এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > চলল নির্বিচারে গুলি, ধারালো অস্ত্রের কোপ! মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন ২ হেভিওয়েট তৃণমূল নেতা!

চলল নির্বিচারে গুলি, ধারালো অস্ত্রের কোপ! মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন ২ হেভিওয়েট তৃণমূল নেতা!

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – 2019 এর লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই দলনেত্রী তথ্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জোর দিয়েছেন গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বন্ধ করার ওপর। সম্প্রতি তৃণমূল শিবিরে হয়ে গেছে ব্যাপক আকারে সাংগঠনিক রদবদল। কিন্তু তা সত্বেও পরিস্থিতির যে বিশেষ কোনো হেরফের হয়নি, তা এদিনের ঘটনায় স্পষ্ট। আবারও তৃণমূলের অন্দরের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে তীব্র সংকটে এই মুহূর্তে বাংলার শাসক দল বলে মনে করা হচ্ছে। বহু বিশিষ্ট রাজনীতিবিদদের মতে, গোষ্ঠী সংঘর্ষ শাসক দলের অন্দরে তীব্রতর হয়ে উঠছে দিন দিন।

দীর্ঘদিন ধরেই দক্ষিণ 24 পরগনা বাসন্তী অঞ্চলে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চলছে বলে জানা যায়। কিন্তু এদিন বাড়াবাড়ি পর্যায়ে পৌঁছে গেল এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। বুধবার রাতে অভিযোগ উঠেছে যুব তৃণমূল কর্মীদের ওপর হামলা চালায় স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। সূত্রের খবর, বাসন্তীর শিমুলতলা এলাকায় 2 যুব তৃণমূল কর্মীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে তারপর তাঁদের উপর গুলি চালানো হয়। গুরুতর আশঙ্কাজনক অবস্থায় দুই যুব তৃণমূল কর্মীকে প্রথমেই ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁদেরকে কলকাতা চিত্তরঞ্জন মেডিকেল কলেজে স্হানান্তরিত করা হয়েছে বলে জানা গেছে। ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্তে নেমেছে স্থানীয় পুলিশ। বাসন্তী এলাকায় হামেশাই তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চলতে থাকে বলে জানা যাচ্ছে এলাকাবাসীর কাছে থেকে। কিন্তু বুধবার রাতে এই গোষ্ঠী সংঘর্ষ রীতিমতো চরম আকার ধারণ করে। বুধবার রাতে ক্যানিং থেকে শিমুলতলায় নিজেদের বাড়ি ফিরছিলেন ইজাজ আহমেদ এবং রশিদ আলি নামক দুই যুব তৃণমূল কর্মী।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জানা গেছে, আচমকা একদল যুবক তাঁদের বাইক আটকায় রাস্তায় এবং তাঁদেরকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো চলে। পাশাপাশি তাঁদের উপর গুলি চালানো হয়। গুলির আওয়াজ শুনে গ্রামবাসীরা এসে তাঁদেরকে উদ্ধার করে। কিন্তু ততক্ষণে দুষ্কৃতীরা চম্পট দিয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, আহত যুব তৃণমূল কর্মীদের অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। অন্যদিকে এই সংঘর্ষ নিয়ে বাসন্তীর যুব তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্য অন্য দাবি করেছে। তাঁদের কথা অনুযায়ী, এলাকা দখলের জন্য সিপিএম এবং আরএসপি যৌথভাবে এই হামলা করেছে।

যদিও সিপিএমের পক্ষ থেকে এখনও পাল্টা কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে এই মুহূর্তে থমথম করছে শিমুলতলা এলাকা। অন্যদিকে জানা যাচ্ছে, দক্ষিণ 24 পরগনা বাসন্তী, গোসাবা সহ একাধিক এলাকায় দীর্ঘদিন ধরেই শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চলছে। এখনো পর্যন্ত এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কোনো সুরাহা হয়নি। বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলার বিশেষ কিছু জায়গায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এমন চরম আকার ধারণ করেছে, যা না বন্ধ হলে আগামী দিনে এইসব এলাকায় তৃণমূল চরম বিপদে পড়তে পারে।

এর ফল তৃণমূলকে ভুগতে হতে পারে একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। অন্যদিকে বিধানসভা নির্বাচনের তাগিদে বহু আগে থেকেই তৃণমূল নেতৃত্ব গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বন্ধ করার আবেদন করে চলেছে সব জায়গায়। কিন্তু সে কথা যে বিশেষ কিছু জায়গায় কাজ করছে না তা এদিনের ঘটনা থেকে স্পষ্ট। অন্যদিকে বাসন্তীর গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ঘটনা তৃণমূল শিবিরকে যে যথেষ্ট অস্বস্তির মুখে দাঁড় করালো সে ব্যাপারে নিশ্চিত রাজনৈতিক মহলের অনেকেই।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!