এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > চাকরি নিয়ে দুর্নীতি হয়েছে, নির্বাচনী সভায় স্বীকার করে নিলেন মমতা! শোরগোল রাজ্যে!

চাকরি নিয়ে দুর্নীতি হয়েছে, নির্বাচনী সভায় স্বীকার করে নিলেন মমতা! শোরগোল রাজ্যে!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – কন্যাশ্রী থেকে যুবশ্রী, খাদ্যসাথী থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যসাথী, মানুষের অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থানের ব্যবস্থা তৃনমূল কংগ্রেস সরকারের পক্ষ থেকে করা হলেও, বিরোধীদের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, পাঁচ টাকার অর্ধেক দেশে মানুষ জীবন যাপন করবেন! নাকি সারা জীবন নিশ্চিত চাকরির বন্দোবস্ত করে দিন গুজরান করবেন ! 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের পক্ষ থেকে একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্পের কথা মানুষের কাছে তুলে ধরা হচ্ছে। তবে বিজেপি সহ অন্যান্য বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো প্রশ্ন করছে, রাজ্যে বেকারের কর্মসংস্থান কোথায়!.

তবে যদিও বা দুই একটি ক্ষেত্রে কিছু বেকারের কর্মসংস্থান হয়, তবুও সেখানে টাকার বিনিময়ে চাকরি হয়েছে বলে অভিযোগ করে বিরোধীরা। তবে এতদিন বিরোধীদের সেই অভিযোগকে কার্যত ধুলিস্যাৎ করতে দেখা গিয়েছিল রাজ্যের শাসক দলের নেতা-নেত্রীদের। কিন্তু এবার যেন নির্বাচনী সভায় এই চাকরি ইস্যুতে বোমা ফাটিয়ে দিলেন তৃণমূল দলের সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে দল থেকে বেরিয়ে কিছু কিছু লোক বিজেপিতে গিয়ে চাকরি যাওয়া নিয়ে বেইমানি করেছে বলে কার্যত প্রকাশ্য সভায় স্বীকার করে নিতে দেখা গেল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। স্বাভাবিক ভাবেই তৃণমূল নেত্রীর এই মন্তব্য যে তৃণমূলের পায়ে পেরেক ফুটিয়ে দিল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

সূত্রের খবর, আজ পূর্ব মেদিনীপুরের এগরাতে তৃণমূলের নির্বাচনী জনসভা ছিল। আর সেখানেই উপস্থিত হন তৃনমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগের কথা বলেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “রাজ্যে শিক্ষকের সংখ্যা দ্বিগুণ করা হবে। আগে যে সমস্ত গদ্দার ছিল, তারা চাকরি নিয়ে অনেক বেইমানি করেছে। আমি জানি, এবার কাজকর্ম ডাইরেক্ট হবে। কারওর মাধ্যমে হবে না।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অর্থাৎ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই কথা বলে কার্যত কিছুদিন আগেই দল থেকে বেরিয়ে যাওয়া শুভেন্দু অধিকারী এবং রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর চেষ্টা করলেন। একাংশ বলছেন, তৃণমূল দলে যেমন শেষ কথা বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ঠিক তেমনই সরকারের ক্ষেত্রে তিনিই শেষ কথা বলেন। সেক্ষেত্রে শুভেন্দু অধিকারী এবং রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় দলত্যাগ করার পর তাদের কারো কথার মূল্য দেওয়া হয় না বলে অভিযোগ করেছিলেন। কিন্তু তারপরেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন যেভাবে সেই সমস্ত দলত্যাগী নেতাদের চাকরির জন্য বেইমানি করা হয়েছে বলে দায়ী করলেন, তাতে তৃণমূল নেত্রীর এই বক্তব্যকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।

পর্যবেক্ষকদের মতে, নির্বাচনের দিন যতই এগিয়ে আসছে, ততই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিভিন্ন বক্তব্য নিয়ে শুরু হয়ে যাচ্ছে চর্চা। বেশ কিছু ক্ষেত্রে তৃণমূল নেত্রী এমন কিছু বক্তব্য রাখতে শুরু করেছেন, যা বিরোধীদের হাতে অনেক ক্ষেত্রে বাড়তি হাতিয়ার তুলে দিচ্ছে। আর তার এদিনের এই বক্তব্য যে তার মধ্যে অন্যতম বিতর্কের সৃষ্টি করবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বক্তব্যকে হাতিয়ার করে চাকরিতে দুর্নীতি হয়েছে, এই বিষয়টি তুলে ধরবে বিরোধীরা, ঠিক তেমনই বেকারদের কর্মসংস্থানের ইস্যুতে তৃণমূল নেত্রী এবং রাজ্যের শাসক দলকে ব্যাপক অস্বস্তিতে ফেলে দেবে ভারতীয় জনতা পার্টি বলে মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!