এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বিস্ফোরক অভিযোগ এই হেভিওয়েট অভিনেতার বিরুদ্ধে, জোর চাঞ্চল্য

বিস্ফোরক অভিযোগ এই হেভিওয়েট অভিনেতার বিরুদ্ধে, জোর চাঞ্চল্য

সম্প্রতি তার একের পর এক শাসক-বিরোধী মন্তব্যকে ঘিরে তোলপাড় হয়ে উঠেছে রাজ্য রাজনীতি। আর এবার সেই অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষকে নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ সামনে এল। কিন্তু কি সেই অভিযোগ! বস্তুত, সরকারি কর্মচারীরা যাতে সাধারণ মানুষকে সময় মত পরিষেবা দিতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে জনপরিষেবা অধিকার আইন পাশ করান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আর সেই কাজে গতি আনতে রাইট টু পাবলিক সার্ভিস কমিশন তৈরি করা হয়। যার কমিশনার হিসেবে বসানো হয় অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষকে। তবে অভিযোগ, রুদ্রনীলবাবু এই পদে বসলেও তাকে অফিসে পাওয়াই যায় না। মাসে এক আধবার তাকে অফিসে দেখতে পাওয়া যায়। যা সমস্যা সমাধানের জন্য যথেষ্ট নয় বলেই দাবি একাংশের।

জানা গেছে, আইন অনুযায়ী এই কমিশনারকে নিয়োগ করেছেন রাজ্যপাল। মুখ্যসচিবের চাকরির ক্ষেত্রে যে সমস্ত শর্ত রয়েছে, এই ক্ষেত্রেও সেই একই শর্ত প্রযোজ্য। কিন্তু নিজের অফিসকে না জানিয়ে দুটি সংস্থার ডিরেক্টর পদে বসে ব্যবসা চালানোর অভিযোগ উঠেছে রুদ্রনীল ঘোষের বিরুদ্ধে।

সূত্রের খবর, এই সমস্ত বিষয়ে জানতেই গত 2017 সাল থেকে এই ব্যাপারে আরটিআই করেন সামাজিক আইন গবেষক ও কর্মী বিশ্বনাথ গোস্বামী। আর এই আরটিআইয়ের পরিপ্রেক্ষিতেই দেখা গেছে, গত মার্চ মাসে এই পদে থাকার জন্য অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ বেতন পেয়েছেন প্রায় 3 লক্ষ 6 হাজার টাকা। তবে দপ্তরে না আসার যে অভিযোগ রুদ্রনীলবাবুর বিরুদ্ধে উঠেছে, সেই ব্যাপারে কোনো তথ্য কমিশনে নেই বলে জানিয়েছে আরটিআই।

এছাড়াও কমিশনার হিসেবে কটি ফাইল তিনি সই করেছেন বা কটা সরকারি অফিস ভিজিটে তিনি গেছেন! সেই ব্যাপারেও আরটিআইয়ের কাছ থেকে কোনো জবাব মেলেনি। কিন্তু একটি কমিশনার পদে থেকেও 2016 সালের 9 ডিসেম্বর অ্যালায়েড ওয়ার্কসপ প্রোডাকশন অ্যান্ড অ্যালায়েড প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি সংস্থা খোলার অভিযোগ রয়েছে সেই রুদ্রনীল ঘোষের বিরুদ্ধে। এছাড়াও গত 2018 সালের 28 মে লালন ফ্লিমস প্রাইভেট লিমিটেড নামে আরও একটি সংস্থা খুলেছেন রুদ্রনীল ঘোষ বলে জানা গেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে আরটিআই করা বিশ্বনাথ গোস্বামী বলেন, “চাকরির বাজার এখন এতটাই মন্দা যে পিএইচডি করা ব্যাক্ত ডোমের চাকরির জন্য আবেদন করছেন। আর একটি সরকারি কমিশনের কমিশনার সেখানে অফিসে না এসে 3 লাখ টাকার উপরে বেতন পাচ্ছে। এর দায় কি রাজ্য সরকার নেবে! কমিশনার পদে বসার পর তিনি দুটো কোম্পানি খুলেছেন। পরিষেবা অধিকার আইন ও সংবিধান অনুযায়ী তিনি একজন পাবলিক সার্ভেন্ট। তিনি কি করে এরকম ব্যাবসা করেন! ছুটি থেকে বাইরে যাওয়ার অনুমতি, সবকিছুতেই যে বেনিয়ম হয়েছে, তা আরটিআইয়ের উত্তর থেকেই স্পষ্ট।”

সত্যিই তো তাই, কেন একটি সরকারি কমিশনার হয়ে তিনি আলাদা ব্যবসা করবেন! এটা কি নিয়মভঙ্গ নয়! এদিন এই প্রসঙ্গে রুদ্রনীল ঘোষ বলেন, “কাজের জন্য যে পরিকাঠামো আমাকে দেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে থেকে যেটুকু করা সম্ভব আমি তাই করছি। আমি একা কমিশনার হিসেবে কমিশন চালাই না। সেখানে অনেক অফিসার আছে। গত 19 শে জুলাই কমিশনের বৈঠক করে এসেছি। কি করে আইন সম্পর্কে সজাগ করা যায় তার জন্য পরিকল্পনা করা হয়েছে। আসলে যিনি আরটিআই করেছেন, তিনি কমিশনের কাজের নিয়ম, কাঠামো সম্পর্কে ওয়াকিবহাল নন। উনি যদি বিষয়গুলো জানতেন, তাহলে প্রশ্ন তুলতেন না। আর যে ছুটি, বিদেশযাত্রার কথা বলা হচ্ছে তাতে বলি, কমিশনার পদে কোনো স্বনামধন্য ব্যক্তিকেই বসানোর কথা। আমি সেই শর্তেই কমিশনার হয়েছি। তাই পেশার খাতিরে বাইরে যাই।” সব মিলিয়ে রুদ্রনীল ঘোষের পিছনে ধেয়ে আসা বিতর্ক যেন কিছুতেই থামছে না।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!