এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > উপনির্বাচনে জোট হলেও বামের ভোট কি কংগ্রেস পাবে? দলীয়স্তরেই জল্পনা চরমে

উপনির্বাচনে জোট হলেও বামের ভোট কি কংগ্রেস পাবে? দলীয়স্তরেই জল্পনা চরমে

 

রাজ্যের 3 বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনকে পাখির চোখ করে জোট করতে প্রস্তুত বাম এবং কংগ্রেস। কিন্তু শীর্ষ নেতৃত্ব জোটের বার্তা দিয়ে নিচুতলায় বিভ্রান্তি কাটাতে চাইলেও, সেই নিচুতলার আপত্তির জেরেই এবার কি সেই বাম এবং কংগ্রেসের জোট ভেস্তে যেতে চলেছে! ইতিমধ্যেই এই বিষয়টি নিয়ে জোর জল্পনা তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলের অন্দরমহলে।

জানা যায়, কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে কংগ্রেসের বিধায়ক প্রমথনাথ রায় মারা যাওয়ার কারণে এই কেন্দ্রের বিধানসভা উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আর বিধানসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণা হওয়ার অনেক আগেই কংগ্রেস তাদের প্রার্থী হিসেবে সেই প্রয়াত প্রমথনাথবাবুর মেয়ে ধীতশ্রী রায়ের নাম ঘোষণা করে দিয়েছে।

পাশাপাশি বামেদের পক্ষ থেকেও এই কালিয়াগঞ্জে কংগ্রেস প্রার্থীকে সমর্থন করা হবে বলে খবর। কিন্তু বাম শীর্ষ নেতৃত্ব এই আশা রাখলেও উত্তর দিনাজপুর জেলায় কংগ্রেসের নিচুতলার একাংশ বামেদেরকে এই ব্যাপারে শায়েস্তা করতে চাইছে বলেই মত রাজনৈতিক মহলের। যার ফলে এই কেন্দ্রে বাম এবং কংগ্রেস উপরে উপরে জোট করলেও আখেরে লাভের লাভ কিছুই হবে না বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

কিন্তু কেন বামেদের নিচুতলার একাংশের ক্ষোভ রয়েছে কংগ্রেসের প্রতি! বস্তুত, সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে রায়গঞ্জে বামেরা মহম্মদ সেলিমকে প্রার্থী করলে পাল্টা কংগ্রেসের পক্ষ থেকে প্রার্থী করে দেওয়া হয় দীপা দাশমুন্সিকে। যার ফলে বাম-কংগ্রেস জোটের আশা করলেও তাতে জল পড়ে যায়।

নির্বাচনী প্রচারে মহম্মদ সেলিম এবং দীপাদেবী একে অপরের বিরুদ্ধে তীব্র বিষোদগার করতে শুরু করেন। যার জেরে এই রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রের চতুর্মুখী লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত জয়ী হন বিজেপির দেবশ্রী চৌধুরী। আর তাই সদ্য শেষ হওয়া লোকসভায় নিজেদের পরাজয়ের গ্লানি ভুলতে এবার এখানে কংগ্রেস প্রার্থীকে চাপে রাখার কৌশল নিচ্ছেন নিচুতলার বাম নেতাকর্মীরা বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর এই ঘটনা নিঃসন্দেহে চিন্তা বেড়াচ্ছে দুই রাজনৈতিক দলেরই। যার ফলে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তাহলে কি এত ঘটা করে জোট করলেও শেষ পর্যন্ত অতীতের পরাজয়ের গ্লানি ভুলতে বামিরা কংগ্রেসের প্রতি প্রতিশোধ নেবে! তাহলে এই জোট করে লাভটা কি!

এদিন এই প্রসঙ্গে উত্তর দিনাজপুর জেলা সিপিএমের সম্পাদক অপূর্ব পাল বলেন, “গত লোকসভা নির্বাচনে আমাদের দলের প্রার্থীকে কংগ্রেস নেতৃত্ব যেভাবে সমালোচনা করেছিল, সেটা তারা না করলেই পারত। বিধানসভা উপনির্বাচনে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট হলে দলের কর্মীদের অনেকে কংগ্রেস প্রার্থীর হয়ে ময়দানে নামতে রাজি নন বলে জানাচ্ছেন। তাঁরা লোকসভা নির্বাচনের প্রসঙ্গ তুলেছেন। কিন্তু আমাদের দল শৃংখলাবদ্ধ। রাজ্য নেতৃত্ব যে নির্দেশ দেবে, আমরা সেটা কার্যকর করতে পদক্ষেপ গ্রহণ করব।”

তবে বামেদের একাংশ কংগ্রেস প্রার্থীর হয়ে প্রচারে নামার ব্যাপারে অনীহা প্রকাশ করলেও তা নিয়ে অন্য সুর শোনা গেছে কংগ্রেসের গলায়। এদিন এই প্রসঙ্গে উত্তর দিনাজপুর জেলা কংগ্রেসের সভাপতি মোহিত সেনগুপ্ত বলেন, “বিজেপি এবং তৃণমূলকে রুখতে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করেই বামেরা আমাদের প্রার্থীর সমর্থনে কালিয়াগঞ্জে লড়াই করবে। এটাই আজকের সময়ের দাবি।”

অন্যদিকে লোকসভার সাথে উপনির্বাচনের কোনো সম্পর্ক নেই। সিপিএমের উপরমহল জোট চাইছে। তাই নিচুতলায় দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকলেও তা কেটে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন উত্তর দিনাজপুর জেলা কংগ্রেসের সম্পাদক পবিত্র চন্দ। কিন্তু কংগ্রেস নেতৃত্ব যাই বলুন না কেন, যেভাবে বিগত লোকসভা নির্বাচনে তাদের প্রার্থী মহম্মদ সেলিমকে হারিয়ে দেওয়া নিয়ে কংগ্রেসের কোর্টে বল ঠেলছেন জেলার নিচুতলার কর্মীসমর্থকরা, তাতে উপনির্বাচনের এর কোনো এফেক্ট পড়ে কিনা, এখন সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!