এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > কংগ্রেস > নবীন-প্রবীনে তীব্র দ্বন্দ্বে আড়াআড়ি বিভাজন শাসকদলে? সরকারের পতনের আশঙ্কায় খোদ মুখ্যমন্ত্রী!

নবীন-প্রবীনে তীব্র দ্বন্দ্বে আড়াআড়ি বিভাজন শাসকদলে? সরকারের পতনের আশঙ্কায় খোদ মুখ্যমন্ত্রী!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –অনেকে রসিকতা করে বলে থাকেন কংগ্রেস দলে এখন যেন শনির দৃষ্টি পড়েছে। না হলে একের পর এক রাজ্য ক্ষমতাসীন দল কংগ্রেসের হাতছাড়া হয়ে পড়ছে। গত ২০১৮ সালে বেশ কয়েকটি রাজ্যে কংগ্রেসের বিজয় পতাকা উড়তে দেখা গিয়েছিল । কিন্তু তারপর বেশ কিছু কিছু রাজ্যে নিজেদের মধ্যে গন্ডগোলের কারণে দলে ভাঙন ধরেছে। রাজ্য গুলি বিজেপির পুনর্দখলে চলে গেছে। সম্প্রতি বিভিন্ন রাজ্যে কংগ্রেসের মধ্যে একটি ভয়াবহ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। যা হলো নবীন প্রবীণ এর দ্বন্দ্ব । এর ফলেই মধ্য প্রদেশ ডুবেছে, রাজস্থানও আশঙ্কায় আছে, এবার তার তালিকাভুক্ত হবার মুখে পাঞ্জাব।

দিল্লির নিকটবর্তী এই পাঞ্জাব রাজ্যটিই একমাত্র রাজ্য যেখানে কংগ্রেস তার বিজয় পতাকা উড্ডীন রাখতে সমর্থ হয়েছে কংগ্রেস। গত ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে গোটা দেশে কংগ্রেসের ফল আশানুরূপ না হলেও এই রাজ্যের ফল যথেষ্ট সন্তোষজনক ছিল। কিন্তু এই বর্তমানে এই রাজ্যেও শুরু হলো নবীন প্রবীণ এর দ্বন্দ্ব। পাঞ্জাব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং ও কংগ্রেস দলের জনৈক প্রভাবশালী সাংসদ প্রতাপ সিং বাজওয়া একে অপরের বিরুদ্ধে বিষেদাগার করতে শুরু করে দিয়েছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রসঙ্গত পাঞ্জাবের জনৈক বিধায়ক প্রতাপ সিং জনৈক সাংসদ প্রতাপ সিং বাজওয়া মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং এর প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে কংগ্রেস দলে যথেষ্ট পরিচিত আছেন আর সেই সঙ্গেই তিনি আবার কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলেও পরিচিত। আর রাহুল গান্ধীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার পুরস্কারস্বরূপ ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংয়ের যথেষ্ট আপত্তি থাকার পরেও ২০১৬ সালে পাঞ্জাব থেকে রাজ্যসভার ছাড়পত্র পেয়েছিলেন প্রতাপ সিং বাজওয়া।

সম্প্রতি পাঞ্জাবে বিষমদ পান করে ১২১ জন প্রাণ হারিয়েছেন। আর এই বিষমদ কাণ্ডের জন্য মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং কে দোষী সাব্যস্ত করেছেন বাজওয়া। তাঁর অভিযোগ, ” বহুবার সতর্ক করা সত্বেও বেআইনি ভাটিখানা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী কোনও ব্যবস্থা নেননি, তাই এই ঘটনার দায় তাঁকেই নিতে হবে।” এদিকে নিজের দিকে ওঠা এই অভিযোগে যথেষ্ট ক্ষুব্ধ হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী প্রতাপ সিং বাজওয়াকে দেওয়া সমস্ত রকম নিরাপত্তা তুলে নিয়েছেন এবং তাঁকে ‘পাগল’ বলে সম্বোধনও করেছেন। এর উত্তরে প্রতাপ সিং বাজওয়া বলেছেন, “বিষমদ কাণ্ডে আমরা প্রশ্ন তোলায় ক্যপ্টেন সাহেবের মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে। ভাবতেই পারছেন না নিজের দলের সাংসদ ওঁর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারে।”

এভাবেই পাঞ্জাবের কংগ্রেসের মধ্যে শুরু হয়েছে অন্তর্দ্বন্দ্ব। প্রতাপ সিং বাজওয়ার প্রতি যথেষ্ট ক্রুদ্ধ হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় হাইকমান্ডকে তিনি এই বিষয়টি অবগতও করতে চলেছেন বলে সংবাদ সূত্রে জানা যাচ্ছে । এবিষয়ে রাজনীতি মহল মনে করছেন, মুখ্যমন্ত্রী ও সাংসদের মধ্যের এই বিবাদ কংগ্রেস হাইকমান্ড নিয়ন্ত্রণ করতে না পারে তবে নিজেদের সমর্থকদের নিয়ে কংগ্রেস দল ত্যাগ করতে পারেন বাজওয়া, এমন আশঙ্কাও অমূলক নয়। আর পাঞ্জাবের আগামী বিধানসভা নির্বাচনের ২ বছর আগেই যদি এই হাল হয় তবে সেখানে কংগ্রেসের যথেষ্ট ভরাডুবির আশঙ্কা আছে। কারণ বাজওয়ার অনুগামী জানা তিনেক এমন যুবনেতাও আছেন যারা রাহুল গান্ধীর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ আবার এক সময়ে কংগ্রেসের জাতীয় স্তরে বিশেষ ভূমিকাও পালন করেছেন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!