তৃণমূলের হয়ে ফের সওয়াল হেভিওয়েট দলীয় সাংসদের, ক্ষোভ চরমে প্রদেশ কংগ্রেসের কলকাতা জাতীয় বিশেষ খবর রাজ্য July 17, 2018 ২০১১ সালে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করে রাজ্যে বাম জামানার পরিবর্তনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছিল কংগ্রেস। কিন্তু সেই মধুচন্দ্রিমা স্থায়ী হয় নি খুব বেশিদিন। আর তার ৫ বছর পর তো দীর্ঘদিনের বৈরিতা ভুলে সিপিএমের সঙ্গে হাত মিলিয়ে রাজ্য থেকে তৃণমূলকে হঠাতে উঠেপড়ে লেগেছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। তাঁর সেই পরিকল্পনা শেষপর্যন্ত ফলপ্রসূ না হলেও বাম-কংগ্রেসের সেই মহাজোট যে রীতিমত চিন্তায় ফেলেছিল তৃণমূলকে, তা দলনেত্রীর ‘আমি একই ২৯৪ টি আসনে প্রার্থী’ বক্তব্যের মধ্যেই পরিস্ফুট বলে ধারণা রাজনৈতিক মহলের। এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে আর তাই, ২০১৬-এর সেই কঠিন লড়াই জিতেই রাজ্য থেকে কংগ্রেসের সাংগঠনিক শক্তি মুছে দেওয়ার পণ করে তৃণমূলের শীর্ষনেতৃত্ত্ব। ফলে নীচুতলায় তো বটেই এমনকি কংগ্রেসের টিকিটে জেতা বিধায়করাও গুটিগুটি পায়ে ক্রমশ পারি জমাচ্ছেন ঘাসফুলের ছাতার তলায়। তৃণমূল কংগ্রেস নেতা তথা রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী তো প্রকাশ্যে হুমকি দিয়ে রেখেছেন যে রাজ্যে কংগ্রেস বলে আর কিছু অবশিষ্ট থাকবে না। আর বিধায়কদের পরে, আসন্ন লোকসভা ভোটকে সামনে রেখে কংগ্রেস সাংসদদেরও এবার দলে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস বলে রাজনৈতিক মহলে চূড়ান্ত জল্পনা। আর তৃণমূল কংগ্রেসের এই দল ভাঙানোর খেলায় রীতিমত ক্ষুব্ধ প্রদেশ নেতৃত্ত্ব। বারবার দিল্লিতে হাইকম্যান্ডের কাছে এই নিয়ে দরবার করা হয়েছে। কিন্তু প্রদেশ নেতৃত্ত্বকে চূড়ান্ত হতাশ করে বাংলা থেকে কংগ্রেসের টিকিটে ও তৃণমূলের সমর্থনে জিতে রাজ্যসভার সাংসদ হওয়া অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি আবার তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে সওয়াল শুরু করেছেন। এর আগে একদিকে যখন তৃণমূল কংগ্রেসের উপর সারদা ও নারদ তদন্ত নিয়ে চাপ বাড়াতে শুরু করেছিল প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ত্ব সেইসময় উল্টোদিকে এই দুই মামলায় তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে সওয়াল করে বিড়ম্বনা বাড়িয়েছিলেন অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি ও কপিল সিব্বল। পরবর্তীকালে পঞ্চায়েত মামলাতেও প্রদেশ নেতৃত্ত্বকে হতাশ করে তৃণমূলের হয়ে মামলা লড়েন সিঙ্ঘভি। তবে প্রদেশ নেতৃত্ত্বের ক্ষোভের মুখে দাঁড়িয়ে তিনি তখন জানিয়েছিলেন ভবিষ্যতে আর তিনি তৃণমূলের হয়ে সওয়াল করবেন না। কিন্তু কোথায় কি? আবার গতকাল চিটফান্ড মামলায় তৃণমূলের হয়ে সওয়াল করলেন তিনি। এর আগে রাজ্যে এলে তাঁকে কালো পতাকা দেখিয়ে ‘গো ব্যাক’ ধ্বনি দিয়েছিলেন কংগ্রেস-কর্মীরা। কিন্তু কালকের ঘটনায় ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে গেছে বলে সূত্রের খবর। একদিকে যখন তৃণমূলের হাতে কংগ্রেস কর্মীরা রাজ্যে আক্রান্ত হচ্ছেন, তখন দলীয় সংসদ হয়ে কি করে তিনি তৃণমূলের পাশে দাঁড়াচ্ছেন বলে তাঁকে ফোনেই তীব্র ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন এক শীর্ষ বিধায়ক বলে সূত্রের খবর। কিন্তু দলীয়স্তরে এবার তাঁর বিরুদ্ধে প্রদেশ কংগ্রেস কি ব্যবস্থা নেয় সেদিকেই এখন তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল। আপনার মতামত জানান -