এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > কংগ্রেস > কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ কংগ্রেস হেভিওয়েট নেতার ছেলের, দলীয় কার্যালয়ে উড়ছে তৃণমূলের পতাকা!

কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ কংগ্রেস হেভিওয়েট নেতার ছেলের, দলীয় কার্যালয়ে উড়ছে তৃণমূলের পতাকা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- ভোটের আগে প্রতিবছরই দলবদলের বিভিন্ন ঘটনা সামনে আসে মানুষের। এমন পরিস্থিতিতে এবছর তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের কারণে বহু রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার আশঙ্কা সামনে এসেছিল। সেই নিয়ে রাজ্য রাজনীতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বস্তুত, বিজেপি এবং তৃণমূলের মধ্যে ভোটে কে এগিয়ে থাকবে, কে দখল করে নেবে বাংলার শাসনভার, সেই লড়াইয়ে এবার নতুন বিতর্ক তৈরি হয়েছে বলেই জানা গেছে।

তবে এবার তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগদান নয়, বরঞ্চ কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগদানের ঘটনা ঘটেছে বাদুড়িয়ায়। আব্দুল গফ্ফর যিনি আমৃত্যু কংগ্রেস কর্মী হিসেবে কাজ করে গেছেন, সেই তাঁর নিজের হাতে তৈরি বাদুড়িয়াতে পার্টি অফিসে এখন উড়ছে তৃণমূলের পতাকা। নেপথ্যে, গফ্ফর সাহেবেরই ছেলে আব্দুর রহিম দিলু।

জানা গেছে তিনি সম্প্রতি কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। আর এই ঘটনার কয়েক ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই বাদুড়িয়া শহরের লরি স্ট্যান্ডে কংগ্রেসের অফিস এভাবেই অচেনা হয়ে উঠেছে। জানা গেছে, শনিবার দিলু তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরেই কংগ্রেসের পার্টি অফিসের কংগ্রেসের পতাকা সরিয়ে তৃণমূলের পতাকা টাঙিয়ে দিয়েছে। আর এতেই সেখানকার এত বছরের পুরনো কংগ্রেস পার্টি অফিসের এই হাল পুরনো কংগ্রেসিদের ক্ষোভের কারণ হয়েছে।

সেইসঙ্গে এলাকার বহু মানুষের কাছেও এটা দৃষ্টিকটূ ঠেকছে বলেই জানা যায়। বস্তুত, বিশ্লেষকদের মতে, বিরোধী দলকে সন্মান করা রাজনীতির অংশ বলেই মনে করেন তাঁরা। তাই এহেন আচরণে অনেকেরই ক্ষোভ প্রকাশ পেয়েছে। এই প্রসঙ্গে দিলু জানিয়েছেন, ‘‘লরি স্ট্যান্ডের কাছে থাকা কংগ্রেসের অফিস আমাদের হাতে গড়া। ফলে কংগ্রেসের দলীয় দফতর দখল করা নয়, কংগ্রেসিরা তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় দফতরের পতাকা পরিবর্তন করা হয়েছে।’’

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে অন্যদিকে ছবিটা একটু আলাদাই। সেখানে গোটা ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন স্থানীয় কংগ্রেস কর্মীরা। তবে বস্তুত, দেখতে গেলে তাঁদের একটা বড় অংশই আপাতত দিলুর সঙ্গে তৃণমূল শিবিরে যোগদান করেছে। তবে যাঁরা এখনো কংগ্রেসেরসঙ্গে তাঁদেরকে প্রতিবাদ করতে দেখা গেছে। এই প্রসঙ্গে, কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি প্রদীপকুমার মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘‘গফ্ফর সাহেবের হাতে গড়া পাটি অফিস থেকে রাতারাতি কংগ্রেসের পতাকা খুলে সেখানে তৃণমূলের পতাকা লাগিয়ে দখল করলেন গফ্‌ফর সাহেবের ছেলেরই অনুগামীরা।”

তবে পাল্টা দখল করতে গেলে সংঘর্ষ বাধতে পারে বলে সেই ভেবে আপাতত কোনো কাজ করা হয়নি বলেই জানান হয়েছে। তাঁর কথায় তাই, “অধীরবাবু আসছেন। তাঁকে সব জানানো হয়েছে। এই ঘটনায় বাদুড়িয়ার মানুষ ক্ষুব্ধ।’’ অন্যদিকে আবার প্রদীপ বাবুর কথায়, কারও পার্টি অফিস দখল নিলে পার্টি উঠে যায় না বলেই মনে করছেন তিনি।

সেইসঙ্গে, বাদুড়িয়ায় কংগ্রেসিরা আছেন এবং ভবিষ্যতে থাকবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে, এ বিষয়ে টাউন তৃণমূলের আহ্বায়ক সুভাষ সাহা জানিয়েছেন, ‘‘কারও দলীয় কার্যালয় দখল করা তৃণমূলের কাজ নয়। আমরা কারও পার্টি অফিস দখলও করিনি।’’ তবে তথ্য সূত্রে জানা গেছে, পার্টি অফিস দখলের প্রতিবাদে ১৮ নভেম্বর এলাকায় মিছিল করার করার কথা প্রদেশ সভাপতি অধীর চৌধুরীর। তবে শেষ পর্যন্ত কি হয়, এখন সেটাই দেখার অপেক্ষা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!