এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > এবার কি বিজেপির বিধায়ক ভাঙার পালা? ক্রমশ দূরত্ব বাড়াচ্ছেন দলবদলু এই নেতা

এবার কি বিজেপির বিধায়ক ভাঙার পালা? ক্রমশ দূরত্ব বাড়াচ্ছেন দলবদলু এই নেতা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – এবারের বিধানসভা নির্বাচনে শোচনীয় হার হয়েছে গেরুয়া শিবিরের। যেখানে বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল 200 টি আসন নিয়ে বাংলার ক্ষমতায় আসতে চলেছে বিজেপি, সেই দাবি নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার মধ্যে দিয়েই ধুলিস্যাৎ হয়ে গিয়েছে। মাত্র 77 টি আসন নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে বিজেপিকে। উল্টোদিকে তৃণমূলের ঝুলিতে 214 টি আসন। বলাই যায়, বাংলার মানুষ তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মন ভরিয়ে ভোট দিয়েছে। গেরুয়া শিবিরের বিপর্যয়ের মধ্যেও এই প্রথম জয়ের মুখ দেখলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায়। তিনি দাঁড়িয়ে ছিলেন কৃষ্ণনগর উত্তর থেকে। তৃণমূলের তারকা প্রার্থী কৌশানী মুখোপাধ্যায়কে হারিয়ে দেন তিনি খুব সহজেই।

2019 এর লোকসভা নির্বাচনে গেরুয়া শিবিরের হাতে 18 টি আসন আসার পেছনে মুকুল রায়ের ভূমিকা ছিল অগ্রগণ্য। কিন্তু একুশের বিধানসভা নির্বাচনে নিজের ইচ্ছা না থাকলেও দলের ইচ্ছায় তিনি নির্বাচনে দাঁড়িয়েছিলেন। কিন্তু নিজের কেন্দ্র ছাড়া তাঁকে কোথাও প্রচারে দেখাও যায়নি। এমনকি তাঁর ছেলে শুভ্রাংশু রায় দাঁড়িয়েছিলেন বীজপুর থেকে। সেখানেও মুকুল রায় প্রচারে আসেননি বলে জানা গিয়েছে। ভোটের ফল প্রকাশের পরেও মুকুল রায়কে সেভাবে কোথাও দেখা যাচ্ছেনা। এমনকি এদিন বিজেপির ধর্না মঞ্চেও মুকুল রায়কে দেখা গেলনা। আর তাই নিয়েই শুরু হয়েছে ব্যাপক গুঞ্জন রাজনৈতিক মহলে। 2019 এর লোকসভা নির্বাচনের আগেও তৃণমূলে ব্যাপক ধস নেমেছিল।

নিশীথ প্রামাণিক থেকে অর্জুন সিং সহ দলে দলে তৃণমূল থেকে গিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন অনেকেই। এবং 2019 এর নির্বাচনে জয় পেয়েছিলেন নিশীথ ও অর্জুন দুজনেই। 3 থেকে 18 হয়ে ওঠার পেছনে অনেকাংশেই ছিলেন মুকুল রায়। সব মিলিয়ে বিধানসভার ভিত্তিতে 121 টি আসনে গিয়েছিল বিজেপি। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনে মুকুল রায়কে নিজের কেন্দ্র বাদ দিয়ে আর কোথাও পাওয়া যায়নি। এমনকি অন্য কোন জায়গাতে প্রচারেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। অনেকেই বলতে শুরু করেছেন, যেখানে মুকুল রায়ের কাঁধে দলের সংগঠনকে মজবুত করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, সেই দায়িত্ব কিন্তু মুকুল রায়কে পালন করতে দেখা যায়নি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু কেন এরকম পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তা নিয়ে কিন্তু বিজেপির অন্দর মহল থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের মনেও প্রশ্ন উঠছে। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর আজকের বিজেপির প্রথম বড় কর্মসূচি ছিল দেশজুড়ে। এদিন কলকাতায় সব থেকে বড় ধর্না কর্মসূচিটি হয় রাজ্য বিজেপির সদর দপ্তর মুরলীধর সেন লেনে। আর সেখানে উপস্থিত হয়েছিলেন গেরুয়া শিবিরের হেভিওয়েট নেতা নেত্রীরা। কিন্তু সেই মঞ্চে দেখা যায়নি মুকুল রায়কে। অন্যদিকে অনেকেই বলতে শুরু করেছেন, মুকুল রায় কি তাহলে এবার বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলের দিকে পা বাড়াবেন? কিন্তু দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মুকুল রায় অসুস্থ আর সে কারণেই বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতিকে বিরোধী দলনেতার পদ দেওয়া হচ্ছেনা।

অন্যদিকে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিন্তু এবারের নির্বাচনে মুকুল রায়কে সেভাবে কোনো আক্রমণ করেননি। বরং শুভেন্দু এবং মুকুলের তুলনায় তিনি মুকুলকে বেশ কিছুটা এগিয়ে রেখেছিলেন প্রকাশ্যে। অন্যদিকে তৃণমূল নেত্রী কিন্তু ইতিমধ্যেই ইতিবাচক ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন দলবদলুদের ঘরে ফেরার ব্যাপারে। মুকুল রায় কি তাহলে সেই ইঙ্গিত গ্রহণ করছেন? বিশেষজ্ঞদের মতে, মুকুল রায় যদি এবার দল পরিবর্তন করেন, তাহলে কিন্তু অচিরেই গেরুয়া শিবিরের বুকে বিপর্যয় নেমে আসবে। কারণ মুকুল রায়ের সাথে সাথে তাঁর অনুগামীরাও ফিরে যাবে তৃণমূলে। উপরন্তু বিজেপি হারাবে তাঁদের এক বিধায়ক। অবশ্য দলবদল নিয়ে মুকুল রায় কিংবা তৃণমূলের পক্ষ থেকে কিছুই জানা যায়নি। তবে মুকুল রায়ের প্রকাশ্যে না আসার কারণ কি শুধুই তাঁর অসুস্থতা? এই নিয়েও কিন্তু কৌতুহল বাড়ছে।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!