এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > ছাত্রীর ধর্মীয় পরিচয় প্রকাশ্যে আনা নিয়ে বিতর্কের মুখে সাংসদ সভাপতি, সমালোচনা সর্বত্র

ছাত্রীর ধর্মীয় পরিচয় প্রকাশ্যে আনা নিয়ে বিতর্কের মুখে সাংসদ সভাপতি, সমালোচনা সর্বত্র


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনা পরিস্থিতিতে কিছুদিন আগেই মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল বেরিয়েছে। উচ্চমাধ্যমিকের ফলাফল প্রকাশ করেছেন উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভানেত্রী মহুয়া দাস। কিন্তু পরীক্ষার নম্বর ঘোষণা করতে গিয়ে তিনি রীতিমতো বিতর্ক উস্কে দিয়েছেন। কার্যত মহুয়া দাসের সমালোচনায় এই মুহূর্তে রাজ্যের শাসক থেকে বিরোধী সমস্ত দলের নেতারা। সম্প্রতি উচ্চ মাধ্যমিকে সর্বোচ্চ নাম্বার প্রাপকের পরিচয় বলতে গিয়ে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভানেত্রী মহুয়া দাস সাংবাদিক বৈঠকে বারংবার ছাত্রীর ধর্ম প্রকাশ করতে থাকেন। আর তাই নিয়েই শুরু হয়েছে রাজ্য জুড়ে তীব্র বিতর্ক।

কার্যত শিক্ষা সংসদের সভানেত্রীর বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই পদক্ষেপের দাবি তুলেছে বিজেপি। পাশাপাশি বাংলার ইমাম সংগঠনের পক্ষ থেকেও সংসদ প্রধানের পদ থেকে মহুয়া দাসকে সরানোর দাবি তুলেছে। অন্যদিকে মহুয়া দাস নিজেই শিক্ষা সংসদের সভানেত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়াতে চেয়েছেন। ধর্ম তুলে ফল প্রকাশের কারণ হিসেবে সংসদের সভানেত্রী জানান, সংসদের ইতিহাসে এই প্রথম এত ভালো রেজাল্ট করেছে কেউ। যে মেয়েটির উচ্চমাধ্যমিকে সর্ব্বোচ্চ নাম্বার পেয়েছে, তাঁকে নিয়ে কথা বলার সময় তিনি আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন এবং আবেগের বশে তিনি মেয়েটির ধর্মীয় পরিচয় বলতে থাকেন, যাতে সাংবাদিকরা বুঝতে পারেন সহজেই।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে মহুয়া দাসের এই যুক্তি ধোপে টিকছে না বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। ইতিমধ্যেই বিজেপির রাজ্য মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, যেভাবে মহুয়া দাস সর্বোচ্চ নম্বর প্রাপকের ধর্ম পরিচয় প্রকাশ করেছেন তা অত্যন্ত অন্যায়। এক্ষেত্রে ছাত্রীর পরিচয় দিতে গিয়ে তাঁর ধর্ম, জাতিকেও অপমান করা হয়েছে। এক্ষেত্রে সরকারের অবস্থান সংক্রান্ত প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। অন্যদিকে মহুয়া দাসের আচরণ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে ইতিমধ্যেই শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানিয়েছেন, ধর্মীয় পরিচয় না দিলে ব্যাপারটি ঠিক থাকত। সেক্ষেত্রে মহুয়া দাস হয়তো আবেগপ্রবণ হয়ে এই কথা বলেছেন। এই প্রথম সংখ্যালঘু কোন মেয়ে উচ্চমাধ্যমিকে এত ভালো নম্বর পেয়ে ইতিহাস তৈরি করেছে।

অন্যদিকে যাকে নিয়ে এত আলোচনা, সেই রুমানা সুলতানা অবশ্য বিষয়টি নিয়ে কোনো জলঘোলা বা বিতর্ক চাইছেনা। তবে ধর্মীয় পরিচয় এভাবে বাইরে না আসলেই ভালো হত বলে তিনি জানিয়েছেন। শাসক-বিরোধী মহল যেভাবে মহুয়া দাসের সমালোচনা শুরু করেছে, তাতে আগামী দিনে এই বিতর্কের জল আরো বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে। পাশাপাশি রাজ্যের শিক্ষা দপ্তরের শোকজের নোটিশের উত্তরে শিক্ষা সংসদের সভানেত্রী মহুয়া দাস কি বলেন, সেদিকে থাকছে নজর।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!