এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > জাতীয় সংগীত নিয়ে ফতোয়া জারির মাঝেই ঐক্যের ছবি দেখা গেল মাদ্রাসায়, জেনে নিন

জাতীয় সংগীত নিয়ে ফতোয়া জারির মাঝেই ঐক্যের ছবি দেখা গেল মাদ্রাসায়, জেনে নিন


ভারতবর্ষ সর্বধর্ম এবং সর্ববর্ণের দেশ। ছেলেবেলা থেকেই সকল মানুষকে আপন করে নেওয়ার শিক্ষাই গোটা ভারতবাসী পেয়েছে। এক্ষেত্রে কোনোকালেই হিন্দু-মুসলিমের দ্বন্দ্ব এই রাষ্ট্রে ছিল না। কিন্তু সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন মহল থেকে অভিযোগ করা হচ্ছিল যে, ভারতবর্ষের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হচ্ছে। যা কিছুটা হলেও ভারতবাসীর মনে ক্ষত তৈরি করেছিল। আতঙ্কিত হয়েছিলেন অনেকেই। কিন্তু এবার এ যেন সম্পূর্ণ বিপরীত ছবি দেখা গেল ভারতবর্ষেরই একটি মাদ্রাসায়।

বস্তুত, যেখানে দেশের বিভিন্ন মাদ্রাসায় জাতীয় সংগীত গাওয়া যাবে না বলে ফতোয়া জারির অভিযোগ উঠছে, ঠিক তখনই উত্তরপ্রদেশের সম্ভল জেলায় মাদ্রাসা মৌলানা মহম্মদ আলি জওহর পাবলিক স্কুলে দেখা গেল এক ভিন্ন চিত্র। যেখানে দিনের শুরুতেই গায়ত্রী মন্ত্র এবং কলমা পাঠ করতে দেখা গেল পড়ুয়াদের।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

শুধু তাই নয়, বন্দেমাতরম এবং ইনক্লাব জিন্দাবাদও ধ্বনিত হয় এই মাদ্রাসায়। জানা যায়, এই উত্তরপ্রদেশের সম্ভল জেলার মাহুভুর গ্রামের এই মাদ্রাসায় গত 2012 সালে সংস্কৃতির প্রচলন হয়েছিল। তারপর থেকে প্রতিদিন এখানকার 170 জনের বেশি পড়ুয়া গায়ত্রী মন্ত্র এবং কলমা পাঠ করেন। কিন্তু যেখানে সারা ভারতবর্ষে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের অভিযোগ উঠছে, সেখানে এই মাদ্রাসা সকলের সামনে মডেল হয়ে দাঁড়াল বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

এদিন এই প্রসঙ্গে এই মাদ্রাসার এক আধিকারিক বলেন, “হিন্দু ও মুসলিম হল সুন্দরী কনের দুটি চোখ। আর সেই সুন্দরী কনে হল আমাদের দেশ ভারত। যদি তার একটি চোখের কেউ ক্ষতি করে, তাহলে কনের সৌন্দর্য নষ্ট হয়। তাই আমরাও কখনও তা চাই না। শিক্ষার্থীরা সকল ধর্ম সম্পর্কে জানুক। আর দেশের অখন্ডতা বজায় থাকুক।” সব মিলিয়ে অসহিষ্ণুতা, গণপিটুনি, সাম্প্রদায়িক হানাহানি অভিযোগের মাঝে উত্তরপ্রদেশের মাদ্রাসা সর্বধর্ম সমন্বয়ের শিক্ষা দিয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!