এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > সিভিক ভলান্টিয়ারকে মারধর হেনস্তার অভিযোগ খোদ শাসকদলের হেভিওয়েট সংসদের অনুগামীদের বিরুদ্ধে

সিভিক ভলান্টিয়ারকে মারধর হেনস্তার অভিযোগ খোদ শাসকদলের হেভিওয়েট সংসদের অনুগামীদের বিরুদ্ধে


জগৎপুরের চড়কতলা এলাকায় এক সিভিক ভলেন্টিয়ার অন্যায়ের প্রতিবাদ করায় শাসকদলের হেনস্থার শিকার হল। তৃণমূল সাংসদ দোলা সেনের অনুগামীদের বিরুদ্ধে এই মারধোরের অভিযোগ ওঠে। পাশাপাশি সাংসদের সামনেই ওই এলাকার কয়েকটি বাড়ি ভাঙচুর করা হয় বলেও অভিযোগ। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই সিভিক ভলান্টিয়ারকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তাঁর শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক। লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হলে তৎক্ষণাৎ তদন্ত নামে বাগুইআটি থানার পুলিশ।

দুর্গাপুজোর ভাসানকে কেন্দ্র করে এলাকা দখল নিয়ে দোলা সেনের অনুগামীদের সঙ্গে বিধাননগর পৌরনিগমের কাউন্সিলর দেবরাজ চক্রবর্তীর অনুগামীদের মধ্যে গন্ডোগোল শুরু হয়। গতকাল রাত ১১ টা নাগাদ দেবরাজ বাবুর অনুগামী বলে পরিচিতি স্থানীয় তৃণমূল কর্মী সমীর চক্রবর্তীর বাড়ির দুর্গাপুজোর ভাসান ছিল। তাঁরা ভাসানে বেরোলেই দোলা সেনের তিন অনুগামী সুজয় নস্কর,তুফান মন্ডল ও বিকাশ মন্ডল এলাকায় আসে। তারপর তারা ফোন করে আরো প্রায় জনা ত্রিশেক দুষ্কৃতিকে জড়ো করে। এরা এসে আচমকাই সমীর বাবুর বাড়ি লক্ষ্য করে ইট ছুঁড়তে থাকে। খবর পেয়ে সমীর বাবু এবং তাঁর স্ত্রী রূপা দেবী ঘটনাস্থলে এলে স্থানীয় শনি মন্দিরের সামনে সমীর বাবুকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধোর করে দুষ্কৃতিরা। ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করা হয়। শুধু তাই নয়,গুলি চালানো হয় বলেও অভিযোগ রয়েছে। সমীরবাবুকে তাঁর স্ত্রী বাঁচাতে এগিয়ে এলে বন্দুকের বাঁট দিয়ে তাঁর মুখেও আঘাত করা হয়। ইতিমধ্যে তাঁদের ছেলে এগিয়ে এলে তাকেও রাস্তায় ফেলে বাঁশ দিয়ে পেটানো হয়। ঘটনাক্রমে ওই স্থান থেকেই তখন ডিউটিতে যাচ্ছিলেন সোমনাথ দাস নামের ওই সিভিক পুলিশ। ভয়াভয় পরিস্থিতি দেখে তিনি দুষ্কৃতিদের আটকাতে যান। কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠ দলবলের সঙ্গে পেরে ওঠেননি তিনি। তাকেও দুষ্কৃতিরা ব্যাপক মারধোর করে। ইট দিয়ে মাথা থেতলে দেওয়া হয় তাঁর। প্রতিকূল পরিস্থিতি দেখে পুলিশকে খবর দেন স্থানীয়রা। কিন্তু তাঁরা পৌছায় ঘন্টা দেড়েক পরে। তবে পুলিশ আসার আগেই দুষ্কৃতিরা চম্পট দেয়। তারপর পুলিশের উদ্যোগে আহতদের উদ্ধার করে ভিআইপি রোড সংলগ্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয় না। মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন সিভিক পুলিশটি। মাথায়, গালে ইটের আঘাতে গর্ত হয়ে গিয়েছে। ৪৮ ঘন্টা না কাটলে তাঁর শারীরিক অবস্থা নিয়ে কিছু বলতে পারছেন না চিকিৎসকরা। অন্যদিকে,সমীর বাবুর অবস্থাও আশঙ্কাজনক। মাথায় ১৭ টি সেলাই পড়েছে তাঁর।

 

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো  করুন এই লিঙ্কেখবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

 

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক

প্রায়ই নাকি এলাকায় গন্ডোগোল পাকায় দোলা সেনের অনুগামীরা, এমনটাই অভিযোগে জানালেন আক্রান্ত সমীর বাবুর স্ত্রী রূপা দেবী। হামলার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি জানান,সমীরবাবু সমাজসেবামূলক কাজে যুক্ত। এলাকার উন্নয়ন করছেন। সেটাই সহ্য হচ্ছে না দোলা সেনের অনুগামীদের। দোলা সেনের অনুগামীরা এলাকায় অসামাজিক কাজকর্ম করেন,এমনটাই তাঁর দাবী। তিনি অভিযোগে আরো জানান,হাসপাতালে থাকাকালীন তাঁদের আরো একটা বাড়িতে ভাঙচুর করে দুষ্কৃতিরা। ইটি মেরে বাড়ির দরজা জানলা ভাঙে। এমনকি জানলার গ্রীলগুলো পর্যন্ত নষ্ট করেছে দুষ্কৃতিরা। অন্যদিকে,আক্রান্ত সিভিক পুলিশের কাকিমা মানসী দাস অভিযোগে জানান,”সাংসদ দোলা সেনের সামনেই এক উকিলের বাড়িসহ ৪টি বাড়িতে ভাঙচুর চালায় দুষ্কৃতীরা। এমনকী ৪-৫ রাউণ্ড গুলিও চলে।” এই প্রেক্ষিতে তাঁর প্রশ্ন,”আমার ছেলে তো দেবরাজেরও নয়, দোলা সেনেরও নয়। তাহলে ওকে কেন মরতে হবে ?” অন্যায়ের প্রতিবাদ করার মূল্য এভাবে চোকাতে হচ্ছে সিভিক পুলিশকে। তিনি আদেও বাঁচবেন কিনা সেটা পর্যন্ত নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না এখন ডাক্তারেরা। এই ন্যাক্কারজনক ঘটনায় থমথমে অবস্থা রয়েছে এলাকায়।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!