এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > কমিশনের রিপোর্টকে হাতিয়ার করে কি রাজ্যকে চাপে ফেলবে কেন্দ্র? শুভেন্দুর কথায় বাড়ছে জল্পনা!

কমিশনের রিপোর্টকে হাতিয়ার করে কি রাজ্যকে চাপে ফেলবে কেন্দ্র? শুভেন্দুর কথায় বাড়ছে জল্পনা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  তৃণমূল কংগ্রেস তৃতীয়বারের জন্য বাংলার ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকেই হিংসার ঘটনা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। আর তারপর থেকেই গোটা বিষয় নিয়ে সরব হতে দেখা গিয়েছে বিরোধী রাজনৈতিক দল বিজেপিকে। তবে সম্প্রতি জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টে অস্বস্তি বৃদ্ধি পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের। যেখানে সেই রিপোর্টে হিংসার ঘটনার কথা যেমন তুলে ধরা হয়েছে, ঠিক তেমনই বিভিন্ন এলাকা ধরে ধরে তৃণমূলের অনেক হেভিওয়েট নেতা থেকে শুরু করে মন্ত্রীদের নাম সেখানে দুষ্কৃতী হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে।

স্বাভাবিকভাবেই এই রিপোর্ট মানবাধিকার কমিশনের পক্ষ থেকে হাইকোর্টে জমা দেওয়ার পরেই রীতিমতো অস্বস্তি বেড়েছে তৃণমূল সরকারের। আর এবার সেই রিপোর্টকে হাতিয়ার করেই কি রাজ্যের শাসকদলের উপর চাপ বাড়াবে কেন্দ্রীয় সরকার? ইতিমধ্যেই এই রিপোর্ট সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে জল্পনা বাড়িয়ে দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। যেখানে শাসকদলের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার পাশাপাশি নিজের ইঙ্গিতপূর্ণ বক্তব্যের মধ্য দিয়ে তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন যে, হিংসার ঘটনায় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টের পরিপ্রেক্ষিতে কোনোমতেই রাজ্যকে ছেড়ে কথা বলা হবে না।

সূত্রের খবর, এদিন মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্ট সম্পর্কে মন্তব্য করে রাজ্য সরকারকে কড়া বার্তা দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। যেখানে রাজ্যে যে হিংসার ঘটনা ঘটছে, তা তুলে ধরেন তিনি। আর তারপরেই নন্দীগ্রামের বিজেপির বিধায়ক বলেন, “নরেন্দ্র মোদী দেশের প্রধানমন্ত্রী। যা খুশি তাই করে পার পাওয়া যাবে না। 370 ধারা বাতিল করে নরেন্দ্র মোদী কাশ্মীরকে সোজা করে দিয়েছেন। ডাললেকের ধারে এখন তেরেঙ্গা পতাকা ঝোলে। কিন্তু সবুজ পতাকা দেখতে পাওয়া যায় না। দেশের সংবিধান আইনের শাসনের ওপর দাঁড়িয়ে আছে। পশ্চিমবঙ্গে আইনের শাসন নেই। শাসকের আইন রয়েছে।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর শুভেন্দু অধিকারীর এই মন্তব্য নিয়েই এখন নানা মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বারবার বাংলার হিংসার কথা তুলে ধরে কেন্দ্রীয় সরকারের দ্বারস্থ হতে দেখা গিয়েছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে। আর এবার যেভাবে প্রধানমন্ত্রীর কথা তুলে ধরে আর পার পাওয়া যাবে না বলে মন্তব্য করলেন শুভেন্দু অধিকারী, তাতে কি কেন্দ্রীয় সরকার মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টকে হাতিয়ার করে রাজ্যের উপর চাপ বাড়াবে! বিরোধী দলনেতার মন্তব্যের পর জল্পনা ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে রাজ্য রাজনীতিতে।

পর্যবেক্ষকদের মতে, তৃণমূল তৃতীয়বার সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ময়দানে তেতেফুড়ে নেমেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। আগেকার বাম এবং কংগ্রেসের মতো বিরোধী দলের ভূমিকা যে বিজেপি পালন করবে না, তা বুঝিয়ে দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এক্ষেত্রে গঠনগত বিরোধিতা যে বিজেপি করবে, তা ইতিমধ্যেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। হিংসার ঘটনার কথা তুলে ধরে বারবার রাজ্য বিধানসভার ভেতরে এবং বাইরে সরব হতে দেখা যাচ্ছে গেরুয়া শিবিরকে।

আর জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টের পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূল যখন অস্বস্তির মুখে, তখন তাদের সেই অস্বস্তি বাড়িয়ে দিয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করতে শোনা গেল শুভেন্দু অধিকারীকে। সব মিলিয়ে শুভেন্দুবাবুর এই ইঙ্গিতপূর্ণ বক্তব্য আগামী দিনে তৃণমূল সরকারের ওপর কোনো চাপ সৃষ্টি করে কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!