এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > মরছে মানুষ, অবশেষে শুভেন্দুর গর্জনে হুশ ফিরল মমতার! ড্যামেজ কন্ট্রোলে নবান্ন!

মরছে মানুষ, অবশেষে শুভেন্দুর গর্জনে হুশ ফিরল মমতার! ড্যামেজ কন্ট্রোলে নবান্ন!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- রাজ্যে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার নিয়েছে। কিন্তু তারপরেও সরকারের ঘুম ভাঙছে না। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী সপার্ষদ বিদেশ থেকে শিল্পে বিনিয়োগের বৈঠক সেরে রাজ্যে ফিরে এসেছেন। কিন্তু উচ্চপর্যায়ের কোনো বৈঠক করে এই ডেঙ্গুকে আটকাতে সরকারের আন্তরিকতা না দেখে বারবার সরব হয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তিনি দাবি করেছেন, মুখ্যমন্ত্রী খেলাবেলা করতে ব্যস্ত। কিন্তু মানুষের বিপদে তার কোনো নজর নেই। তবে শুভেন্দু অধিকারীর এই লাগাতার আক্রমণে অবশেষে বিপদ বুঝে ঘুম ভাঙলো রাজ্য সরকারের। বিরোধীদের দাবি, ঠেলায় পড়ে এবার ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবিলায় বৈঠক ডাকতে বাধ্য হল নবান্ন।

সূত্রের খবর, আজ নবান্নে ডেঙ্গু নিয়ে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করবেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। যেখানে হাওড়া, হুগলি এবং দুই ২৪ পরগনার জেলা শাসকদের উপস্থিত থাকার কথা। পাশাপাশি প্রত্যেকটি জেলার জেলাশাসকরা ভার্চুয়ালি এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন বলে খবর। কিন্তু এতদিন কেন এই ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি রাজ্য সরকারকে? যখন পরিস্থিতি কার্যত হাতের বাইরে বেরিয়ে গিয়েছে, তখন কেন এত মানবদরদী মনোভাব দেখাচ্ছেন নবান্নের কর্তারা? জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই নবান্নে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

বিরোধীদের দাবি, এই রাজ্য সরকারের একটা অংশ মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে যখন বিদেশে ছিলেন, তখন ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়েই স্বরাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। কিন্তু তার সঙ্গে কথা বলার সুযোগ টুকু পাওয়া যায়নি। তারপর ডেঙ্গু পরিস্থিতি আয়ত্তের বাইরে বেরিয়ে গিয়েছে। নির্লজ্জ এই সরকার তা সামলাতে কার্যত ব্যর্থ। শুভেন্দু অধিকারী সম্প্রতি আবার দাবি করেছেন যে, এই সরকারের কাছ থেকে মানুষের সুবিচার পাওয়ার কোনো আশা নেই‌। তাই শেষ পর্যন্ত পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে নিজের প্রশাসনিক টিমকে ময়দানে নামার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু এত দেরি করে, এত মানুষের মৃত্যু দেখার পর সরকারের এই আন্তরিকতা নিয়ে যথেষ্ট প্রশ্ন রয়েছে বলেই দাবি বিরোধী শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, এর জন্য শুভেন্দু অধিকারীকে ক্রেডিট দিতেই হবে  তার লাগাতার সোচ্চার হওয়া, মানুষের বিপদ নিয়ে সরকারের গা ঢিলেমি মনোভাবের কথা তুলে ধরাতে অস্বস্তি তৈরি হয়েছিল নবান্নের 14 তলায়। ধীরে ধীরে এই ক্ষোভ যে মানুষের মধ্যেও পুঞ্জিভূত হতে শুরু করেছে, তা বুঝতে পেরেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তাই শুভেন্দু অধিকারীর গর্জন অবশেষে কাজে দিল। দেরি করে হলেও ঘুম ভাঙলো রাজ্যের সরকারের। শেষ পর্যন্ত ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে ঘটা করে অনুপ্রাণিত মিডিয়াদের দিয়ে সরকার পক্ষ প্রচার করাতে শুরু করেছে যে, তারা ডেঙ্গি মোকাবিলায় কতটা আন্তরিক। কিন্তু আগে থেকে যদি এই আন্তরিকতা দেখা যেত, যদি শুভেন্দু অধিকারীর কথা শুনে পদক্ষেপ গ্রহণ করত সরকার পক্ষ, তাহলে আজকে এত প্রাণ হারাতে হতো না পশ্চিমবঙ্গকে। তবে ডেঙ্গি মোকাবিলায় বৈঠক তো হচ্ছে। কিন্তু সেই বৈঠক কি শুধুই লোক দেখানো, নাকি আদৌ কাজের কাজ কিছু হবে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে সমালোচক মহলের মধ্যে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!