এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম > কেন্দ্রীয় বাহিনী দায়িত্ব নিতেই এলাকাছাড়া স্থানীয় “দাদারা”, মালদার “সন্ত্রস্ত” এলাকায় শান্তিতে ভোট

কেন্দ্রীয় বাহিনী দায়িত্ব নিতেই এলাকাছাড়া স্থানীয় “দাদারা”, মালদার “সন্ত্রস্ত” এলাকায় শান্তিতে ভোট

প্রায় প্রতিটি নির্বাচনেই মালদহের বিভিন্ন এলাকায় সন্ত্রাসের আচ পাওয়া যায়। এবারেও তেমন আচই পাওয়া যাচ্ছিল। কিন্তু আশ্চর্যজনক ভাবে তৃতীয় দফার ভোটে সেই মালদহের সন্ত্রাস কবলিত এলাকাগুলিতে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় বিন্দুমাত্র গন্ডগোলের দৃশ্যটুকুও দেখা গেল না। যা দেখে অনেকেই বলছেন, কতদিন পর যে মালদহের এই কালিয়াচকের মোজামপুর থেকে বৈষ্ণবনগর শ্মশানি পর্যন্ত বিস্তীর্ণ এলাকায় নীরবে নিভৃতে ভোট হল, তা বলা যাবে না।

বাসিন্দাদের অনেকেই বলছেন, বিগত দিনে যে রাজনৈতিক দলই ক্ষমতায় থাকুক না কেন, তাদের হস্তক্ষেপে এই মোজামপুর, নারায়নপুরের মত ভোটকেন্দ্রগুলোতে ভোটের সময় তীব্র অশান্তির সৃষ্টি হয়। এমনকি বিরোধী দলের এজেন্টদের মেরে ভোটকেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়ারও অভিযোগ ওঠে এই এলাকাগুলি থেকে। এছাড়াও জালনোট, বেআইনি অস্ত্র নির্মাণ, আফিম চাষ থেকে শুরু করে টাকা পাচার – বারবারই খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে এই মালদার মোজামপুর এবং শ্মশানির মতোই এলাকাগুলি।

তবে এবারের লোকসভা নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সশস্ত্র জওয়ান এবং নির্বাচন কমিশনের কড়া দৃষ্টি থাকায় সেইভাবে কোনোরূপ গন্ডগোল দেখা গেল না। যাতে খুশি ভোটার থেকে শুরু করে রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরাও। এদিন এই প্রসঙ্গে এই অঞ্চলেরই এক ভোটার বলেন, “অন্তত এবার শান্তিতে ভোটটা দিতে পারছি।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে বছর ষাটের এক বৃদ্ধা বলেন, “আমি নিরক্ষর। কিন্তু নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী ভোট দিয়েছি। কিছুটা আতঙ্কে রয়েছে। তা কাটাতে সময় লাগবে।” কিন্তু শান্তিপূর্ণ ভোট হওয়া সত্ত্বেও কেন এখানে বিরোধীদের এজেন্ট দেখা গেল না? এদিন এই প্রসঙ্গে দক্ষিণ মালদহ লোকসভা কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী আবু হাসেম খান চৌধুরী বলেন, “এটা তো নতুন কিছু নয়। 1996 সাল থেকেই এখানে আমাদের এজেন্ট থাকে না।”

অন্যদিকে এই প্রসঙ্গে দক্ষিণ মালদহ লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, “কার এজেন্ট নেই, বলতে পারব না। তবে তৃণমূলের দৌরাত্ম্যে মানুষ গণতন্ত্রের স্বাদ পেয়েছেন।” তবে যে রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে যাই দাবি করা হোক না কেন, দীর্ঘ বছর পর কেন্দ্রীয় বাহিনীর তদারকিতে অবশেষে মালদার সন্ত্রস্ত এলাকা বলে পরিচিত কালিয়াচকের মোজামপুর বা শ্মশানিতে শান্তিপূর্ণভাবেই ভোট প্রক্রিয়া সম্পন্ন হল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!