এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > প্রশান্ত কিশোরের চ্যালেঞ্জ কি এবার চাপের মুখে? কি বলছে জনসমীক্ষা?

প্রশান্ত কিশোরের চ্যালেঞ্জ কি এবার চাপের মুখে? কি বলছে জনসমীক্ষা?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – 2019 এর লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির কাছে কিছুটা কোণঠাসা হয়ে তৃণমূল নেত্রী ভোট কৌঁশলী প্রশান্ত কিশোরের শরণাপন্ন হন। তারপর থেকেই রাজ্যের দায়িত্ব নেন প্রশান্ত কিশোর। এবারের বিধানসভার নির্বাচন তৃণমূল এবং বিজেপি উভয়ের কাছেই মরিয়া লড়াই। পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও দেশের আরও বেশ কয়েকটি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন হতে চলেছে 2021 এ। কিন্তু নজর কেড়েছে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচন। 

ইতিমধ্যেই প্রশান্ত কিশোর তৃণমূলকে জেতানোর জন্য একের পর এক পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করেছেন। প্রশান্ত কিশোর এই বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলকে জেতাতে এতটাই মরিয়া যে তিনি রীতিমতো চ্যালেঞ্জ নিয়ে ফেলেছেন। প্রশান্ত কিশোর রীতিমত দাবী করেছেন, গেরুয়া শিবির 100 পেরোবে না। পাশাপাশি বলেছেন, বিজেপি জিতলে তিনি তাঁর কাজ সারা জীবনের জন্য ছেড়ে দেবেন। এত বড় চ্যালেঞ্জ নেওয়ার পর বাংলায় এবারের ভোটের সমীক্ষা কি বলছে সেটা দেখে নেওয়া যাক। 

টাইমস নও এবং সি ভোটারের সমীক্ষায় দেখা গেছে, রাজ্যের 294 টি আসনের মধ্যে তৃণমূল পাবে 162 এবং বিজেপি 112। সে ক্ষেত্রে দু’দলের মধ্যে ফারাক থাকবে মাত্র 4.5 শতাংশ। প্রশান্ত কিশোর নিজেও বারংবার বলেছেন, বিজেপিকে যদি জয়লাভ করতে হয় রাজ্যে তাহলে ভোটের শতাংশ বাড়াতে হবে। বেশিরভাগ জনমত সমীক্ষাতেই কিন্তু দেখা গেছে বিজেপি একশোর ঘর পেরিয়েছে।

যদি তা হয় তাহলে কিন্তু প্রশান্ত কিশোরের চ্যালেঞ্জ বড়সড় ধাক্কা খাবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। 2014 সালে এই প্রশান্ত কিশোর কিন্তু বিজেপির নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহের হয়ে লোকসভা ভোটের স্ট্র্যাটোজিস্ট হয়ে কাজ করেছিলেন। সেদিক থেকে বিরোধীদের খেলার ধাঁচ অনেকটাই স্পষ্ট প্রশান্ত কিশোরের কাছে। কিন্তু প্রশান্ত কিশোরও ব্যর্থ হয়েছেন। এবং তার অন্যতম উদাহরণ 2017 সালে উত্তর প্রদেশ। 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনে স্থানীয় আবেগকে কাজে লাগাতে প্রশান্ত কিশোর উঠে-পড়ে লেগেছেন বাংলায়। সেক্ষেত্রে তাঁর স্লোগান- বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়। ইতিমধ্যেই কিন্তু জনপ্রিয়তা পেতে শুরু করেছে এই স্লোগান।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে ইভিএমে বা ভোটবাক্সে কতটা তার প্রভাব পড়বে, সেটা অবশ্য সময়সাপেক্ষ। বিহারের নীতীশ কুমার একসময় প্রশান্ত কিশোরের হাত ধরেই ভোট জিতেছিলেন। এরপর প্রশান্ত কিশোরের জেডিইউতে যোগদান এবং তাঁর রাজনৈতিক ইনিংস শুরু হয়। কিন্তু পার্টি প্রধানের সঙ্গে প্রশান্ত কিশোরের সংঘাত ক্রমশ দূরত্ব বাড়ায়। এবং প্রশান্ত জেডিইউ ত্যাগ করেন।

 প্রশান্ত কিশোর এরপর মমতা ব্যানার্জির হয়ে কাজ করতে শুরু করেন বাংলায়। আর সে সময় দেখা যায় রাজ্যের একাধিক তৃণমূল নেতার সঙ্গে প্রশান্ত কিশোরের সংঘাত লাগে। ফলস্বরূপ তৃণমূলে বড়োসড়ো ভাঙন দেখা দিয়েছে। বাংলার পর প্রশান্ত কিশোরের কাজ পাঞ্জাব কংগ্রেসের হয়ে। সেক্ষেত্রে আরো একটি বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে চলেছেন তিনি।

প্রসঙ্গত বাংলার বুকে শুধুমাত্র তৃণমূলকে জয়ী করাই নয়, নন্দীগ্রামের বুকে মমতা ব্যানার্জিকে জিতিয়ে আনাও প্রশান্ত কিশোরের কাছে অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করা হচ্ছে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রশান্ত কিশোর প্রফেশনালি চিন্তাভাবনা করলেও বাংলার মানুষের মন পেতে তৃণমূল নেত্রী অন্যভাবে চিন্তা করেন।

 তবে প্রশান্ত কিশোরের কাজে লাগার পর তৃণমূলের যে ক্ষতি হয়েছে, একথা অস্বীকার করা যায়না বলে মনে করছেন অনেকেই। তৃণমূল থেকে সরে গেছেন বহু নেতা-নেত্রী। তাঁরা গেরুয়া শিবিরের হাত শক্ত করেছেন। তবে এবারের বিধানসভা নির্বাচনের লড়াইতে কোন দল মাত দেয়, সেটাই দেখার। পাশাপাশি ভোট কৌঁশলী প্রশান্ত কিশোরের চ্যালেঞ্জ কোন দিকে মোড় নেয়, সেটাও একইসাথে লক্ষণীয়।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!