এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া > পুরুলিয়ায় গেরুয়া শিবিরে ভাঙ্গন অব্যাহত, বড় সংখ্যায় নেতা-কর্মীরা নাম লেখালেন ঘাসফুল শিবিরে

পুরুলিয়ায় গেরুয়া শিবিরে ভাঙ্গন অব্যাহত, বড় সংখ্যায় নেতা-কর্মীরা নাম লেখালেন ঘাসফুল শিবিরে

বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচনে পুরুলিয়ার রঘুনাথপুরে বেশ ভালোই ফল করেছিল বিজেপি। জেলায় শাসক দল তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়িয়ে বিজেপির কোথাও প্রথম, তো কোথাও আবার দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসা রাজনীতিতে চাঞ্চল্যকর মোড় নিয়েছিল। আর সেই ঘটনায় প্রবল চিন্তার ভাঁজ পড়েছিল তোপসিয়ার তৃণমূল ভবনের কপালেও।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, রঘুনাথপুর ১ ব্লকের ১১ আসন বিশিষ্ট বেড়ো গ্রাম পঞ্চায়েতে এবার বিজেপি ৭, তৃণমূল ৩ এবং নির্দল ১ টি আসন পেয়েছিল। ফলে এই পঞ্চায়েতের বিজেপিই যে বোর্ড গঠন করবে সেই ব্যাপারে নিশ্চিত ছিল প্রত্যেকেই। কিন্তু ফলাফল ঘোষণার কিছুদিন পরেই নির্দলের এক সদস্য প্রথমে তৃণমূলে যোগ দেয়।

আর এর কিছুদিন পরেই বিজেপির ৭ জনের মধ্যে মোট ৬ জন সদস্য সেই শাসক দলে যোগদান করে। আর যার জেরে এখানে প্রবলভাবে ধাক্কা পায় বিজেপি। কিন্তু অবশিষ্ট যে একজন সদস্য বিজেপির হাতে ছিল, রবিবার রাতে সেই রঘুনাথপুর ১ ব্লকের বেড়ো গ্রাম পঞ্চায়েতের সেই এক বিজেপির জয়ী সদস্য রবিলাল মান্ডি সহ এলাকার প্রায় ৩০০ জন বিজেপি কর্মীও নিজেদের হাতে তুলে নিল তৃণমূলের পতাকা।

সূত্রের খবর, গত রবিবার নিতুড়িয়ার সরবড়ি পার্টি অফিসে সেই বিজেপি নেতা কর্মীদের হাতে তৃণমূলের পতাকা তুলে দেন স্থানীয় বিধায়ক তথা রঘুনাথপুর বিধানসভার চেয়ারম্যান পূর্ণচন্দ্র বাউরি। কিন্তু হঠাৎ বিজেপি থেকে তিনি কেন তৃণমূলে যোগ দিলেন?

এদিন এই প্রসঙ্গে দলবদলকারী বিজেপির সেই রবিলাল মান্ডি বলেন, “এলাকার আদিবাসীদের উন্নয়নে শামিল হওয়ার জন্যই বিজেপি থেকে লড়াই করেছিলাম। কিন্তু বর্তমানে দেখছি বিজেপি ধর্মীয় রাজনীতি ছাড়া আর কোনো উন্নয়নের কথা বলে না। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নে সামিল হতেই তৃণমূলে যোগ দিলাম।”

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

অন্যদিকে বিজেপির নেতা কর্মীদের তৃণমূলে যোগদেওয়ার প্রসঙ্গে এইদিন তৃণমূল বিধায়ক পূর্ণচন্দ্র বাউরি বলেন, “মানুষ এখানে প্রথমে কিছুটা তৃণমূলের প্রতি ভুল বুঝেছিল। কিন্তু এখন বুঝতে পারছে যে রাজ্যে মমতা দিদির কোনো বিকল্প নেই। তাই যত দিন যাচ্ছে, তত বিজেপি সদস্য সদস্যরা তৃণমূলে নাম লেখাচ্ছেন।”

তবে শুধু রঘুনাথপুর ১ ব্লকের বেড়ো গ্রাম পঞ্চায়েতই নয়, এদিন কাশিপুর বিধানসভার মোট ১৪২ টি পরিবারও বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলের পতাকা নিজেদের হাতে তুলে নেন। জানা গেছে, এদিন এই পরিবারগুলোর হাতে কাশিপুরের কার্যালয়ে দলীয় পতাকা তুলে দেন স্থানীয় বিধায়ক স্বপন বেলথরিয়া।

এদিন এই প্রসঙ্গে স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক বলেন, “মানুষকে ভুল বুঝিয়ে বেশি দিন রাখা যায় না। বিজেপি এতদিন এই পরিবারগুলোকে ভুল বুঝিয়ে এসেছে। আর আজ তারা ভুল বুঝতে পেরেই তৃণমূলে যোগদান করেছে।”

অন্যদিকে তৃণমূলের এই অভিযোগকে অস্বীকার করে জেলা বিজেপির যুব মোর্চার সভাপতি রাজেশ চিন্না এদিন বলেন, “যোগদানের কোন বিষয় জানা নেই। বর্তমানে তৃণমূল বিজেপির সঙ্গে রাজনৈতিক ময়দানে লড়াই করতে পারছে না, আর তাই ভয় দেখিয়ে, পুলিশ দিয়ে আমাদের জয়ী সদস্যদের তৃণমূলে যোগদান করাচ্ছে। আগামী লোকসভা ভোটেই শাসকদল এর যোগ্য জবাব পাবে।”

তবে রাজনৈতিক মহলের মতে, বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচনে যে পুরুলিয়ায় কিছুটা ছাপ ফেলেছিল গেরুয়া শিবির, লোকসভা ভোট আসতে না আসতেই সেইখানে যে এইভাবে নিজেদের গেরুয়া রং ফিকে হয়ে যেতে শুরু করবে তা বুঝতে পারেনি বিজেপি নেতারাও।আর তাই কিভাবে তারা এইখানে নিজেদের দলীয় সংগঠনকে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে মজবুত করবে এখন সেই চিন্তাতেই স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!