এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > কলেজে ভর্তিতে আবারো প্রকাশ্যে তোলাবাজি, চলছে লক্ষ-লক্ষ টাকার “খেলা”?

কলেজে ভর্তিতে আবারো প্রকাশ্যে তোলাবাজি, চলছে লক্ষ-লক্ষ টাকার “খেলা”?

স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় রাজ্যে যখন তীব্র সংকট চলছে, যখন চিকিৎসকরা দিকে দিকে গণইস্তফা দিতে শুরু করেছেন, ঠিক তখনই এবার শিক্ষা ব্যবস্থার দুর্নীতিও সামনে আসা শুরু করল।প্রসঙ্গত, গত বার কলেজে ভর্তির সময় শাসক দলের ছাত্রসংগঠন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বিরুদ্ধে ব্যাপক তোলাবাজির অভিযোগ উঠেছিল। যা নিয়ে মাঠে নামতে দেখা গিয়েছিল শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

তবে এবার প্রথম থেকেই শিক্ষা দপ্তরের পক্ষ থেকে কলেজে ভর্তিতে তোলাবাজি যে কোনোভাবেই বরদাস্ত করা হবে না তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। হিসেবমত এবারে ভর্তি প্রক্রিয়া অনলাইনে হওয়ায় ছাত্র-ছাত্রীদের কলেজে সেইভাবে উপস্থিত হওয়ার কথা নয়। কিন্তু মেধাতালিকায় একদম শেষের দিকে থাকা ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকেরা ইতিমধ্যেই কলেজে যাওয়া শুরু করেছেন। আর কলেজে গিয়ে তারা তোলাবাজদের শিকার হচ্ছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।

গত শুক্রবারই ভর্তিতে তোলাবাজির অভিযোগে জয়পুরিয়া কলেজের সামনে থেকে স্বর্নাভ ঘোষ নামে এক প্রাক্তন ছাত্রকে গ্রেপ্তার করেছে শ্যামপুকুর থানার পুলিশ। তবে মুখ্যমন্ত্রী যেদিন বিদ্যাসাগর কলেজে বিদ্যাসাগরের মূর্তি উন্মোচন করতে এসেছিলেন, সেদিনই সেই কলেজে কিছু অভিভাবকরা আসলে একজন ছাত্রনেতা সেই অভিভাবকদের প্রস্তাব দেন যে, 40 হাজার টাকা দিলেই নাম উঠে যাবে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে হাওড়ার বাসিন্দা প্রভাস মাঝি নিজের মেয়ে উচ্চমাধ্যমিকে 76 শতাংশ নম্বর পেয়েও কোনো কলেজে নিউট্রেশন এবং ফুড টেকনোলজি অনার্স না পাওয়ায় হতাশ হয়ে গিয়েছেন। এদিন তিনি বলেন, “কলেজগুলি যেভাবে কয়েকটি করে নাম ছাড়ছে, তাতে আমার মেয়ে মনে হয় আর ভর্তি হতে পারবে না। কিন্তু আমার মেয়ের চেয়ে কম নম্বর পাওয়া অনেক মেয়েই ভর্তি হয়ে গিয়েছে। তাহলে কি সত্যিই টাকার খেলা চলছে! আমি শিক্ষামন্ত্রীর বাড়িতে গিয়েছিলাম, সেখান থেকে বিকাশ ভবনে আমাকে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হলে আমি সেখানে গিয়ে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছি।”

তবে কলেজের পক্ষ থেকে অবশ্য এই সমস্ত অভিযোগকে অস্বীকার করে দেওয়া হচ্ছে। এদিন এই প্রসঙ্গে বাগবাজার ওমেন্স কলেজের অধ্যক্ষা মহুয়া দাস বলেন, “সব কলেজের মেরিট মাক্স উল্লেখ করে দিতে বলা হয়েছে। আর সেটাই করা থাকছে। মোট নম্বর এবং যে বিষয়ে অনার্স নেওয়া হবে, তার গড় করে পার্সেন্টাইল বের করা হচ্ছে।” সব মিলিয়ে এবার স্বাস্থ্য ব্যবস্থার পর শিক্ষাতেও ভর্তিতে তোলাবাজির অভিযোগ উঠতে শুরু করায় আতঙ্কে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!