এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > করোনায় বাংলার দুরাবস্থা নিয়ে ফেসবুক পোস্ট করতেই পুলিশি জুলুম! বিস্ফোরক বিজেপি নেত্রী

করোনায় বাংলার দুরাবস্থা নিয়ে ফেসবুক পোস্ট করতেই পুলিশি জুলুম! বিস্ফোরক বিজেপি নেত্রী


অন্যান্য সময়ে বাংলায় গণতন্ত্র নেই, তাদের কথা বলতে দেওয়া হচ্ছে না বলে সরব হতে দেখা যায় বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ নতুন কিছু নয়। কিন্তু ভয়াবহ মারন রোগ করোনা ভাইরাসের সময়েও যে বিরোধীদের এই অভিযোগ অব্যাহত থাকবে, তা কল্পনা করা যায়নি। বর্তমানে তৃণমূলের বিভিন্ন নেতা এবং জনপ্রতিনিধিরা ত্রাণ দিতে গেলেও তাদের সেভাবে বাধা দিচ্ছে না পুলিশ।

কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে বিজেপির জনপ্রতিনিধি হয়েও বাধা পেতে হচ্ছে ব্যারাকপুর থেকে শুরু করে বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদদের। যা নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠছে। আর এরই মাঝে এবার ফেসবুকে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের অব্যবস্থা নিয়ে পোস্ট করায় পুরুলিয়া জেলা বিজেপির সভানেত্রীকে দীর্ঘক্ষন ধরে থানায় আটকে রাখার অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে।

জানা গেছে, গত মঙ্গলবার ফেসবুকে পুরুলিয়ায় বিজেপি মহিলা মোর্চা সভানেত্রী হাতুয়ারার কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের অব্যবস্থা নিয়ে একটি পোস্ট করেন। আর তার পরেই তাকে থানায় রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরবর্তীতে তিন ঘণ্টা পর ওই পোস্ট ডিলিট করিয়ে তাকে মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। আর সামান্য কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের অব্যবস্থা নিয়ে বিজেপি নেত্রী সরব হওয়ার পরেই কেন তাকে এভাবে থানায় আটকে রাখা হল! তা নিয়ে এখন নানা মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

অনেকে বলছেন, আসলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রতিহিংসাপরায়ন আচরন করা হচ্ছে। আর তাই বেছে বেছে বিজেপির নেতা নেত্রীদের হেনস্থা করার জন্য এই কাজ শুরু করেছে প্রশাসন। এদিন এই ব্যাপারে পুলিশের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ করেন বিজেপি নেত্রী কাবেরী চট্টোপাধ্যায়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তিনি বলেন, “মঙ্গলবার 4 গাড়ি পুলিশ এসে আমাকে বাড়ি থেকে কার্যত টেনে হিঁচড়ে থানায় নিয়ে যায়। মোবাইল কেড়ে নিয়ে আমাকে একটি রুমে আটকে রাখে। আমাকে থানায় কেন নিয়ে আসা হয়েছে, তা জানানো হয়নি। সন্ধ্যার পর দলের জেলা নেতারা থানায় আসেন। তারপর বেশ কিছু কাগজে আমাকে সই করানোর পাশাপাশি ফেসবুকের পোস্টটি ডিলিট করানো হয়। তারপর ব্যক্তিগত বন্ডে আমাকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।”

এদিকে এই ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন বিজেপির অন্যান্য নেতৃত্বরা। এদিন এই বিষয়ে পুরুলিয়া জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক বিবেক রাঙা বলেন, “করোনা পরিস্থিতির সময় আমরা রাজনীতি করতে চাই না। কাবেরীদিকে গ্রেপ্তার সম্পূর্ণ অনৈতিক কাজ। তবে কাবেরীদি যে বিষয়ে ফেসবুকে পোস্ট করেছিলেন, তার পোস্টের পরে জেলা প্রশাসন ওই অব্যবস্থা দূর করেছে বলে শুনেছি।”

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি সত্যি সত্যিই কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের অব্যবস্থা তৈরি হয়, তাহলে তা নিয়ে বিজেপি নেত্রী সরব হওয়ার পরেই কেন তাকে এভাবে আটকে রাখা হল! কেন মহামারীর সময়েও এই প্রতিহিংসাপরায়ণ আচরণ দেখা যাচ্ছে প্রশাসনের মধ্যে? তা নিয়ে প্রশ্নটা তুলছেন বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!