এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > তৃণমূলে ফেরা দূরের কথা, বরং একাংশের ‘মুখোশ’ খোলার অঙ্গীকার জানালেন শোভন চট্টোপাধ্যায়!

তৃণমূলে ফেরা দূরের কথা, বরং একাংশের ‘মুখোশ’ খোলার অঙ্গীকার জানালেন শোভন চট্টোপাধ্যায়!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একটা সময় তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিশেষ ঘনিষ্ঠ ছিলেন স্নেহের কানন তথা শোভন চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু এরপর বেশ কিছু কারণে দলের সঙ্গে তার কিছুটা শীতল সম্পর্ক তৈরি হলো। দেখা দিল মতান্তর, তাই শেষ পর্যন্ত তৃণমূল দল ছেড়ে যোগদান করলেন বিজেপিতে। তবে বিজেপিতে থেকেও তাঁকে খুব একটা সক্রিয় হতে ইতিপূর্বে দেখা যায়নি। তৃণমূল দলে ফিরতে পারেন কিনা?

এই প্রশ্ন যখন তাঁকে করা হয়েছিল, তার উত্তরে তিনি পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছিলেনযে, তাঁর স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায় যত দিন বেহালার ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডের সর্বময় কর্তির ভূমিকাতে অবতীর্ণ থাকবেন, ততদিন দলে ফেরার কোন ইচ্ছাই নেই তাঁর। এরপর, গত সপ্তাহে হঠাৎ করেই ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডের সমস্ত সংগঠনের কাজ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয় তাঁর স্ত্রী রত্না দেবীকে। এরপরে শোভন বাবুর তৃণমূল দলে ফেরার ব্যাপারে বেশ গুঞ্জন শোনা গেছিল।এরপর বিজেপি নেতৃত্বও থেমে থাকেনি। তার সাথে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেছেন।

এরপরে শোভনবাবু নিজেই পরিষ্কারভাবে জানান, তিনি তৃণমূলে ফিরছেন না থাকছেন বিজেপিতেই। আর বিজেপির হয়েই লড়তে চলেছেন আগামী নির্বাচন। শোভন চট্টোপাধ্যায়কে যখন সাংবাদিকেরা প্রশ্ন করেছিলেন যে, তিনি কি তাঁর নির্বাচনী কেন্দ্র বেহালা পূর্ব থেকেই কি বিজেপির প্রার্থী হতে চলেছেন? তার একটা বিশেষ ইঙ্গিত দিয়ে তিনি জানালেন, বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে এ বিষয়ে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা বার্তা ইতিপূর্বে তার হয়ে গেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এতদিন যে শোভন চট্টোপাধ্যায় বিজেপিতে তেমন সক্রিয় ছিলেন না বলে নানান গুঞ্জন এসেছিল, সম্প্রতি তিনি অনেকটাই বদলে নিলেন নিজেকে। নিজের নির্বাচনী কেন্দ্র বেহালা পূর্ব থেকে যেমন নির্বাচনে লড়ার সম্ভাবনার কথা তিনি জানালেন। তেমনি আরও জানালেন যে, আগামী নির্বাচনে বিজেপির সাফল্যের বিষয়ে যথেষ্ট আশাবাদী তিনি। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি কতটা সাফল্য হতে পারে? বা বিজেপির ভোট কতটা বাড়তে পারে? এর উত্তরে তাঁকে বলতে শোনা গেল, ‘‘মানুষ সব দেখেই সিদ্ধান্ত নেবে।’’ আগামী নির্বাচন নিয়ে তাঁর রাজনৈতিক পরিকল্পনা কী আছে? সেই প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানালেন, ‘‘করোনা পরিস্থিতি কেটে গেলেই সকলে তা জানতে পারবেন।’’

এ প্রসঙ্গে তিনি আরও জানালেন যে, আগামী দিনে তিনি তার পুর পূর্ব দলের বিরুদ্ধে তৎপর হয়ে তিনি উঠতে চান। আর সেই সঙ্গে তিনি এটাও জানিয়ে দিলেন যে, আগামী দিনে তিনি শাসকদল তৃণমূল এর একাংশ নেতৃবর্গের মুখোশ উন্মোচন করে দিতে চান।
শোভন চট্টপাধ্যায়ের এরকম বিজেপিতে থাকার কথা ও সেইসঙ্গে তৃণমূল দলের বিরুদ্ধে সংগ্রামের কথা শুনে তার তৃণমূল দলে আর ফিরে কোন সম্ভাবনা সম্প্রতি নেই বলেই অনেকে মনে করছেন।

প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে যখন শোভন বাবু তৃণমূলে ফিরবেন এরকম একটা গুঞ্জন সংবাদমাধ্যমে ভেসে উঠেছিল সেই সময় বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা রাজ্য বিজেপির সহ পর্যবেক্ষক অরবিন্দ মেনন তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন। অনুরূপভাবে গত বৃহস্পতিবার রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চেয়ে তাকে ফোন করেছিলেন। তাঁকে করা রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় শিক্ষামন্ত্রীর এই ফোন সম্পর্কে তিনি জানালেন, শাসক দল তৃণমূলের বেশকিছু নেতৃবর্গের ব্যবহারে তিনি যথেষ্ট অসন্তুষ্ট আছেন। এ কারণেই শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর কোনো কথা হয়নি। অন্যদিকে এবিপি আনন্দকে দেওয়া একটি বিশেষ সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন বান্ধবী বৈশাখী চট্টোপাধ্যায় এর প্রতি তৃণমূলের বেশকিছু নেতৃবর্গের শীতল ব্যবহারে তিনি যথেষ্ট ক্ষুব্ধ হয়েছেন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!