এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > মুর্শিদাবাদের দুই আসন নিয়ে প্রবল চিন্তায় তৃণমূল, গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব পথের কাঁটা? চর্চা তুঙ্গে!

মুর্শিদাবাদের দুই আসন নিয়ে প্রবল চিন্তায় তৃণমূল, গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব পথের কাঁটা? চর্চা তুঙ্গে!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সংখ্যালঘু অধ্যুষিত জেলা হিসেবে পরিচিত মুর্শিদাবাদ। আর এই মুর্শিদাবাদের অন্যতম বিধানসভা কেন্দ্র রেজিনগর বিধানসভা কেন্দ্র। তবে এই রেজিনগর বিধানসভা কেন্দ্রেও তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব অব্যাহত। এখানে একদিকে রয়েছেন রবিউল আলম চৌধুরী এবং অন্যদিকে রয়েছেন হুমায়ুন কবীর। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, একসময় হুমায়ুন কবীর কংগ্রেসের বিধায়ক ছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে অধীর রঞ্জন চৌধুরীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যুক্ত হন তিনি।

পরবর্তীতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাকে মন্ত্রীসভায় যুক্ত করলেও, উপনির্বাচনে আবার কংগ্রেসের কাছে পরাজিত হন তিনি। যার ফলে আবার তৃণমূল কংগ্রেস ত্যাগ করেন তিনি। 2016 সালের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিট না পাওয়ার কারণে নির্দল প্রার্থী হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু কংগ্রেসের রবিউল আলম চৌধুরীর কাছে পরাজিত হতে হয় তাকে।

এদিকে রবিউল আলম চৌধুরী তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করার পর হুমায়ুন কবীর যুক্ত হন ভারতীয় জনতা পার্টিতে। এখানেই শেষ নয়, ফের বিজেপির পক্ষ থেকে হুমায়ুন কবীরকে লোকসভা নির্বাচনে টিকিট দেওয়া হয়। কিন্তু সেখানে তিনি জয়লাভ করতে না পারায় আবার তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে যান।

তবে 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনে এই রবিউল আলম চৌধুরী এবং হুমায়ুন কবীরের মধ্যে দ্বন্দ্বের কারণে তৃণমূল কিছুটা হলেও সমস্যার মুখে পড়তে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। এবার রেজিনগর বিধানসভা কেন্দ্রে আবার রবিউল আলম চৌধুরীকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে তার পাশের আসন ভরতপুরে প্রার্থী করা হয়েছে হুমায়ুন কবীরকে।

একাংশের প্রশ্ন, রেজিনগর বিধানসভা কেন্দ্র হুমায়ুন কবীরের খাসতালুক এলাকা হিসেবেই পরিচিত। সেখানে হুমায়ুন কবীর নিজের হাতে সংগঠন সামলেছিলেন। সেদিক থেকে তাকে সেই কেন্দ্রে না দিয়ে পাশের কেন্দ্রতে পাঠিয়ে দেওয়ায় তার অনুগামীরা কতটা প্রবল শত্রু হিসেবে পরিচিত রবিউল আলম চৌধুরী স্বপক্ষে থেকে লড়াই করবেন, সেটাই এখন বড় প্রশ্ন বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অনেকে বলছেন, ইতিমধ্যেই হুমায়ুন কবীর যে বিধানসভা কেন্দ্রে দাঁড়িয়েছেন, সেখানে তৃণমূলের এক নেতা নির্দল হিসেবে দাঁড়িয়ে পড়েছিলেন। যার ফলে অনেকটাই অস্বস্তিতে পড়ে গিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। তবে তার সঙ্গে আলোচনা করে সেই নির্দল প্রার্থীকে কিছুটা হলেও বোঝাতে সক্ষম হয়েছেন হুমায়ুন কবীর। আর এখানেই একাংশ বলছেন, যারা আদি তৃণমূলের নেতা কর্মী আছেন, তারা ভরতপুরে হুমায়ুন কবীরের হয়ে কতটা কাজ করবেন, তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে। কেননা অনেকেই এই হুমায়ুনবাবুকে মেনে নিতে পারছেন না।

স্বাভাবিক ভাবেই তলায় তলায় তৃণমূলের ভোট অনেকটাই দলের নেতাকর্মীরাই কেটে দিতে পারে বলে দাবি করছেন একাংশ। স্বাভাবিক ভাবেই রেজিনগর এবং খড়গপুর বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের ভোট কাটাকুটি এবং দুই গোষ্ঠীর লড়াই সবথেকে বড় চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ঘাসফুল শিবিরের কাছে।

অবিলম্বে এই দুই বিধানসভা কেন্দ্রে দলের নেতাকর্মীদের মধ্যেকার অটুট রক্ষা করে জয়লাভ করা সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ তৃণমূলের কাছে বলে দাবি একাংশের। শাসক দলের জয়লাভ করতে গেলে এই দুই কেন্দ্রে নেতা কর্মীদের মধ্যে সমন্বয় রক্ষা করা অত্যন্ত জরুরি। সেদিক থেকে দলীয় দ্বন্দ্ব বন্ধ করে তৃণমূল এই দুই কেন্দ্রে জোড়াফুল ফোটাতে কতটা সক্ষম হয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!