এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য তৃণমূলের হেভিওয়েট মন্ত্রীর

বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য তৃণমূলের হেভিওয়েট মন্ত্রীর

অসহিষ্ণুতা ও গণপিটুনি ইস্যুতে বুদ্ধিজীবীরা এখন দ্বিধাবিভক্ত। এ বলে আমায় দেখ, তো ও বলে আমায় দেখ। লড়াই যেন থামতেই চাইছে না কিছুতেই। আর বুদ্ধিজীবীদের এই লড়াই এবার নেমে এসেছে রাজনীতির রণাঙ্গনেও। বস্তুত, সম্প্রতি গণপিটুনি এবং অসহিষ্ণুতা ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন দেশের প্রায় 49 জন বুদ্ধিজীবী। যার মধ্যে অপর্ণা সেন, শ্যাম বেনেগাল, কেতন মেটা, অনুরাগ কাশ্যপ, কৌশিক সেন, সুমন ঘোষ, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, ঋদ্ধি সেনের মতো ব্যক্তিত্বরা রয়েছেন।

কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর কাছে এই বুদ্ধিজীবীরা চিঠি পাঠালেও তার পাল্টা প্রধানমন্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়ে সেই বুদ্ধিজীবীদের খোঁচা দিতে নেমে পড়ে অপর বুদ্ধিজীবী পক্ষ। যা নিয়ে বর্তমানে সরগরম বিভিন্ন মহল। কিছুদিন আগেই প্রধানমন্ত্রীকে অসহিষ্ণুতা ইস্যুতে চিঠি পাঠানোর পর ফোন করে তাকে খুনের হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ জানান বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব কৌশিক সেন।

কেন প্রতিবাদ করলে বারবার হুমকির মুখে পড়তে হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেন বাংলার একাংশ বুদ্ধিজীবী। তবে টলিপাড়ায় বিজেপির প্রভাব বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গেরুয়া শিবিরে যোগদান করা বুদ্ধিজীবীরা বিজেপির পক্ষ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে অসহিষ্ণুতা ইস্যুতে চিঠি পাঠানো বুদ্ধিজীবীদের খোঁচা দিতে শুরু করে। আর এই পরিস্থিতিতে এবার গেরুয়াপন্থী বুদ্ধিজীবীদের কটাক্ষ করে শোরগোল তুলে দিলেন বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদ তথা রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, এদিন “বুদ্ধিজীবী” শব্দটা নিয়েই প্রশ্ন তুলে দেন তিনি। যেখানে সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, “আজকাল তো একটা সিরিয়াল করেই সবাই নিজেকে বুদ্ধিজীবী বলে দাবি করে। কিন্তু এর থেকে আমার গাড়ির ড্রাইভার বেশি বুদ্ধিজীবী। কারণ ও কলকাতার রাস্তায় অত্যন্ত কঠিন অবস্থায় গাড়ি চালায়।” বলতে দ্বিধা নেই যে পরোক্ষে বিজেপির পাশে দাঁড়ানো বুদ্ধিজীবীদেরই এদিন কটাক্ষ করেছেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়।

কিন্তু সুব্রতবাবুর এই কথায় এখন উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। কেন সমাজের বিশিষ্টজনেদের এইভাবে আক্রমণ করবেন তিনি! যিনি নিজেই নির্বাচনের মাটিতে দাঁড়িয়ে পরাজিত, তিনি কি কাউকে এইভাবে আক্রমণ করতে পারেন! তাহলে কি শাসকের বিরোধী হলেই তাকে শাসকের রোষানলে পড়তে হবে! গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে স্বাধীন মতপ্রকাশ করার অধিকার কি কারওর নেই! সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের কথার পর সেই প্রশ্নটা আরও বেশি করে উঠতে শুরু করেছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!