বাম আমল থেকেই দুর্নীতি চলছে,নিজের দলের লোককেও ছেড়ে কথা বলিনা – মমতা ব্যানার্জী রাজ্য July 9, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সম্প্রতি রাজ্যজুড়ে আমফান পরবর্তী ত্রাণ দুর্নীতি নিয়ে রাজ্যের বিরোধী শিবির এবং সাধারণ জনগনের কড়া আক্রমণের মুখে পড়তে হয়েছে রাজ্য প্রশাসনকে। আর তারপরেই শাসক শিবিরকে রীতিমতো নড়েচড়ে বসতে দেখা গেছে। সেই সূত্রে বর্তমানে শাসক শিবিরে শুরু হয়েছে শুদ্ধিকরণ নীতি। আর সেই নীতি অনুযায়ী যাবতীয় দুর্নীতির চক্রান্তকারীদের মুখোমুখি হতে হচ্ছে প্রশাসনের কড়া শাস্তির। যদিও রাজনৈতিক মহলের একাংশের দাবি, কড়া শাস্তির মুখে পড়লেও দুর্নীতি কিন্তু এখনও বহু জায়গায় রয়ে গেছে। তবে দুর্নীতি প্রসঙ্গে এদিন মুখ্যমন্ত্রী বেশ কিছু মন্তব্য রাখেন সাংবাদিকদের সামনে। আর তাঁর মন্তব্যের রেশ ধরেই জানা যাচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুর্নীতির 90% চাপিয়ে দিয়েছে পূর্ব প্রশাসক সিপিএমের ঘাড়ে। এদিন মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন, বাম আমলে যে দুর্নীতি ছিল 100% সেই দুর্নীতি বর্তমানে তিনি 10 শতাংশে নামিয়ে এনেছেন। উপরন্তু তিনি জানান, যে দুর্নীতি বাম আমল থেকে চলছিল, সেই দুর্নীতিকে পুরোপুরি নির্মূল করা হয়তো সম্ভব হয়নি তবে অনেকটাই কমানো গেছে। এর সাথে তিনি আরো জানান, তৃণমূলে যাঁরা দুর্নীতি করেছে তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। তবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিরোধী দল যেভাবে প্রতিবাদ করেছিল, সেদিকে লক্ষ্য রেখে এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানান, দু একটি ছোট ঘটনাকে রাজ্যের কোন কোন দল ইস্যু করে বড় রাজনীতি করার চেষ্টা করছে। তবে এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানান, মানুষের টাকা যাতে কোনোভাবেই মার না যায় সে ব্যাপারে তিনি কড়া নির্দেশ দিয়েছেন। অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী এদিন পরোক্ষে স্বীকার করে নেন রাজ্যে এখনও দুর্নীতি রয়েছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - তবে সেই দুর্নীতি কড়া হাতে দমন করা চলছে বলে জানান তিনি। উপরন্তু মুখ্যমন্ত্রী এদিন দাবি করেন, রাজ্যজুড়ে যতটুকু দুর্নীতি আছে, সেটিও ধীরে ধীরে কমে যাবে। বরং বাইরের রাজ্যে রয়েছে 90% দুর্নীতি সেক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গে মোট 10% দুর্নীতি। আর মুখ্যমন্ত্রীর এই দাবি ঘিরেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে তুমুল সমালোচনা। তবে এদিন মুখ্যমন্ত্রী দুর্নীতির দায় বাম আমলের ঘাড়ে তুলে দিয়ে বলেন, 34 বছরের দুর্নীতির অভ্যাস এত সহজে যাবার নয়। আর এই দুর্নীতিকে সামলানোর জন্য তৃণমূল সরকারের লড়াই চলছে রাজ্যজুড়ে। আমফান পরবর্তী সময়ে প্রবলহারে দুর্নীতি পরিলক্ষিত হয়েছে রাজ্যজুড়ে এবং প্রতিটি দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত হয়েছে তৃণমূল নেতা নেত্রীদের নাম। প্রকৃতপক্ষে প্রতিটি ক্ষেত্রে চলেছে স্বজনপোষণ। তৃণমূল নেতারা নিজে এবং নিজের পরিবারের নামে ক্ষতিপূরণের টাকা তুলেছেন বলে দাবি করছেন বহু জায়গার সাধারণ মানুষ। শুধু তাই নয়, এর সাথেই কাটমানিরও অভিযোগ রয়েছে বহু জায়গা থেকে। বর্তমানে অবশ্য শাসকদল দুর্নীতির বিরুদ্ধে কড়া মনোভাব দেখানোর পর থেকেই রাজ্যজুড়ে ক্ষতিপূরণের টাকা ফেরত দেবার হিড়িক লেগেছে বলে জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে রাজ্যের বিরোধী দলের দাবি, দুর্নীতি যেভাবে শাসক শিবিরের রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রবেশ করেছে, তাতে শুদ্ধিকরণে যে কতটা কাজ হবে তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ থাকছে। তবে বিশেষজ্ঞদের মত, 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের দিকে লক্ষ্য রেখে রাজ্যের শাসকদলের বর্তমান পদক্ষেপ নেওয়া চলছে। আপাতত নজর থাকবে রাজ্যবাসী দুর্নীতির হাত থেকে আদৌ রক্ষা পান কিনা। আপনার মতামত জানান -