এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > পুজোর বুকে ‘তিতলির হুল’- মাথায় হাত আপামর বঙ্গবাসী, ক্ষয়ক্ষতি না হলেও ভাসতে পারে গোটা বাংলা

পুজোর বুকে ‘তিতলির হুল’- মাথায় হাত আপামর বঙ্গবাসী, ক্ষয়ক্ষতি না হলেও ভাসতে পারে গোটা বাংলা

বাঙালির শ্রেষ্ট উৎসব দুর্গাপুজো ঘিরে যখন মর্ত্যে বেজে চলেছে আগমনীর সুর, তখন বঙ্গবাসীর এই প্রিয় উৎসবকে পন্ড করতে আসরে নামতে চলেছে বৃষ্টি অসুর। ইতিমধ্যেই ওড়িশা এবং অন্ধ্রপ্রদেশের দিকে থাকা নিম্নচাপ ঘুর্নিঝড়ে পরিনত হওয়ার কথা আবওহাওয়া দপ্তরের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। আর সেই মত গতকাল থেকেই সেই “তিতলি” নামক ঘুর্নিঝড়ের ভ্রুকুটি দেখতে পান আবওহাওয়াবিদরা।

আর তাই বঙ্গবাসীর আনন্দকে মাটি করতে এই ঘুর্নিঝড়টি যে ভয়াবহ সাইক্লোনের রুপ ধারন করতে চলেছে তা গতকালই জানিয়ে দেয় হাওয়া অফিস। কিন্তু ওড়িশা এবং অন্ধ্রতে প্রভাব পড়া এই ঘুর্নিঝড়ের সামান্য আভাস পাবে এরাজ্য। কেননা, এই ঝড়ের অভিমুখ দেখে আবওহাওয়াবিদদের ধারনা, আজ থেকে এই “তিতলি” গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের ওপর মুখ ঘোরাবে। কিন্তু ততক্ষনে অতটা শক্তি থাকবে না তার। তাই ভয়াবহ ঝড় না হলেও পুজোর সময় বৃষ্টি থেকে রেহাই পাচ্ছে না বাংলা।

জানা গেছে, আগামী 12 অক্টোবর পর্যন্ত এই বৃষ্টিপাত চলতে পারে। তবে ষষ্টীর পর থেকে বৃষ্টির সম্ভাবনা না থাকলেও গত কদিনে বাতাসে জলীয় বাস্প কমে যাওয়ায় এবং তিতলির প্রভাবে তা আবার বৃদ্ধি পাওয়ায় বজ্রগর্ভ মেঘ তৈরির সম্ভাবনা থাকবে। আর সেই চিন্তাতেই এখন থেকে এতদিনের পরিশ্রম যাতে পন্ড না হয় তার জন্য সবরকম প্রস্তুতি নিয়ে রাখছেন পুজো উদ্যোক্তারা।

আবহাওয়া দপ্তর সূত্রের খবর, আজ সকাল 11 টা নাগাদ ওড়িশার গোপালপুর এবং অন্ধ্রপ্রদেশের লিঙ্গপত্তনমের মধ্যবর্তী অঞ্চলে এই তিতলি নামক ঘুর্নিঝড়ের আছড়ে পড়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। আর তার জেরে দুই 24 পরগনা, দুই মেদিনীপুর, হাওড়া এবং হুগলিতে ভারি থেকে অতিভারী বৃষ্টির পাশাপাশি কলকাতা, ঝাড়গ্রাম, মুর্শিদাবাদ এবং নদীয়াতে এই বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি মালদা এবং দুই দিনাজপুরে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে বলে জানা গেছে।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

এদিকে এই বৃষ্টিপাতের কারনে দীঘা সহ উপকূলের সমস্ত পর্যটক আগামী তিনদিন সমুদ্র নামতে নিষেধাজ্ঞা জারি করার পাশাপাশি মৎস্যজীবিদের উদ্দেশ্যেও সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। কিন্তু পুজোর আগে যতই বৃষ্টি হোক না কেন! পুজোর সময় এই অসুর বৃষ্টি দেখতে চায় না বঙ্গবাসী। কিন্তু পুজোর সময় যে বৃষ্টি হবে না এমন কোনো আশার বানী শোনাতে পারছে না হাওয়া অফিসও। তাঁদের ধারনা, উপকূলে এসে এই “তিতলি” র শক্তি নষ্ট হলে তা প্রথমে অতি নিম্নচাপ এবং পরে নিম্নচাপের পরিনত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এখন যাতে এই সম্ভাবনা না থাকে তার জন্য দেবী দুর্গাই বড় ভরসা বাংলার মানুষের কাছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!