এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > ইসলামপুরের ঘটনায় সিবিআই তদন্ত চেয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হলেন এবিভিপি

ইসলামপুরের ঘটনায় সিবিআই তদন্ত চেয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হলেন এবিভিপি


ইসলামপুরের ছাত্রমৃত্যুর ঘটনার জন্য বিচার চেয়ে এবার কোলকাতা হাইকোর্টের স্মরণাপন্ন হল বিজেপি সমর্থিত ছাত্র সংগঠন এবিভিপি। দোষীদের শাস্তি দিতে সিবিআই তদন্তের আর্জি জানালো তাঁরা। এদিন কোলকাতা প্রেস ক্লাবে একটি সাংবাদিক বৈঠক ডেকে কোলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করার কথা জানিয়ে দেন এবিভিপি-র সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক আশিস চৌহান এবং রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সপ্তর্ষি সর্দার। পুলিশ আধিকারিক হোক বা কোনো প্রভাবশালী মন্ত্রী এই মর্মান্তিক ঘটনার পেছনে যাদের যাদের হাত আছে,তাদের সকলের শাস্তির জন্যই সিবিআই তদন্তের দাবী করল এবিভিপি। সঙ্গে মৃত দুই ছাত্রের পরিবার এবং আহতদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবীও তোলে তাঁরা। এবং ২৬ সেপ্টেম্বরের বিজেপির ডাকা ১২ ঘন্টার বনধও তাঁরা সমর্থন করছে এমনটাই এবিভিপির তরফ থেকে জানানো হয়েছে।

তবে বিজেপির ডাকা বনধকে সমর্থন করলেও পথে এবিভিপির না নামাকে কেন্দ্র করে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। কারণ,বিজেপি গোষ্ঠীকোন্দলের জেরে এবিভিপির দুই কর্মীর মৃত্যুর প্রতিবাদে বনধ ডাকলেও একই মতাদর্শে ছাত্র রাজনীতি করা ছাত্র সংগঠনের বনধের সমর্থনে কেন এবিভিপি ময়দানে না নামার সিদ্ধান্ত নিল,তা নিয়েও বিতর্ক তৈরি হয়েছে দলের অন্দরেই। এদিকে, ধর্মতলা চত্বরে আজ উত্তেজনা চরমে ছিল বনধের সমর্থনে এবিভিপির মিছিলকে কেন্দ্র করে। পুলিশের সঙ্গে এবিভিপি-র সদস্যদের ধস্তাধস্তির জেরে রাস্তাঘাটে বিপাকে পড়ে সাধারণ মানুষ। পথ আটক করে কয়েকটি বাসে ইটও ছোঁড়ে এবিভিপি কর্মীরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। শহরের রাজপথে গন্ডোগোল পাকানোর জেরে এবিভিপির ১২ জন সদস্যকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধর্মতলা চত্বরে ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয় আজ।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

তবে বনধের আগেই কোলকাতা হাইকোর্টে সিবিআই তদন্তের দাবী জানানোয় বেশ সমস্যায় পড়লেন রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বরা। কারণ ইসলামপুর ছাত্রমৃত্যু কান্ডে বিজেপির ডাকা ১২ ঘন্টা বনধকে বেআইনি ঘোষণার দাবীতে কোলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন তৃণমূল সাংসদ ইদ্রিশ আলি। আজ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির এজলাসে এই মামলার শুনানি ছিল। সুপ্রিম কোর্ট এবং হাইকোর্ট বনধকে যেহেতু আগেই বেআইনি বলে ঘোষণা করে দিয়েছে,তার উপর ভিত্তি করেই বিজেপির ডাকা বনধকে ‘কালো তালিকাভুক্ত’ করার দাবী জানিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ। তবে বিজেপির ডাকা বনধ রুখতে সবরকম চেষ্টাই করবে রাজ্য সরকার,এমনটাই মন্ত্রীসভার বৈঠকের পর জানিয়ে দিয়েছে তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বনধের দিন রাজ্যের সচলতা বজায় রাখার কড়া নির্দোশিকা জারি করা হয়েছে। সরকারি কর্মচারীদের বনধের দিন দপ্তরে উপস্থিত না হলে কর্মচারীদের একদিনের বেতন কেটে নেওয়ার নির্দেশ রয়েছে পার্থ বাবুর। বিদেশ সফরে থাকা মুখ্যমন্ত্রীও বনধ বিরোধী বার্তা দিয়েছে নবান্নের কর্মকর্তাদের। নেত্রীর নির্দেশই অক্ষরে অক্ষরে পালন করছেন তৃণমূলের মহাসচিব। পুলিশকেও দেওয়া হয়েছে বনধ বিরোধীতার জন্য একগুচ্ছ কর্মসূচি। রাজ্যসরকারের আইনি প্রতিবন্ধকতা এবং বনধ বিরোধী কার্যক্রমকে উপেক্ষা করে বিজেপির ডাকা বনধ সফল হয় কিনা সেটাই দেখার!

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!