এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > করোনা হাসপাতালে মোবাইল ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা বাংলায়! শুরু চূড়ান্ত বিতর্ক

করোনা হাসপাতালে মোবাইল ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা বাংলায়! শুরু চূড়ান্ত বিতর্ক

সুদূর চীন থেকে করোনা ভাইরাস এসে পৌঁছেছে ভারতে বেশ কিছুদিন আগেই। ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে তার ফলে করোনা সংক্রমণ ছড়াতে শুরু করেছে। বাদ নেই পশ্চিমবঙ্গও। দেশকে বাঁচাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তড়িঘড়ি লকডাউন জারি করেন, যা এখনো শেষ হয়নি। কিন্তু লকডাউনের মধ্যেই দেখা যায়, এই রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এবং মৃতের সংখ্যা পাল্লা দিয়ে বেড়েছে। একেকটি জেলা থেকে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এতটাই বেড়ে গেছে, যে সেই জেলাগুলি ইতিমধ্যে হটস্পটে পরিণত হয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা ইতিমধ্যেই অবশ্য জানিয়েছেন, মোবাইল ফোন থেকে ছড়াতে পারে করোনা সংক্রমণ। তাই এবার নবান্নের নির্দেশে রাজ্যের সমস্ত করোনা হাসপাতালগুলিতে মোবাইল ব্যবহার নিষিদ্ধ হল। ইতিমধ্যে সমস্ত জেলাশাসক এবং মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের কাছে নবান্ন সূত্রে এই নির্দেশনামা পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে। এবার থেকে কোনো করোনা হাসপাতালে চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী থেকে শুরু করে সরকারি আধিকারিক অথবা রোগী কেউই আর মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না।

এ ব্যাপারে কড়া নির্দেশিকা জারি হয়েছে বলে খবর। সরকারী নির্দেশে বলা হয়েছে, যদি কেউ মোবাইল আনেন তাহলে তাঁকে হাসপাতালের বাইরে মোবাইল জমা দিতে হবে এবং একটি কুপন সংগ্রহ করতে হবে। পরে হাসপাতাল থেকে বেরোনোর সময় ওই কুপন দেখিয়ে মোবাইল হাতে পাওয়া যাবে বলে জানা গেছে। অন্যদিকে, রাজ্যের করোনা হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা কর্মী এবং চিকিৎসকদের মধ্যে কাজ করতে গেলে প্রয়োজন যোগাযোগের এবং এই যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে ইন্টারকমের ব্যবহারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নবান্নর পক্ষ থেকে।

হাসপাতালে আসা রুগীরাও ইন্টারকম এর সাহায্য নিতে পারবেন বলে জানানো হয়েছে। রাজ্যের মুখ্য সচিব জানিয়েছেন, প্রতিটি জেলার করোনা হাসপাতলে একই নিয়ম বলবৎ হবে। মনে করা হচ্ছে, এভাবে কিছুটা হলেও করোনা সংক্রমণের হার নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে। কিন্তু এখানেই শুরু হয়েছে চূড়ান্ত বিতর্ক – বিরোধীরা প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন, মোবাইলের ব্যবহার বন্ধ করলে কিভাবে করোনা সংক্রমণ আটকানো সম্ভব?

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কেউ কেউ তো আরেকধাপ এগিয়ে অভিযোগ করছেন, কিছুদিন আগেই বাঙুর হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে জনৈক রুগী একটি ভিডিও পোস্ট করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানে তিনি অভিযোগ করেন করোনা সন্দেহে আইসোলেশন থাকা রুগী মারা গিয়ে দীর্ঘক্ষণ পরে আছেন, আর তার দুপাশে অন্যান্য রুগীরা রয়েছেন। বিরোধীদের অভিযোগ, এই ভিডিওর মাধ্যমেই প্রমাণিত – কিভাবে বাংলায় করোনা চিকিৎসা চলছে!

বিতর্ক বাড়িয়ে বিরোধীরা আরও অভিযোগ করছেন, এই ধরনের রাজ্য সরকারের গাফিলতি আরও যাতে প্রকাশ্যে এসে না পরে – তাই মোবাইল বন্ধ করে দেওয়া হল করোনা হাসপাতালগুলিতে! যদিও, এই নিয়ে রাজ্য সরকারের তরফে কোনো মন্তব্য জানানো হয় নি। অন্যদিকে, রাজ্যের করোনা ভাইরাসে সংক্রমণের সংখ্যা ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। ইতিমধ্যে রাজ্য প্রশাসন এই নিয়ে চরম উদ্বিগ্নতা প্রকাশ করেছে।

রাজ্যের যে এলাকাগুলিতে বা জেলাগুলিতে করোনার ভয়াবহতা প্রকাশ পেয়েছে, সেগুলিকে ইতিমধ্যেই হটস্পট ঘোষণা করে সিল করে দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে সাধারণ মানুষের সঙ্গে সঙ্গে আক্রান্ত হয়েছেন ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন চিকিৎসক এবং নার্স। এর ফলে বেশ কয়েকটি সাধারণ হাসপাতাল বন্ধ হয়ে গেছে রাজ্যে। অন্যদিকে, সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতার প্রসার ঘটাতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও রাস্তায় নেমে প্রচার চালাতে দেখা গেছে।

এই মুহূর্তে আবার রাজ্যে করোনা টেস্ট দুদিনের জন্য বন্ধ রয়েছে। রাজ্যের অভিযোগক্রমে দেখা গেছে বর্তমানে র‍্যাপিড করোনা টেস্ট কিটগুলিতে যথেষ্ট ত্রুটি রয়েছে। এই অবস্থায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে লকডাউন মানাই যে করোনা সংক্রমণ আটকানোর একমাত্র রাস্তা, সে ব্যাপারে নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা। তবে কিছু মানুষের অজ্ঞতার ফলে লকডাউন এর নিয়ম কানুন ঠিক থাকছে না বলে দাবি করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকার সর্বতোভাবে মানুষের কাছে আবেদন জানাচ্ছেন, লকডাউন মেনে ঘরে থাকার জন্য। না হলে পরিস্থিতি যে আরও খারাপ হবে সে কথা বলাইবাহুল্য।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!