এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > এই শর্ত না মানলে বামেদের সাথে জোটে নয়, স্পষ্ট জানালেন কংগ্রেস সভাপতি

এই শর্ত না মানলে বামেদের সাথে জোটে নয়, স্পষ্ট জানালেন কংগ্রেস সভাপতি

ঘাড়ের কাছে নিঃশ্বাস ফেলছে লোকসভা নির্বাচন। হাতে গোনা আর তিন চার মাস বাকি মাত্র। ১৯’এর নির্বাচনে প্রদেশ কংগ্রেস কার সঙ্গে জোট বাঁধবে? এই প্রশ্নকে কেন্দ্র বিতর্ক বহুদিনের। তৃণমূলের সঙ্গে জোট বাঁধার সম্ভাবনায় প্রথম থেকেই লাল সংকেত দিয়ে আসছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র৷

স্পষ্টতই জানিয়ে দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেস একা লড়লেও কখনো তৃণমূলের হাত ধরবে না। এই প্রেক্ষিতে বামেদের সঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেসের জোটের সম্ভাবনা আরো এক ধাপ বেড়ে যায়। আর যেহেতু ২০১৬ এর বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যে বাম-কংগ্রেস এক ছাতার তলায় এসেই লড়াই করেছিল কাজেই ১৯’এর লোকসভা নির্বাচনে সেই জোটের পুনরাবৃত্তি হবে কিনা এ নিয়ে কৌতূহল তৈরি হয় রাজ্য রাজনৈতিক মহলে।

সম্প্রতি বাম-কংগ্রেস জোট নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক করছেন সোমেন মিত্র এবং সূর্যকান্ত মিশ্ররা। এমনটাই সূত্রের খবর৷ এর জেরে বাম-কংগ্রেস যে ১৯’এর লোকসভা ভোটে এক ছাতার তলায় আসতে চাইছে তার স্পষ্ট ইঙ্গিত মেলে। তবে লোকসভায় রায়গঞ্জ এবং মুর্শিদাবাদ আসন কংগ্রেসকে না ছাড়লে বামফ্রন্টের সঙ্গে কোনো সমঝোতা হবে না এমনটাই সাফ কথায় জানিয়ে দিলেন রায়গঞ্জের কংগ্রেস বিধায়ক তথা উত্তর দিনাজপুর জেলা কংগ্রেস সভাপতি মোহিত সেনগুপ্ত।

সাংবাদিকদের সম্মুখীন হয়ে খোলাখুলি ভাবেই একথা জানালেন মোহিত। তবে মোহিত বাবুর বক্তব্য নিয়ে বিশেষ মাথা ঘামাতে চায় না উত্তর দিনাজপুর জেলা বামফ্রন্ট নেতৃত্ব।গতকাল রাজ্য CPI(M)-এর তিন শরিক দলের সঙ্গে আসন বাটোয়ারা নিয়ে বৈঠক হয় প্রদেশ কংগ্রেসের। প্রাথমিক সিদ্ধান্ত স্থির হয়েছে,রাজ্যের ৪২টি লোকসভা আসনের মধ্যে CPI(M)২০টি ও বাম শরিক দলগুলি ৯টি আসনে লড়বে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এছাড়া ১২ টি আসন কংগ্রেসকে ছাড়ার ব্যাপারেও আলোচনা হয়েছে বৈঠকে। তবে কংগ্রেসকে কটা আসন ছাড়া হোক,সে বিষয়ে তেমন আমল দিতে চায় না উত্তর দিনাজপুর জেলা কংগ্রেস নেতৃত্ব মোহিত মোহিত সেনগুপ্ত।প্রসঙ্গত,রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্র একসময়ে কংগ্রেসের দুর্ভেদ্য ঘাঁটি ছিল। কিন্তু গত লোকসভা ভোটে এই কেন্দ্র দখলে আসে CPI(M)-এর। CPI(M)-এর তরফ থেকে মহম্মদ সেলিম ভোটে দাঁড়িয়ে খুব অল্প ভোটে হলেও জিতেছিলেন। কাজেই এই লোকসভা আসনটিতে ক্ষমতার কেন্দ্র কংগ্রেসের দখল থেকে সরে CPI(M)-এর দিকে এসেছে।

তবু এবারের লোকসভা নির্বাচনে রায়গঞ্জ আসনটি ছাড়তে চাইছে না কংগ্রেস। উত্তর দিনাজপুর জেলা কংগ্রেস সভাপতি তথা রায়গঞ্জের বিধায়ক মোহিত সেনগুপ্ত পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, ‘রায়গঞ্জ এবং মুর্শিদাবাদ আসন কংগ্রেসকে না ছাড়লে তাঁরা বামফ্রন্টের সঙ্গে জোটে যাবেন না।’ ওদিকে কংগ্রেসের এই দাবীকে তেমন পাত্তা দিচ্ছে না CPI(M)। যেহেতু রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্র থেকেও গত লোকসভা ভোটে জিতে সাংসদ হয়েছিলেন CPI(M) প্রার্থী মহম্মদ সেলিম।

কাজেই এবারও মহম্মদ সেলিমই রায়গঞ্জ কেন্দ্র থেকে জিতবেন,এমনটাই আশা রেখেছেন উত্তর দিনাজপুর জেলা CPI(M) নেতৃত্ব। অন্যদিকে,একই অবস্থা মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রেরও। যেহেতু ওই কেন্দ্র কংগ্রেসের দীর্ঘদিনের শক্তিঘাঁটি,তাই কংগ্রেস আসন্ন লোকসভা ভোটে মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্র কিছুতেই হাতছাড়া করতে চায় না।

এই প্রেক্ষিতে বাম-কংগ্রেস ফের প্রশ্নচিহ্নের মুখে পড়ল। এই ইস্যুটির সমাধান না করলে যে কংগ্রেস কোনোভাবেই বামেদের সঙ্গে জোটে আসবে না তা নিয়ে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই। এই পরিস্থিতিতে জোটের স্বার্থের বামেরা রায়গঞ্জ এবং মুর্শিদাবাদের আসনটি কংগ্রেসকে ছাড়ে কিনা সেটা নিয়েই জল্পনা শুরু হয়েছে রাজ্য রাজনৈতিকমহলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!