দুর্নীতি-কাণ্ডে মুকুল রায়ের অস্বস্তি বাড়িয়ে এবার শাসকদলের সুরের সুর মেলাল কংগ্রেস কলকাতা জাতীয় রাজ্য August 23, 2019 “পচা পদ্মের এমনই জাদু যে, যোগ দিলে চোরও সাধু” – কিছুটা দুর্নীতির সঙ্গে যোগসাজশ থাকা মুকুল রায় তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরই তাঁকে সেইভাবে আর তদন্তকারী সংস্থারা ডাকছে না বলে অভিযোগ তুলতে দেখা যেত তৃণমূলকে। যার জেরে এই স্লোগান তুলে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে ছড়িয়ে দিয়ে বিজেপিকে আক্রমণ করত রাজ্যের শাসক দল। তবে শুধু মুকুলবাবুই নয়, তৃণমূল থাকার সময় যে সমস্ত ব্যক্তিরা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছিল বিজেপির তরফে, তাঁরা পরবর্তীতে বিজেপিতে গেলেও তাঁদের সেইভাবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার জেরার মুখে পড়তে হয় না বলেও এতদিন অভিযোগ করেছে ঘাসফুল শিবির। আর এবার পি চিদাম্বরমকে সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে গ্রেপ্তার করা হলে – যাঁরা বিজেপির বিরোধিতা করবে, তাঁদেরই এই ভাবে মুখ বন্ধ করানো হবে বলে গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে আক্রমণ করতে শুরু করল কংগ্রেস। সূত্রের খবর, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থ এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী চিদাম্বরমকে সিবিআই গ্রেপ্তার করার পরই এদিন সকালে এআইসিসিতে একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন কংগ্রেসের মুখপাত্র রনদীপ সিং সূর্যেওয়ালা। তিনি বলেন, “অখিলেশ যাদব, মায়াবতী, বীরভদ্র সিং, ভূপেন্দ্র সিং হুডা, কমলনাথের পরিবার, আহমেদ প্যাটেলের পরিবার, দেবগৌড়ার ছেলে, ফারুক আবদুল্লা, ওমর আব্দুল্লা, শশী থারুর, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মামলা করা হচ্ছে। কিন্তু মজার বিষয়, এমন অভিযুক্ত কেউ বিজেপিতে যোগ দিলেই গঙ্গাস্নান করে যেন পবিত্র হয়ে যান।” আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - আর এরপরই কংগ্রেসের মুখপাত্র মুকুল রায়ের নাম তোলেন। তিনি বলেন, “মুকুল রায়কে গ্রেপ্তারের চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু আমি শুনলাম বিজেপিতে যোগ দিয়ে তিনি ক্লিনচিট পেয়েছেন।” রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, মুকুল রায়ের বিজেপি যোগ নিয়ে তাঁকে সিবিআইয়ের চাপে জোর করে বিজেপিতে যোগ দেওয়ানো হয়েছে বলে দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ করতে দেখা গেছে তৃণমূলকে। যদিও বা তৃনমূলের সেই অভিযোগকে বারবারই অস্বীকার করেছে বিজেপি এবং খোদ মুকুল রায়। কিন্তু, এবার প্রবীন কংগ্রেস নেতা পি চিদাম্বরম গ্রেপ্তার হওয়ায়, সেই মুকুল রায়ের প্রসঙ্গ তুলে, যাঁরা বিজেপির বিরোধিতা করবেন না, তাঁদেরকে সিবিআই গ্রেপ্তার করবে না বলে আক্রমণ শানাতে শুরু করল কংগ্রেস। তবে শুধু কংগ্রেস নয়, বিরোধী দলের একাংশের বক্তব্য, বিজেপি গায়ের জোরে সব কিছুকে চালাতে চাইছে। আর তাই যাঁরা বিজেপির বিরোধিতা করছেন, তাঁদের মুখ পুরোপুরি স্তব্ধ করতে সিবিআই দিয়ে তাদের হেফাজতে নেওয়া হচ্ছে। তবে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বা বিরোধী দলগুলোর পক্ষ থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে এই ধরনের মন্তব্য করা হলেও তা মানতে নারাজ গেরুয়া শিবির। বিজেপির দাবি, আসলে যাঁদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আছে, তারই তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। বেকায়দায় পড়ে এখন কংগ্রেস অপপ্রচার করতে শুরু করেছে। কিন্তু বিজেপি নেতৃত্ব এই ব্যাপারে যে সাফাই দিক না কেন, বিরোধী দলে থাকা যে সমস্ত নেতা-নেত্রীদের নামের পাশে দুর্নীতি শব্দ যুক্ত থাকার পরেও তাঁরা বিজেপিতে যোগদান করছেন, তারপরে তাঁদের আর সেই ভাবে না ডাকায় এবং যাঁরা বিজেপির বিরোধিতা করছেন তাঁদের সিবিআই হেফাজতে ডাকায় – বিজেপির বিরুদ্ধে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। আপনার মতামত জানান -