এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > কংগ্রেস > কংগ্রেসের শূন্য হয়ে যাওয়ার দায়ে কি এবার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিকে সরতে হবে? বাড়ছে জল্পনা

কংগ্রেসের শূন্য হয়ে যাওয়ার দায়ে কি এবার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিকে সরতে হবে? বাড়ছে জল্পনা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – এবারের বিধানসভা নির্বাচনে বাংলা কতগুলি নতুন ঘটনা দেখতে পেল। একদিকে যেমন তৃণমূলের ঝুলিতে এল ব্যাপক ভোট, ঠিক সেভাবেই বলা যায়, বিজেপির ধর্মীয় মেরুকরণ সেভাবে প্রভাব বিস্তার করতে পারল না। তবে কিছু ক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তার করেছে, যে কারণে বিজেপির ঝুলিতে এসেছে 77 টি আসন। অন্যদিকে বাম কংগ্রেস এবং আই এস এফ তৃণমূল এবং বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করতে জোট বেঁধে ময়দানে নেমেছিল। ভোটের ফলাফল প্রকাশ হবার পর দেখা গেল, শুধুমাত্র আইএসএফ একটি আসন লাভ করতে পেরেছে ভাঙরে। বাকি কোন জায়গায় একটি আসনও অধিকার করতে পারেনি অধীর চৌধুরী কিংবা বিমান বসুরা।

খুব স্বাভাবিকভাবেই স্বাধীনতার পর এই প্রথম বাম কংগ্রেস শূন্য বাংলার বিধানসভা হতে চলেছে। অন্যদিকে ইতিমধ্যেই কংগ্রেসের অন্দরে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীকে নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। প্রসঙ্গত, এবারের নির্বাচনে দেখা গেছে অধীর চৌধুরীর জেলা অর্থাৎ মুর্শিদাবাদে তৃণমূল কংগ্রেসের দাপট। কংগ্রেস রীতিমতো কোণঠাসা মুর্শিদাবাদে। তৃণমূল কংগ্রেস 22 টি আসনের মধ্যে 18 টি দখল করেছে এবং বিজেপি পেয়েছে দুটি। বাকি দুটি আসনে ইতিমধ্যেই ভোটদান স্থগিত রাখা হয়েছে। শুধু মুর্শিদাবাদ, মালদা, উত্তর দিনাজপুর যেখানে কংগ্রেসের প্রভাব বেশি ছিল বলে এতদিন মনে করা হতো, সেই সব জেলায় কংগ্রেস রীতিমতো ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে গিয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এই তিনটি জেলায় সংখ্যালঘু ভোট এতদিন পর্যন্ত কংগ্রেসের ঝুলিতে আসতো বলে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু এবার সেই সংখ্যালঘু ভোট ভাগ হয়ে গিয়েছে কিছুটা তৃণমূলের বাক্সে, কিছুটা আইএসএফ এর বাক্সে। ফলস্বরূপ কংগ্রেস রীতিমতো ধরাশায়ী হয়েছে। কিন্তু তা সত্বেও অধীর চৌধুরী প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হিসেবে তার দায় এড়াতে পারেন না বলেই অনেকে মনে করছেন। আর সেক্ষেত্রে দাবি উঠেছে, অধীর চৌধুরীর পদত্যাগের। কংগ্রেসের অন্দরে শোনা যাচ্ছে, 1998 সালে কংগ্রেস বিরোধি তকমা যখন হারিয়েছিল, তখন সোমেন মিত্রকেও পদত্যাগ করতে হয়েছিল। তাহলে অধীর চৌধুরী কেন পদত্যাগ করবেন না?

অন্যদিকে অধীর চৌধুরী এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, সোনিয়া গান্ধীর নির্দেশ অনুসারে তিনি প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন। তাই তিনি যদি মনে করেন, তাহলে সেরকম নির্দেশ দেবেন এবং অধীর চৌধুরী সরে যাবেন। স্বাভাবিকভাবেই কংগ্রেসের শূন্য অবস্থা নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে দলীয় কোন্দল। গত লোকসভা নির্বাচনে বাম কংগ্রেস জোট করে 7% ভোট দখল করতে পেরেছিল। কিন্তু এবার 7 থেকে পুরো শূন্যে নেমে গিয়েছে তাঁরা।

খুব স্বাভাবিকভাবেই কংগ্রেসের অন্দরেও শুরু হয়েছে এই ব্যাপক বিপর্যয়ের তদন্ত। তবে এই হারের দায় সভাপতি হিসেবে অধীর চৌধুরীর ওপর বর্তায় বলে মনে করছেন অনেকেই। কারণ ভোট সংক্রান্ত যাবতীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিলেন তিনি। আপাতত কংগ্রেস কিভাবে পরিস্থিতি সামাল দেয়, সেদিকে নজর রাখছে ওয়াকিবহাল মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!