এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > কোচবিহার ফিরে পেতে এবার তৃণমূলের অস্ত্র কি রাসমেলা? আসরে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী? বাড়ছে জল্পনা

কোচবিহার ফিরে পেতে এবার তৃণমূলের অস্ত্র কি রাসমেলা? আসরে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী? বাড়ছে জল্পনা

লোকসভা নির্বাচনের আগে কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের টিকিট কাকে দেওয়া হবে, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক জল্পনা ছড়িয়েছিল। তবে তৃণমূলের যুব নেতা হিসেবে পরিচিত নিশীথ প্রামাণিক বিজেপিতে যোগদান করলে তাঁকে বিজেপি প্রার্থী করে দেওয়ায় কিছুটা চাপে পড়েছিল তৃণমূল।

অন্যদিকে তৃণমূলের তরফে ভূতপূর্ব সাংসদ পার্থপ্রতিম রায়কে টিকিট না দিয়ে তৎকালীন জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষের কথামত এই কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্বাচনে লড়ার জন্য টিকিট দেন বাম সরকারের প্রাক্তন মন্ত্রী পরেশ অধিকারীকে। আর পরেশবাবু টিকিট পাওয়ার জন্য তৃণমূলের অন্দরেই দুটি গোষ্ঠী দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়।

এছাড়াও প্রাক্তন তৃণমূল যুবনেতা নিশীথ প্রামাণিক বিজেপিতে যাওয়ায় এবং বিজেপির টিকিট লড়াই নিজেদের জয় আনতে মরিয়া হয়ে ওঠে তৃণমূল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এখানে শেষ হাসি হাসেন বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিক। পরাস্ত হতে হয় তৃণমূলের পরেশ অধিকারীকে।

আর বিজেপি এই কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্র জয়লাভের পর থেকেই তৃণমূলের অনেক নেতা-কর্মী গেরুয়া শিবিরে নাম লেখাতে শুরু করেন। যা নিঃসন্দেহে অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায় ঘাসফুল শিবিরের কাছে। কিন্তু সামনেই বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। যে বিধানসভা নির্বাচনে লোকসভায় হেরে যাওয়া আসনগুলিতে ঘাসফুল ফোটাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে তৃণমূল।

আর তাই এক সময় নিজেদের দাপট থাকা কোচবিহারকে ফিরে পেতে তৃণমূলের সকলেই এখন চাইছেন যে, এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আসরে নামুন। বস্তুত, রাজ্যের প্রতিটি জেলার বিভিন্ন কৃষ্টি এবং সংস্কৃতি রয়েছে। কোচবিহার জেলার অত্যন্ত ঐতিহ্যমন্ডিত উৎসব হচ্ছে রাসমেলা। আর এবার কি দলের ভাবমূর্তি স্বচ্ছ করতে সেই রাসমেলাতেই আসতে চলেছেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়!

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, শুক্রবার এই রাসমেলা উপলক্ষে কোচবিহারের ল্যান্সডাউন হলে যে প্রশাসনিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়, সেখানেই মুখ্যমন্ত্রীর আসার কথা ধরে নিয়ে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থার কথা প্রশাসনিক আধিকারিকরা শোনালে সেই রাসমেলায় মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতি নিয়ে প্রবল গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ল। জানা গেছে, আগামী নভেম্বর 11 নভেম্বর থেকে 26 শে নভেম্বর পর্যন্ত কোচবিহারের রাসমেলা মাঠে এই মেলা অনুষ্ঠিত হবে।

এদিন এই ব্যাপারে আগাম প্রশাসনিক বৈঠক করে যাতে সেই ঐতিহ্য ষমন্ডিত রাসমেলাকে সুষ্ঠুভাবে সমাধান করা যায়, তার জন্য প্রশাসনের তরফে নানা আলোচনা করা হয়। আর এই বৈঠক শেষে কোচবিহারের জেলাশাসক বলেন, “প্রত্যেক বছরের মতো এবারেও রাসমেলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী আসতে পারেন, সেটা ধরেই আমরা ব্যবস্থা করছি। প্রটোকল অনুসারে সমস্ত ব্যবস্থায় রাখা হবে। এদিন বিভিন্ন দপ্তরের সঙ্গে রিভিউ মিটিং করা হয়। আশা করছি, অন্যান্যবারের মতো এবারেও সুষ্ঠুভাবে রাসমেলা করতে পারব।”

তাহলে কি সত্যিই সত্যিই কোচবিহারের ঐতিহ্যমন্ডিত রাসমেলায় এবার উপস্থিত হচ্ছেন বাংলার প্রশাসনিক প্রধান! বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, কোচবিহার এবার তৃণমূলকে কাঁদিয়ে ছেড়েছে। বিজেপির নিশীথ প্রামাণিকের কাছে যেভাবে তৃণমূল প্রার্থী পর্যুদস্ত হয়েছেন, তাতে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে কোচবিহার লোকসভার অন্তর্গত বিধানসভাগুলিতে ঘাসফুল ফোটানো অত্যন্ত কঠিন ব্যপার তৃণমূলের কাছে।

আর তাইতো কোচবিহারের মানুষের অত্যন্ত প্রিয় অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে একদিকে জনসংযোগ আর অন্যদিকে বিজেপিকে কুপোকাত করতে ময়দানে নামতে পারেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী বলে মত বিশ্লেষকদের। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কোচবিহারের প্রশাসনিক কর্তা ব্যক্তি থেকে শুরু করে তৃণমূল নেতারা মুখ্যমন্ত্রীর এই রাসমেলায় উপস্থিত থাকা নিয়ে আশা প্রকাশ করলেও আদৌ এখানে উপস্থিত হন কিনা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এখন সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!