এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > ছিঃ, শেষমেষ ট্রাক আটকে তোলা আদায় মমতা পুলিশের? তাহলে এতদিন ঠিক কথাই বলতেন শুভেন্দু!

ছিঃ, শেষমেষ ট্রাক আটকে তোলা আদায় মমতা পুলিশের? তাহলে এতদিন ঠিক কথাই বলতেন শুভেন্দু!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- পুলিশের বিরুদ্ধে এতদিন নানা অভিযোগ করতেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মিথ্যে কেস দেওয়া তো বটেই। গাড়ি আটকে পুলিশ অনেক জায়গা থেকে তোলা তুলছে বলেও দাবি করতেন শুভেন্দুবাবু। স্বাভাবিক নিয়মেই তার সেই দাবিকে মিথ্যা বলে উড়িয়ে দিত শাসক দল। কিন্তু এবার কলকাতা হাইকোর্টে যে ঘটনা ঘটে গেল, তাতে শুভেন্দু অধিকারীর পুলিশ সম্পর্কে এই মারাত্মক অভিযোগ মান্যতা পেল বলেই মনে করছেন একাংশ। যেখানে একেবারে কলকাতা হাইকোর্টে এক ট্রাকচালক দেখালেন পুলিশের তোলা আদায় করার ঘটনার ভিডিও। যা দেখে রীতিমত ক্ষিপ্ত বিচারপতি।

প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই উত্তর দিনাজপুরের ডালখোলার উপর দিয়ে একটি ট্রাক যাচ্ছিল। আর সেই সময় পুলিশের পক্ষ থেকে সেই ট্রাক চালককে আটকে তোলা দাবি করা হয়। এমনকি পরবর্তীতে থানার ভেতরে নিয়ে গিয়ে সেই ট্রাক চালকের কাছে প্রতি মাসে সাড়ে চার হাজার টাকা করে দাবি করেন পুলিশ অফিসার। যে টাকা দিয়ে দিলে আর হয়রানি করা হবে না বলেও জানানো হয়। আর এই ঘটনার ভিডিও করে রাখেন সেই ট্রাক চালক। এদিন কলকাতা হাইকোর্টে সেই ভিডিও তিনি বিচারপতিকে দেখান। যা দেখে রীতিমতো ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। কেন এই ধরনের ঘটনার ঘটবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। পাশাপাশি গোটা ঘটনায় সিআইডি তদন্তের নির্দেশও দেয় আদালত। আর এই ঘটনার পর থেকেই রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

বিরোধীদের দাবি, পুলিশ যে কতটা নিচে নেমে গিয়েছে, তা এই ঘটনার মধ্য দিয়ে আরও একবার প্রমাণিত। পুলিশের কাজ চোর ধরা। কিন্তু এখন অনেক ক্ষেত্রেই পুলিশ আসামীর কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে পড়ছে। তাদের বিরুদ্ধে তোলা তোলার মত ভয়ংকর অভিযোগ উঠছে। আইনকে রক্ষা করার দায়িত্ব যাদের হাতে, তারাই আজকে আইনের ভক্ষক হয়ে উঠেছেন। এতদিন শুভেন্দু অধিকারী তাহলে যে সমস্ত অভিযোগ করতেন, পুলিশের বিরুদ্ধে গাড়ি থামিয়ে টাকা আদায় করার যে ভয়ংকর চিত্র উঠে এসেছে, তাতে সেই বক্তব্য তো শীলমোহর পেয়ে গেল। এখন কি বলবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসন? পুলিশ মন্ত্রী হিসেবে কি এর দায় মুখ্যমন্ত্রীর নয়! তাকে তো এই ঘটনায় জবাব দিতে হবে বলে পাল্টা সোচ্চার হতে শুরু করেছে বিরোধীরা।

পর্যবেক্ষকদের মতে, শুভেন্দু অধিকারী পুলিশ সম্পর্কে নানা কথা বলতেন। কিন্তু তারপরেও রাজ্য পুলিশ নিয়ে একটা ভরসা ছিল সকলের। কিন্তু এবার সেই ভরসা সম্পূর্ণরূপে ভেঙে গেল। প্রমাণ হয়ে গেল, মিথ্যা অভিযোগ করেন না রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। আর শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ মিথ্যা বা সত্যের থেকেও বড় কথা, কি বার্তা গেল পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ সম্পর্কে? এ লজ্জা কোথায় রাখবে বাংলা? পুলিশের মেরুদন্ড সম্পূর্ণ রূপে যে ভেঙে পড়েছে, তা তো আজ আদালতের ভেতরে ট্রাক চালকের এই ভিডিওর মধ্যে দিয়েই স্পষ্ট। যে বাংলা নিয়ে বিদেশের মাটিতে এত বড় বড় কথা বলে এলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সেই বাংলার মাথাটা আজকে এই ঘটনায় কতটা নীচু হয়ে গেল! এর জবাব কে দেবে? কেন পুলিশের মধ্যে এই জঘন্য মানসিকতা প্রবেশ করেছে? কোথা থেকে জন্মাচ্ছে এই তোলা আদায় করার খিদে? প্রশ্ন তুলছে সমালোচক মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!