রাজীব কুমারের নামে পাঠানো হয়েছে সিবিআই এর তরফ থেকে। যদিও কোনটির জন্যই রাজীব কুমার এখনো পর্যন্ত সিবিআই অফিস অর্থাৎ সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দেননি। এদিন সিবিআই এর তরফ থেকে জানা গেছে, বিভিন্ন সূত্র থেকে খবর আসছে রাজীব কুমারের লুকিয়ে থাকার। কিন্তু সিবিআই পৌঁছানোর আগেই রাজীব কুমার সে জায়গা থেকে পুরোপুরি উধাও হয়ে যাচ্ছেন।

সিবিআই এর দাবি, রাজীব কুমারের নিরুদ্দেশ সম্পর্কে বিভিন্ন সাহায্য এবং আইনগতভাবে নানার অর্থ সাহায্য করে চলেছেন বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী। যারা ইতিমধ্যে সিবিআইয়ের সন্দেহের খাতায় নাম তুলে ফেলেছেন। ইতিমধ্যে তাঁদেরকে জেরাও করা হয়েছে।

সিবিআই গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, রাজীব কুমারকে প্রযুক্তিগত দিক থেকে সিবিআই ধরার চেষ্টা করেছিল কিন্তু রাজীব কুমার সেখানেও টক্কর দিয়েছেন সিবিআইকে। রাজীব কুমার সিবিআইদের বিভ্রান্ত করতে উচ্চতর প্রযুক্তির সাহায্য নিয়েছেন। গোয়েন্দাদের দাবি রাজীব কুমার তথ্যপ্রযুক্তির চূড়ান্ত সুবিধা নিচ্ছেন। রাজীব কুমার তাঁর আইনজীবী এবং ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে কথা বলার জন্য ভয়েস ওভার ইন্টারনেট প্রোটোকল অর্থাৎ ভিওআইপি প্রযুক্তির মাধ্যমে ফোন ব্যবহার করছেন। যারফলে, তার আইপি অ্যাড্রেস কোনমতেই ট্র্যাক করা যাচ্ছে না। অর্থাৎ তিনি কোথায় আছেন তার কোন হদিস পাওয়া যাচ্ছে না।

রাজীব কুমার হদিস পেতে সিবিআই মরিয়া হয়ে উঠেছে। এই মুহূর্তে দিল্লি থেকে 10 জন দুঁদে অফিসার কলকাতা এসেছেন রাজীব কুমারের খোঁজ পেতে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত তারা অসফল। অন্যদিকে, রাজীব কুমারকে নিয়ে এখনো পর্যন্ত রাজ্য সরকারের তরফ থেকে কোন সদুত্তর পাওয়া যায়নি।

নিয়ম অনুযায়ী, কোন আইপিএস অফিসার ছুটিতে গেলে রাজ্য ডিজিকে সেই সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য দিয়ে যাওয়া নিয়ম। কিন্তু সিবিআই এর তরফ থেকে রাজ্য ডিজি বীরেন্দ্রকে এ সম্পর্কে চিঠি দিয়ে রাজীব কুমারের হদিস জানতে চাইলে, তিনি তা জানাতে অসমর্থ হন। বিরোধীদের দাবি, রাজীব কুমার যদি ধরা পড়ে, তাহলে তদন্তে এমন অনেক মুখ উঠে আসতে পারে যাতে শাসক দল বিপদে পড়বে। তাই তাঁরা রাজীব কুমারের হদিসের ব্যাপারে সিবিআইকে ইচ্ছাকৃতভাবেই কোন সাহায্য করছে না। রাজীব কুমারের এর হদিস পেতে সিবিআই এবার কোন বিশেষ পদক্ষেপ নিতে চলেছে কিনা সেদিকে তাকিয়ে তামাম রাজনৈতিক মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!