মমতা সরকার ‘হিন্দু-বিরোধী’? ‘হাতে-গরম’ প্রমান নিয়ে ময়দানে খোদ বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি! কলকাতা তৃণমূল বিজেপি রাজনীতি রাজ্য September 10, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্যের শাসকদলের সঙ্গে বিজেপির রাজনৈতিক সংঘাত নিয়ে রাজনীতির প্রেক্ষাপট সবসময়ই সরগরম হয়ে রয়েছে। সেইসঙ্গে একুশের আসন্ন বিধানসভা ভোট – কার্যত আগুনে ঘিয়ের মতোই কাজ করছে। আর তাই জনমানসে নিজেদের প্রভাব বিস্তারের জন্য – এই দুই যুযুধান পক্ষের তীব্র রাজনৈতিক তরজা সর্বদাই চাক্ষুষ করতে হচ্ছে বাংলার আমজনতাকে। প্রসঙ্গত তৃণমূলে কংগ্রেস সর্বদাই বিজেপিকে হিন্দুত্ববাদ বা কেন্দ্রের অর্থনৈতিক টালমাটাল পরিস্থিতি নিয়ে আক্রমন করে চলেছে। আর এবার, মমতা সরকারকে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি ‘হিন্দুবিরোধী’ আখ্যা দিয়ে রাজনৈতিক ময়দান আরও সরগরম করে তুললেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। ফলে আগামীদিনে দুই দলের মধ্যে রাজনৈতিক সম্পর্কের পরিবেশ আরও উত্তপ্ত হতে চলেছে বলেই মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, এতদিন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ দাবি করেছিলেন, গেরুয়া শিবিরকে রুখতেই রাম মন্দির ভূমি পুজোর দিন রাজ্যে লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজ্য প্রশাসন। আর এবার সেই সুরেই সুর মেলাতে দেখা গেলো বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাকে। রাম মন্দিরের ভূমিপুজোর দিন লকডাউন করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আদতে তাঁর হিন্দুবিরোধী মনোভাবেরই পরিচয় দিয়েছেন বলেই দাবি জানান তিনি। তবে সেই সঙ্গে মমতা সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি ফাবি করেন, এসব করে তিনি তাঁর স্বার্থ সিদ্ধি করতে পারবেন না। বাংলায় বিজেপি সরকারই বিজয়ী হবে। তাঁর মতে, মমতা সরকারের জনবিরোধী নীতি, মানবতা বিরোধী নীতি বেশিদিন টিকে থাকতে পারবে না। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - তিনি এদিন দ্ব্যর্থহীন ভাষায় জানিয়ে দেন, রাম মন্দিরের ভূমিপুজোর দিন বাংলায় লকডাউন করে তৃণমূল নেত্রী তাঁর হিন্দুবিরোধী মনোভাবেরই পরিচয় দিয়েছেন। তাঁর আরও দাবি, ভোটব্যাংকের কথা মাথায় রেখেই নাকি এরকম ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বিজেপি যে আসন্ন নির্বাচনে হিন্দু ভোটব্যাংককে লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে নিয়েছে সেকথা ইতিমধ্যেই স্পষ্ট। তাই রাম মন্দিরকে নিয়েই মানুষের মনে জায়গা করে নিতে চেষ্টা করছেন তারা বলেও দাবি উঠেছে। তবে অপর ক্ষেত্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধেও ধর্মভিত্তিক রাজনীতি করার অভিযোগ মাথা চাড়া দিচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই, সেই দাবিতে সবথেকে বেশি সোচ্চার হয়েছে গেরুয়া শিবির। কিন্তু, ইদানীংকালে প্র্যা একই দাবি সব যাচ্ছে বামফ্রন্ট বা কংগ্রেস নেতাদের গলাতেও! এদিকে, আজ নিজের বক্তব্যে মমতা সরকারকে শুধু হিন্দু বিরোধী না, শান্তিনিকেতনের রবীন্দ্রভারতীর পাঁচিল ভাঙার ঘটনা থেকে শুরু করে পরিযায়ী শ্রমিকদের রাজ্যে ফেরার ঘটনাকেও জেপি নাড্ডা তুলে ধরেছেন। তাঁর কথায় মুখ্যমন্ত্রী যতই বলুন যে রাজ্যের করোনা সংক্রমনের ক্ষেত্রে অন্য রাজ্য থেকে আসা পরিযায়ী শ্রমিকরাই দায়ী এবং অন্য রাজ্য ইচ্ছা করে এই কাজ করেছে। সেক্ষেত্রে বলতে হয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই কিন্তু চাননি পরিযায়ী শ্রমিকরা রাজ্যে ফিরুক। যে কারণেই তিনি ভিন রাজ্য থেকে আসা ট্রেনগুলোকে করোনা এক্সপ্রেস বলে সম্বোধন করেছিলেন। তবে বাংলার অরাজকতা যে এবার শেষ হবে, অবশেষে ফুল ফুটবে বাংলায় সেই আশাই তিনি দেখিয়েছেন। বিজেপি সভাপতির এহেন বিস্ফোরক মন্তব্যের পর – তৃণমূলের তরফে কি প্রতিক্রিয়া আসে আপাতত সেদিকেই তাকিয়ে সকলে। আপনার মতামত জানান -