এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > ডেঙ্গু নিয়ে বিধানসভায় চেপে ধরলেন বিরোধীরা, ৫০০ কোটির অঙ্গীকার রাজ্য সরকারের

ডেঙ্গু নিয়ে বিধানসভায় চেপে ধরলেন বিরোধীরা, ৫০০ কোটির অঙ্গীকার রাজ্য সরকারের

গরম শেষে এখন বর্ষা দরজায় দাঁড়িয়ে আছে। আর প্রতিবছরই রাজ্যের বর্ষায় জমা জলে ডেঙ্গুর মশা জন্ম নেয়। যার ফলে অনেক মানুষ রোগগ্রস্ত হয়ে পড়েন। আর বর্ষা রাজ্যে আসতে না আসতেই এখন বিভিন্ন জায়গায় ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়তে শুরু করেছে। রাজ্যের অনেক হাসপাতালেই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে অনেক মানুষ ভর্তি হয়েছেন। শুক্রবার এই ব্যাপারে বিধানসভায় সরব হন কংগ্রেসের বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান।

তিনি বলেন, “আমি এবং সুজন চক্রবর্তী হাবরা হাসপাতালে গিয়েছিলাম। সেখানে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে একটা মশারিতে তিনজন মানুষ রয়েছে। দরজা-জানালা সমস্ত ভাঙ্গা। এইভাবে আর কতদিন চলবে!” আর বিরোধী দলনেতার এই প্রশ্ন শুনেই গোটা ব্যাপারটিতে নিজের প্রতিক্রিয়া দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “সকলকে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করতে হবে। প্রতিবছর নভেম্বর থেকেই আমরা এই ব্যাপারে আলোচনা শুরু করি।”

তিনি আরও জানান, “উত্তর 24 পরগনার বিএন বোস হাসপাতালে চারজন, হাবরা জেনারেল হাসপাতালের একজন, বনগাঁ হাসপাতালে একজন, আইডি হাসপাতালে একজন এবং আরজি করে তিনজন মারা গেছেন। ডেঙ্গু প্রতিরোধে পুকুর-ডোবা ও জলাশয়গুলিতে তিন কোটি গাপ্পি মাছ ছাড়া হয়েছে। গতবছর ডেঙ্গি প্রতিরোধে প্রথমে 50 লক্ষ টাকা বাজেট থাকলেও পরে তা 240 কোটি করা হয়েছিল। আর এবার তা বাড়িয়ে 500 কোটি করা হয়েছে। আমরা চাই না কারও ডেঙ্গি হোক।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

মুখ্যমন্ত্রী জানান, “আমি যখন কংগ্রেস করতাম, তখন ম্যালেরিয়ার ক্যাম্প করেছিলাম। ডাক্তারবাবুরাও সাথে ছিলেন। আমরা ডেঙ্গি প্রতিরোধে সবসময় সচেষ্ট।” এদিন এই ডেঙ্গি সম্পর্কে বলতে গিয়ে একটা উদাহরনও টেনে আনেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “কিছু সাপ আছে, কামড়ালে সাথে সাথে মৃত্যু হয়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় থাকে না। আবার কিছু সাপ কামড়ানোর পর হাসপাতালে চিকিৎসা করালে প্রাণ বেঁচে যায়। সেরকমই কিছু ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগীর ক্ষেত্রে চিকিৎসার সময় পাওয়া যাচ্ছে না।”

মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, “বিদেশ থেকে অনেক জ্বর নিয়ে বিমানে করে এই রাজ্যে আসছেন। ভাইরাল ফিভারও এর মাধ্যমে ছড়িয়ে যাচ্ছে।” তবে রাজ্য যে এই ডেঙ্গু প্রতিরোধ করতে সচেষ্ট, তা এদিন বিধানসভায় দাঁড়িয়ে নিজের বক্তব্যে বারেবারেই প্রমাণ করবার চেষ্টা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন এই প্রসঙ্গে দিনহাটা তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহ বলেন, “আমি দিনহাটা পৌরসভার চেয়ারম্যান। সেখানে 3 জন আক্রান্ত।” তবে পৌরসভাগুলিকে যে এই ডেঙ্গু দূরীভূত করতে এলাকাগুলো আরও পরিষ্কার – পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে, এদিন সেই ব্যাপারেও সকলকে নির্দেশ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

অন্যদিকে উত্তর 24 পরগনা, নদীয়া এবং আলিপুরদুয়ার ছাড়া অন্যান্য জেলাগুলিতে ডেঙ্গুর প্রকোপ অত্যন্ত কম বলে বিধানসভায় জানান রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তবে যে সমস্ত এলাকায় মশার লার্ভা রয়েছে, তা ধ্বংস করার জন্য অনেক পুরকর্মী কাজ চালাচ্ছে বলে দাবি করেন মন্ত্রী। সব মিলিয়ে বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নানের প্রশ্নের উত্তরে রাজ্য সরকার ডেঙ্গু প্রতিরোধে সবসময় সচেষ্ট বলে প্রমাণ করবার চেষ্টা করলেন মুখ্যমন্ত্রী।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!