এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > কেন্দ্রের বিস্ফোরক রিপোর্ট – খাতায়-কলমে ৯৯.৪৬%, বাস্তবে অর্ধেকও কাজ হয়নি শিল্পক্ষেত্রে

কেন্দ্রের বিস্ফোরক রিপোর্ট – খাতায়-কলমে ৯৯.৪৬%, বাস্তবে অর্ধেকও কাজ হয়নি শিল্পক্ষেত্রে

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রায়শই দাবি করে থাকেন বাম আমলে করে যাওয়া বিপুল ঋণের বোঝা মাথায় নিয়েও তিনি এই ৭ বছরে যা কাজ করেছেন তা বিগত বাম জামানার ৩৪ বছরেও হয় নি। কিন্তু তাঁর এই দাবি নিয়ে বড়সড় প্রশ্নচিহ্ন তুলে দিল কেন্দ্রীয় সরকারের রিপোর্ট – যা নিয়ে তুমুল রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে। একদিকে তৃণমূল নেতাদের দাবি, এইসবই কেন্দ্রের চক্রান্ত – বাংলাকে বিশেষ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কৃতিত্ত্বকে ছোট করে দেখানোর অপচেষ্টা। অন্যদিকে গেরুয়া শিবিরের দাবি, মুখ্যমন্ত্রী সব কাজ আদতে খাতায়-কলমেই করেন, বাস্তবে রাজ্যের যে কোনো উন্নয়ন হয় নি তা আবারো এই রিপোর্টে প্রমাণিত। কিন্তু কি নিয়ে এই তরজা?

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে শিল্পের গা থেকে লাল ফিতের ফাঁস আলগা করার প্রতিযোগিতার ফলাফল প্রকাশ করল কেন্দ্রীয় সরকার। এই প্রতিযোগিতায় ১০০ নম্বর করে দুটি বিভাগে পরীক্ষা নেওয়া হয়। প্রথম বিভাগে ছিল রাজ্য সরকারগুলি খাতায় কলমে কি কাজ করেছে – সেখানে বাংলার প্রাপ্ত নম্বর ৯৯.৪৬, অন্যদিকে দ্বিতীয় বিভাগে ছিল – সেই কাজগুলি আদৌ বাস্তবে হয়েছে কি না, তা যাচাই করে দেখা। আর দ্বিতীয় বিভাগের নম্বর বাংলার ক্ষেত্রে চমকে দেওয়ার মত – মাত্র ৫৩.৬৯। অর্থাৎ খাতায়-কলমে যা দাবি করা হয়েছে, বাস্তবে তার অর্ধেক কাজও হয়নি রাজ্যে শিল্পবান্ধব পরিস্থিতি তৈরির ক্ষেত্রে। আর দুটি বিভাগ মিলে রাজ্যের প্রাপ্ত নম্বর ৯৪.৭, যা তাদের দেশের সব রাজ্যগুলির মধ্যে একাদশ থেকে দশম স্থানে উত্তীর্ন হতে সাহায্য করল।

কিন্তু এই নিয়েই ঘাসফুল ও পদ্মশিবিরের মধ্যে শুরু হয়েছে তুমুল রাজনৈতিক তরজা। তৃণমূল শিবিরের দাবি – শিল্পের জন্য জমি পাওয়া যে এখন আর বাংলায় কোনো সমস্যাই না সেকথা সাফ জানাচ্ছে কেন্দ্রের রিপোর্ট। এছাড়া রাজ্যে শিল্পের জন্য যে সিঙ্গল উইন্ডো সিস্টেম চালু করা হয়েছে তাও যথেষ্ট প্রশংসা কুড়িয়েছে। তাছাড়া, এখানে শিল্প গড়তে সরকারি তরফে স্বচ্ছভাবে তথ্য পাওয়া যায় অতি সহজেই। অন্যদিকে গেরুয়া শিবিরের দাবি, রাজ্য খাতায় কলমে প্রায় ১০০% সাফল্য দেখালেও, শিল্পপতি বা শিল্প সংস্থার সঙ্গে যখন আলোচনা করছে কেন্দ্র তখন জানা গেছে রাজ্য সরকারের সংস্কারমুখী পরিকল্পনার সুফল সেভাবে তাঁরা পান নি। ফলে রাজ্যের শিল্পের যে কেন পিছিয়ে এই কথাতেই স্পষ্ট। সবমিলিয়ে, রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের ধারণা, সামনেই লোকসভা নির্বাচন – তাই স্বভাবিক ভাবেই এই নিয়ে দুই যুযুধান শিবিরের কথার লড়াই আরো বাড়বে আগামীদিনে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!