এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > টাকা দেব আমরা, কৃতিত্ব নিয়ে যাবে কেন্দ্র! দিল্লিকে দালালি করতে দেব না : মুখ্যমন্ত্রী

টাকা দেব আমরা, কৃতিত্ব নিয়ে যাবে কেন্দ্র! দিল্লিকে দালালি করতে দেব না : মুখ্যমন্ত্রী

দক্ষিণ 24 পরগনার নামখানার প্রশাসনিক বৈঠক থেকে ফের কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলে সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বস্তুত, ক্ষমতায় আসার পর থেকেই কেন্দ্র রাজ্যের প্রতি আর্থিক বঞ্চনা করছে বলে বিভিন্ন সময়ই কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগতে দেখা যায় রাজ্যের শাসকদলের নেতা মন্ত্রীদের। এমনকি বিভিন্ন সময়ে এই বিষয়ে সরব হন মুখ্যমন্ত্রীও। কিন্তু এবার ফের সেই দক্ষিণ 24 পরগনা জেলার প্রশাসনিক বৈঠক থেকে কেন্দ্রকে কাঠগড়ায় তুললেন তিনি। কিন্তু এদিন ঠিক কি কারণে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হলেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান?

প্রসঙ্গত, কেন্দ্রের অধীনে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা এবং প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা নামে দুটি প্রকল্প রয়েছে। কিছুদিন আগেই হাওড়ার উলুবেড়িয়ার ব্যাঙ্কে কিছু গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে প্রচুর পরিমাণে টাকা ঢুকে যায়। আর এতেই প্রবল চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয় এলাকায়। ঠিক কি কারণে টাকা ঢুকল তা বুঝে পাচ্ছিলেন না কেউই।

পরবর্তীতে অবশ্য জানা যায় যে, ফসলের ক্ষতিপূরণ হিসেবে বীমা কোম্পানির তরফ থেকে এই টাকা দেওয়া হয়েছে। এদিন সেই ঘটনার কথা উল্লেখ করে দক্ষিণ 24 পরগনা নামখানার প্রশাসনিক বৈঠক থেকে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ফসল বীমা যোজনারা 80 শতাংশ টাকা আমরা দিই। কিন্তু বিজেপি পার্টি অফিস থেকে প্রচার করা হচ্ছে এটা কেন্দ্রীয় সরকারের টাকা। 80 টাকা যখন আমরা দিই এবার বাকি 20 শতাংশ আমরাই দেব।”

মুখ্যমন্ত্রীর আরও অভিযোগ যে, বিজেপির পার্টি অফিস থেকে রাজ্যের এই প্রকল্প গুলো কেন্দ্রের নামে প্রচার করা হচ্ছে। আর এই প্রচার ও প্রবণতা আটকাতে প্রশাসনিক আধিকারিকদের সতর্ক হওয়ার নির্দেশ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি ফসল বীমা সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য এবার থেকে রাজ্য সরকারের পোর্টালেই দেওয়ার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।

সূত্রের খবর, এদিনের এই সভায় দক্ষিণ 24 পরগনা জেলার 100 দিনের কাজের রিপোর্ট পেশ করেন জেলাশাসক রত্নাকর রাও। জানা যায়, গোটা জেলায় 100 দিনের কাজ সন্তোষজনক হলেও শেষ দুমাসের টাকা এখনো পাননি উপভোক্তারা। আর এই প্রসঙ্গেই মুখ খুলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আড়াই হাজার কোটি টাকা বকেয়া থাকলেও তাঁরা আমাদের রাজ্যকে এই ব্যাপারে বঞ্চিত করছে।”

 

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, সামনেই লোকসভা ভোট। আর সেই লোকসভা ভোটের আগে দক্ষিণ 24 পরগনা জেলার প্রশাসনিক বৈঠক থেকে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ করে ফের সরব হলেন বাংলার প্রশাসনিক প্রধান। তবে শুধু কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশই নয়, এদিন রাজ্য সরকারের বেশ কয়েকটি দপ্তরেরও কাজের ব্যাপারে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী।

জনস্বাস্থ্য ও কারিগরী দপ্তরের জল প্রকল্পের কাজ দীর্ঘ সময় ধরে চলায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “একটা সরকার পাঁচ বছরের জন্য ক্ষমতায় আসে। কিন্তু এই কাজ শেষ করতে দীর্ঘ বছর সময় লেগে যাচ্ছে।” অন্যদিকে বিভিন্ন জায়গায় জলের পাইপ লাইন ফুটো করার অভিযোগ শুনে স্থানীয় বিধায়কদের সেই দিকে নজর দেওয়ার কথা বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি আবাস যোজনা প্রকল্প থেকে কমিশন নেওয়া ব্যক্তিদের বরদাস্ত করা হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

অন্যদিকে এদিনের এই প্রশাসনিক সভায় কৃষকদরদী রূপেও ধরা দেন মুখ্যমন্ত্রী। ধান কেনায় ফড়ে এবং দালালরাজ বন্ধ করতে মুখ্যমন্ত্রীর নিদান, “ধান দিন, চেক নিন। আমরা 3 জানুয়ারি থেকে চেকের মাধ্যমে টাকা দেওয়া চালু করছি।” এই সভা থেকে ভাঙ্গড়ের পাওয়ার সাবস্টেশন তৈরির কাজ কেন এত ঢিলেমি পর্যায় চলছে তারও খোঁজ খবর নেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সবমিলিয়ে দক্ষিণ 24 পরগনা প্রশাসনিক বৈঠক থেকে একদিকে কেন্দ্র অপরদিকে রাজ্যের বেশ কয়েকটি দপ্তরের কাজে সমালোচনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!