এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > কমিটিতে যোগ্য লোকের ঠাঁই হয়নি, অভিযোগ তুলে দলীয় পদ ছেড়ে দেওয়ার হুংকার তৃণমূল নেতার, জেনে নিন!

কমিটিতে যোগ্য লোকের ঠাঁই হয়নি, অভিযোগ তুলে দলীয় পদ ছেড়ে দেওয়ার হুংকার তৃণমূল নেতার, জেনে নিন!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে তৃণমূল বিভিন্ন জেলায় নতুন করে কমিটি সাজাতে শুরু করেছে। কিন্তু সেই কমিটি নিয়ে দলের নেতারাই নানা সময় প্রশ্ন তুলে দিচ্ছেন। আর এবার আলিপুরদুয়ার জেলার কমিটি নিয়ে প্রশ্ন তুলে পদ ছেড়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন জেলা কমিটির সহ-সভাপতি আশিস দত্ত। স্বাভাবিকভাবেই আশিষবাবুর নতুন কমিটির বিরুদ্ধে এহেন বিদ্রোহ ঘোষণা নিঃসন্দেহে চাঞ্চল্য তৈরি করেছে জেলা তৃণমূলের অন্দরমহলে। বলা বাহুল্য, তৃণমূল কংগ্রেস আগামী বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে বিভিন্ন জেলায় সাংগঠনিক মুখ সামনে এনে দায়িত্ব দিতে শুরু করেছে। তবে বিভিন্ন জেলাতেই বিদ্রোহ ঘোষণা হতে দেখা যাচ্ছে এই নতুন কমিটি নিয়ে।

কোচবিহার জেলায় তৃণমূল বিধায়ক মিহির গোস্বামী থেকে শুরু করে হুগলির উত্তরপাড়ার বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল, প্রত্যেকেই দলের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে সরব হচ্ছেন। আর এবার আলিপুরদুয়ার জেলার নতুন কমিটি নিয়ে সরব হয়ে নিজের পদ ছেড়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিতে দেখা গেল আশিস দত্তকে। জানা গেছে, নতুন কমিটি ঘোষণার 24 ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই সোমবার সাংবাদিক সম্মেলন করে ফালাকাটার পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধক্ষ পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন সঞ্জয় দাস। এবার নিজের পদ ছেড়ে দেওয়ার কথা বলে তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিলেন আশিস দত্ত। কেন একের পর এক নেতা এইভাবে বিদ্রোহ ঘোষণা করছেন?

জানা গেছে, এই আশিস দত্ত আলিপুরদুয়ার পৌরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান। অতীতে তিনি আলিপুরদুয়ার টাউন ব্লক কমিটির সভাপতি ছিলেন। কিন্তু তাকে সরিয়ে সেখানকার সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল দীপ্ত চট্টোপাধ্যায়কে। সোমবার সেই দীপ্তবাবুকে আবার দ্বিতীয়বারের জন্য টাউন ব্লক সভাপতি করা হয় এবং আশিস দত্তকে জেলা কমিটির সহ-সভাপতি করা হয়। তবে এই নতুন কমিটি ঠিকমত মেনে নিতে পারছেন না আশিসবাবু। আর তাই সাংবাদিক সম্মেলন করে নিজের পদ ছেড়ে দেওয়ার কথা বলতে দেখা গেল তাকে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এক সাংবাদিক সম্মেলন করে আশিস দত্ত বলেন, “একতরফা ভাবে নতুন জেলা এবং ব্লক কমিটি গঠন হয়েছে। কমিটিতে যোগ্য লোকেদের জায়গা দেওয়া হয়নি। এমন লোককে রাখা হয়েছে যাদের কোনোদিন রাজনীতিতে দেখা যায়নি। অযোগ্য লোককে রাখায় দলীয় পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছি। দলের একজন সাধারণ কর্মী হিসেবে কাজ করে যাব।” কিন্তু যেভাবে কমিটি নিয়ে বিদ্রোহ ঘোষণা করতে দেখা গেল তাকে, তাতে কি তিনি অন্য কোনো দলে যাওয়ার ব্যাপারে চিন্তাভাবনা শুরু করেছেন? এদিন এই প্রসঙ্গে আশিস দত্ত বলেন, “এখনই দলবদলের কোনো বাসনা নেই। আমি মনে করি, যে কমিটি হয়েছে, তাতে পৌরসভা এবং বিধানসভা ভোটে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।”

 

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দীপ্ত চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে এই আশিস দত্তের ব্যাপক দ্বন্দ্ব রয়েছে। আর দ্বিতীয়বার দীপ্ত চট্টোপাধ্যায় টাউন, ব্লক সভাপতি হওয়ার পর এবং আশিসবাবু জেলা কমিটির সহ-সভাপতি হওয়ার পর তা ঠিকমত মেনে নিতে পারছেন না সেই আশিস দত্ত। যার ফলে দলের বিরুদ্ধে সরব হয়ে সমস্ত পদ ছেড়ে দেওয়ার কথা বলতে দেখা গেল তাকে। কিন্তু এর ফলে কি তৃণমূল কংগ্রেস অস্বস্তিতে পড়ল না? এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি মৃদুল গোস্বামী বলেন, “কমিটি নিয়ে আশিসবাবুর ক্ষোভ অভিমান থাকতেই পারে। তিনি তার ক্ষোভের কথা দলকে জানাতে পারতেন। কিন্তু দলের বাইরে গিয়ে এভাবে তার বলা ঠিক হয়নি।”

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধু আশিস দত্ত নয়। বিভিন্ন জেলায় এই নতুন কমিটি নিয়ে তৃণমূলের সেই সমস্ত জেলার হেভিওয়েট নেতারা সরব হতে শুরু করেছেন। স্বাভাবিকভাবেই বিধানসভা নির্বাচনের আগে একের পর এক নেতা দলের বাইরে প্রকাশ্যে দলবিরোধী মন্তব্য করায় রীতিমত অস্বস্তি বাড়ছে তৃণমূল কংগ্রেসের। তাই রাজ্যজুড়ে এখন একটা জল্পনা তৈরি হতে শুরু করেছে, যে সমস্ত তৃণমূল নেতারা দলের এই কমিটির বিরুদ্ধে সরব হয়ে প্রকাশ্যে দল বিরোধী মন্তব্য করছেন, তারা কি এবার দলবদলের মত কোনো সিদ্ধান্ত নেবেন? যদি তারা বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই রকম কোনো সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে ব্যাপকভাবে চাপে পড়বে ঘাসফুল শিবির। সব মিলিয়ে এবার বিদ্রোহী নেতাদের মান ভাঙাতে তৃণমূলের পক্ষ থেকে কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!