এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > নতুন করে লকডাউন শুরু হতেই পদ হারালেন প্রভাবশালী প্রশাসনিক কর্তা! শুরু তীব্র জল্পনা

নতুন করে লকডাউন শুরু হতেই পদ হারালেন প্রভাবশালী প্রশাসনিক কর্তা! শুরু তীব্র জল্পনা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – লকডাউন ও কনটেন্টমেন্ট এলাকা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে, যা বিধানসভা নির্বাচনের আগে সরাসরি শাসক দলের বিপক্ষে যেতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিষেশজ্ঞরা। এর আগে রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিবকে আমপান কাণ্ডের পর সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল এবং কলকাতার পুর কমিশনারকেও সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। আর এবার সেই একই পথ ধরে সরিয়ে দেওয়া হলো উত্তর ২৪ পরগনার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে – যা নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে শুরু হয়েছে তীব্র বিতর্ক।

তখনও একই প্রশ্ন উঠেছিল আজও একই উঠছে – রাজনৈতিক কোপে সরকারি কর্মচারীরা কেন পড়ছেন? গতকালই, বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ খোঁচা দিয়েছিলেন যে নতুন করে এই লকডাউন ডেকে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি রাজনৈতিক ফায়দা উঠানোর চেষ্টা করছেন। এদিন এই ঘটনার ফলে সরকারি মহলে আশঙ্কা ও অনিশ্চয়তার হাওয়া উঠেছে – বলেই মত অভিজ্ঞ মহলের। অনেকেই মনে করছেন, এই ঘটনার পর – অন্যান্য জেলার স্বাস্থ্যকর্তারা রীতিমত অনিশ্চয়তার মধ্যে পরে গেলেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন প্রশাসনিক সূত্রের খবর অনুযায়ী, সন্ধ্যেবেলা রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে উত্তর ২৪ পরগনার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক তপন কুমার সাহার বদলির নির্দেশ আসে। তাঁর পরিবর্তে তাপস কুমার রায়কে বারাসাতের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক পদে বসানো হয়েছে। সংশ্লিষ্ট মহলের ধারণা, উত্তর ২৪ পরগনায় ক্রমাগত করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলার ফলেই তপনবাবুকে বদলি করা হয়েছে। কিন্তু, এখানেই প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা। তপনবাবু উত্তর ২৪ পরগণার কঠিন করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে একের পর এক পদক্ষেপ নিয়েছিলেন।

তবুও তাঁর এইভাবে বদলি কেন? উঠছে প্রশ্ন। প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই কদম্বগাছির করোনা হাসপাতালের পরেই বারাসাতে দ্বিতীয় একটি হাসপাতাল তৈরীর উদ্যোগ নিয়েছে স্বাস্থ্য দপ্তর। অন্যদিকে, বারাসাতের একটি আশা নার্সিংহোমকে করোনা হাসপাতাল করার নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। সমস্ত নিয়ম মেনে দ্রুত তা, করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য উপযুক্ত করে তোলা হচ্ছে। স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে সুরক্ষা বিধি মেনেই এই কাজ করা হবে। এছাড়া লকডাউন কার্যকর করতে খুবই তৎপর হয়ে পড়েছে পুলিশ ও প্রশাসন।

আর তপনবাবুর এহেন বদলির পর প্রকাশ্যে মুখ খুলতে চাইছেন না কেউই। তবে, বেশিরভাগেরই বক্তব্য, বিধানসভা নির্বাচনের আগে আর এক বছরও বাকি নেই। ফলে খুব স্বাভাবিকভাবেই সেখানে আমপান ও করোনা সময়ে প্রশাসনের ভূমিকা জনমানসে বড়সড় ছাপ ফেলবে। আর তাই কি এইভাবে সরকারি আধিকারিকদের উপর কোপ পড়ছে? শাসকদলের প্রধান প্রতিপক্ষ গেরুয়া শিবিরের দিলীপবাবুরা কিন্তু প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন – ব্যর্থতার দায়ে সচিবদের সরানো হলে মন্ত্রীদের নয় কেন? এই প্রশ্ন কি আগামীদিনে আরও জোরালো হবে? বিশেষ করে যেখানে রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নাম – মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়!

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!