এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > বিজেপির অন্যতম হেভিওয়েট নেতার নিষ্ক্রিয়তা কি চিন্তা বাড়াচ্ছে বিজেপির?

বিজেপির অন্যতম হেভিওয়েট নেতার নিষ্ক্রিয়তা কি চিন্তা বাড়াচ্ছে বিজেপির?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – মুকুল রায় গেরুয়া শিবিরে যোগ দেওয়ার পর থেকেই আঘাত হেনেছেন তৃণমূলের দুর্গে। কার্যত মুকুল রায়কে রাজ্যের গেরুয়া শিবিরের চাণক্য বলে অনেকেই অভিহিত করেন। লোকসভা নির্বাচনের সময়কাল থেকে যেভাবে তৃণমূল শিবিরে ভাঙন ধরেছে, তা যে মুকুল রায়ের হাত ধরে সে কথা অনস্বীকার্য। বাংলার রাজনীতিতে মুকুল রায় বনাম মমতা বন্দোপাধ্যায়ের দ্বৈরথ কারো অজানা নয়। লোকসভা নির্বাচনের আগে তৎকালীন তৃণমূল সেকেন্ড-ইন-কমান্ড মুকুল রায় তৃণমূল ছাড়েন, যোগ দেন গেরুয়া শিবিরে। আর তারপরেই গেরুয়া শিবিরের জন্য লড়াইয়ের ময়দান তৈরি করতে থাকেন। কিন্তু সেই মুকুল রায়কে ইদানীংকালে পুরোপুরি নিশ্চুপ থাকতে দেখা যাচ্ছে।

একুশের বিধানসভা নির্বাচনে কৃষ্ণনগর উত্তর থেকে মুকুল রায়কে প্রার্থী করা হয়েছে। কিন্তু প্রার্থী হবার পরেও সক্রিয়ভাবে মুকুল রায়কে একুশের নির্বাচনে পাওয়া যাচ্ছেনা, অন্যদিকে একুশের নির্বাচন কিন্তু গেরুয়া শিবিরের কাছে মরণ-বাঁচন লড়াই। অতএব মুকুল রায়কে নিয়ে ইতিমধ্যেই জল্পনা শুরু রাজনৈতিক মহলে। 2019 এর লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি বাংলায় 2 থেকে 18 এর দূরত্ব অতিক্রম করে মুকুল রায়ের সহায়তায়। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার পর থেকে তিনি পুরোপুরি নিশ্চুপ। ভোট প্রচারেও তাঁকে সেভাবে সক্রিয় হতে দেখা যায়নি। দলের সভা, মিটিং, মিছিলেও তাঁকে খুব কম দেখা যাচ্ছে।

এমনকি নির্বাচনী ময়দানে যেখানে নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ, জেপি নাড্ডারা জোরদার প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন, সেখানে তাঁদের পাশে মুকুল রায়কে দেখতে না পাওয়া বড়ই আশ্চর্যের বলে মনে করা হচ্ছে। নির্বাচনী আবহে বাংলায় চাপানউতোর ক্রমশ বাড়ছে, একের পর এক ঘটনা ঘটে চলেছে। প্রথমত নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবস্থান, শীতলকুচি কান্ড, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচারে নিষেধাজ্ঞাসহ অনেক কিছুই হয়ে চলেছে রাজ্যে। কিন্তু তাতেও মুকুল রায়কে নিশ্চুপ দেখা যাচ্ছে। কেন নীরব বাংলার বিজেপির চাণক্য মুকুল রায় তা নিয়ে চলছে কাটাছেঁড়া। একসময় মুকুল রায়ের হাত ধরে তৃণমূল ভেঙে বহু নেতা পা দিয়েছিলেন বিজেপিতে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

একুশের ভোট শুরুর প্রাকমুহুর্তে শুভেন্দু অধিকারী, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়সহ আবারও এক ঝাঁক তৃণমূলের নেতা মন্ত্রীরা বিজেপিতে আসেন। তারপরে মুকুল রায় কিছুটা কোণঠাসা হয়ে পড়েন বলে মনে করা হচ্ছে। বিজেপিতে থাকলেও কিন্তু মুকুল রায়ের সঙ্গে প্রায়শই বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে মতান্তর দেখা গিয়েছে। অন্যদিকে নবীনদের জায়গা ছাড়া নিয়ে কিছুদিন আগেই বার্তা দিয়েছিলেন মুকুল রায়। তারপর থেকেই তিনি নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছেন। খুব স্বাভাবিকভাবেই মুকুল ঘনিষ্ঠরা প্রশ্ন তুলেছেন, বিজেপিতে যেভাবে দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারী কিংবা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে সেভাবে কি মুকুল রায় গুরুত্ব পাচ্ছেন দলে?

অন্যদিকে রাজনৈতিক মহলের একাংশের জল্পনা- আবার মুকুল রায়ের সঙ্গে তৃণমূলের যোগাযোগ হয়েছে। অবশ্য সম্প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি বক্তব্য এই জল্পনাকে আরো বাড়িয়ে তুলেছে বলে মনে করা হচ্ছে। নির্বাচনী জনসভা থেকে শুভেন্দু অধিকারী এবং মুকুল রায়ের তুলনায় তিনি মুকুল রায়কে শুভেন্দুর থেকে অনেকটাই এগিয়ে রেখেছেন। সবমিলিয়ে মুকুল রায়ের বিজেপিতে এই মুহূর্তে নিষ্ক্রিয় থাকার পেছনে আসল কারণ কী তা নিয়ে রয়েছে কৌতূহল। তবে কৃষ্ণনগর উত্তরের প্রার্থী হিসেবে মুকুল রায়ের হয়ে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী আগামীদিনে প্রচারে কৃষ্ণনগরে আসতে চলেছেন। অতএব মুকুল রায় আদতে বিজেপির জন্য কি চিন্তা ভাবনা করছেন, তা নিয়ে থাকছে প্রশ্ন।

 

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!