এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > উপনির্বাচনে তৃণমূলের “দিদিকে বলো” কি পারবে বিজেপির উত্থান আটকাতে! জোর শোরগোল

উপনির্বাচনে তৃণমূলের “দিদিকে বলো” কি পারবে বিজেপির উত্থান আটকাতে! জোর শোরগোল

 

লোকসভা নির্বাচনে অনেক সিটে তৃণমূলের হারের পেছনে মূল কারণ ছিল, দলীয় নেতাদের সঙ্গে সাধারণ মানুষের যোগাযোগের অভাব এবং নেতৃত্বদের আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়ে যাওয়ার ঘটনা। অর্থ্যাৎ ক্ষমতায় আসার পর তৃনমূল নেতাদের চালচিত্র দেখে এবারের নির্বাচনে ভোটবাক্সে তাদের বিরুদ্ধে মতামত জানিয়েছে সাধারন মানুষ। যার কারণে 42 এ 42 এর স্লোগান তুলে 22 টি আসনেই আটকে যেতে হয়েছে ঘাসফুল শিবিরকে।

অন্যদিকে বিজেপি 18 টা আসন পেয়ে কিছুটা সাফল্য পেয়ে আগামী 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনে বাংলা দখলের জন্য তাদের ব্লুপ্রিন্ট সাজাতে শুরু করেছে। তবে লোকসভায় বিজেপি সাফল্য পাওয়ার পরই তৃণমূল তাদের ঘর গোছাতে শুরু করে। আগামী বিধানসভায় যে বিজেপি তাদের বিরোধী শক্তি, তা অনুধাবন করে প্রশান্ত কিশোরের মত রণনীতিকারকে দলের দায়িত্ব দিয়ে বিভিন্ন জনসংযোগ কর্মসূচি নিতে শুরু করে তৃণমূল কংগ্রেস।

ইতিমধ্যেই “দিদিকে বলো” কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে গোটা বাংলায় তৃণমূল সাধারণ মানুষের অভাব, অভিযোগ শুনতে শুরু করেছে। যা তাদের অনেকটাই সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে এবং তাদের ভাবমূর্তি স্বচ্ছ হচ্ছে বলে দাবি তৃণমূলের ঘনিষ্ঠ মহলের। কিন্তু আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে আর কিছুদিন পরেই তো রাজ্যের তিনটি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন রয়েছে। সেখানে তৃণমূলের এই “দিদিকে বলো” ফ্যাক্টর কি কাজ করবে! এই জনসংযোগ মূলক কর্মসূচির মধ্য দিয়ে তৃণমূল কি বিজেপির উত্থান আটকে দিতে পারবে! এখন এইসব প্রশ্নই ঘোরাফেরা করছে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মনে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বস্তুত, আগামী 25 শে নভেম্বর খড়গপুর, কালিয়াগঞ্জ এবং করিমপুর বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন। আর এর মধ্যে করিমপুর একমাত্র তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে ছিল। তবে খড়গপুর বিজেপির এবং কালিয়াগঞ্জ কংগ্রেসের দখলে ছিল। তাই সেদিক থেকে বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল এই কেন্দ্রটি নিজেদের দখলে নিয়ে বিজেপি তাদের কাছে ফ্যাক্টর নয় বলে প্রমাণ করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। অন্যদিকে বিজেপিও তৃণমূলকে টেক্কা দিতে প্রস্তুত।

ইতিমধ্যেই এই তিন বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপির হেভিওয়েট নেতারা প্রচারকার্য চালাচ্ছেন। তৃণমূলের দাবি, তাদের দিদিকে বলো কর্মসূচিতে সাধারণ মানুষের ব্যাপক সাড়া পাওয়া গেছে। ইতিমধ্যেই দশ লক্ষের বেশি মানুষ তাদের এই কর্মসূচির প্রশংসা করেছেন। সাধারণ মানুষের অভাব, অভিযোগ শুনে তা এই কর্মসূচির মাধ্যমে মেটানো হয়েছে। তাই এবার এই তিন বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে “দিদিকে বলোই” তাদের ভালো ফল করাতে সক্ষম হবে।

অন্যদিকে তৃণমূলের এই দিদিকে বলো ফ্যাক্টর এবারের নির্বাচনী কাজে দেবে না। মানুষ তৃণমূলের বুজরুকি ধরে ফেলেছে বলে জানাচ্ছে গেরুয়া শিবির। তাদের দাবি, বাংলার মানুষ পরিবর্তন চায়। আর তাই তিন বিধানসভা উপনির্বাচনের ফলাফল থেকেই তা প্রমাণিত হয়ে যাবে। যার বৃত্ত সম্পূর্ণ হবে আগামী 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনে। তবে বিজেপির পক্ষ থেকে যে কথাই বলা হোক না কেন, লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের জনসংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার কারণেই যে তাদের এমন ফলাফল হয়েছে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত রাজনৈতিক মহল।

আর তাই তো লোকসভার পরবর্তী সময়ে প্রশান্ত কিশোরের পরামর্শমতো তৃণমূল তাদের এই জনসংযোগ কর্মসূচি করায় তার প্রভাব কিছুটা হলেও আসন্ন 3 বিধানসভা উপনির্বাচনে পড়বে বলে মনে করছেন একাংশ। তবে কি হবে, তা ভোটবাক্স খোলার পরেই বোঝা যাবে বলে দাবি সকলের। আর তাই আগামী 25 নভেম্বর উপনির্বাচনের পর 28 নভেম্বর তৃণমূলের ভোটবাক্স খোলার পর জল কোনদিকে গড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!