এখন পড়ছেন
হোম > বিশেষ খবর > লোকালে চড়া নিয়ে আবার সাধারণ মানুষের সঙ্গে তীব্র দ্বন্দ্ব কর্তৃপক্ষের, হুলুস্থুলু বৈদ্যবাটিতে

লোকালে চড়া নিয়ে আবার সাধারণ মানুষের সঙ্গে তীব্র দ্বন্দ্ব কর্তৃপক্ষের, হুলুস্থুলু বৈদ্যবাটিতে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- করোনার আনলক পর্বে এরাজ্যে কেবলমাত্র রেল কর্মীদের জন্যই বিশেষ ট্রেন চলেছে। জরুরী পরিষেবামূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত সাধারণ যাত্রীদের ক্ষেত্রেও কিন্তু সেই ট্রেনে ভ্রমণের অনুমতি দেওয়া হয়নি। এক্ষেত্রে যাত্রীরা জোর করে ট্রেনে উঠতে চাইলে যাত্রীদের আরপিএফের অমানবিক আচরণের মুখে পড়তে দেখা গেছে।

এমন পরিস্থিতিতে হাওড়া, হুগলি, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন স্টেশনে বিক্ষোভ দেখা গিয়েছিল যাত্রীদের মধ্যে। আর তাই এমন অশান্তকর পরিস্থিতিতে লোকাল ট্রেন চালানো হোক এমন দাবি উঠেছিল বিভিন্ন ক্ষেত্রে। বস্তুত নিউ নরমালে কলকাতা মেট্রো অ্যাপের মাধ্যমে ইপাস ব্যবহার করে বহু মানুষ বর্তমানে মেট্রো পরিষেবা গ্রহণ করেছেন। আর সেই পরিষেবা বর্তমানে বেশ জনপ্রিয় হয়েছে।

সেক্ষেত্রে এর চাহিদা লক্ষ্য করে এরপর দৈনিক ট্রেন চালানোর ক্ষেত্রেও রাজ্য বিশেষ কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করুক, সে বিষয়ে আশা রেখেছিলেন সাধারণ মানুষ। আর এমন পরিস্থিতিতে বাংলায় লোকাল ট্রেন পরিষেবা শুরু করা নিয়ে নবান্ন থেকে রেলের চিঠি পাঠানো হয়েছিল বলে জানা গিয়েছিল গতকালই। শুধু তাই নয়, সেই ডাকে সাড়া দিয়ে নবান্নে আজ বিকেলে রেল কর্তারা এই বিষয়ে আলোচনা করতে আসছেন যাবেন বলেও জানা গিয়েছিল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে এরই মধ্যে, আজকের সকালে লোকাল ট্রেনে ওঠা নিয়ে অশান্তি শুরু হয়েছে বৈদ্যবাটি স্টেশনে। তথ্য সূত্রে জানা গেছে, সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ একটি স্পেশাল ট্রেন স্টেশনে দাঁড়ালে তাতে উঠতে চান সাধারণ যাত্রীরা। কিন্তু তাতে বাধা দেবার পরেই অশান্ত হয়ে ওঠে পরিবেশ।

যাত্রীরা রেললাইনে গাছের গুঁড়ি ফেলে অবরোধ শুরু করেন। ফলে থমকে যায় স্পেশাল ট্রেন। সেইসঙ্গে রেলগেটও বন্ধ হয়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে দীর্ঘক্ষন অবরোধ থাকায় জিটি রোডে যানজট তৈরি হয় বলেও জানা যায়। এরপর বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রচুর রেল পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেইসঙ্গে খবর যায় শ্রীরামপুর থানাতেও। তবে কোন অবস্থাতেই অবরোধকারীরা সমর্থ হন না। অন্যদিকে সেইসঙ্গে খবর আসে ইতিমধ্যেই রিষড়া, পান্ডুয়া, চুঁচুড়া আর শেওড়াফুলিতে অবরোধ শুরু হয়েছে। অবরোধকারীদের দাবি, ট্রেনে ওঠার ক্ষেত্রে রেলের তরফে নতুন অনুমতি দেওয়া হোক এবং সেই হিসেবে টিকিট কাউন্টার খোলা হোক।

আর এই দাবিতেই অবরোধকারীরা আন্দোলন করতে শুরু করেন বলে দেখা যায়। যেখানে আজই রেলের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নবান্নের বৈঠক নিয়ে আশার আলো দেখছিলেন সাধারণ মানুষ, সেখান এহেন আচরণে কি প্রভাব পড়বে, সেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন অনেকে। তবে সেইসঙ্গে তাই আপাতত নবান্নের বৈঠকের ইতিবাচক ফলাফলের দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন সাধারণ মানুষ।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!