এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশকে উপেক্ষা করেই মাধ্যমিকের মাঝেই হেভিওয়েট মন্ত্রীর সভায় তারস্বরে মাইক! তীব্র সমালোচনা বিরোধীদের

মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশকে উপেক্ষা করেই মাধ্যমিকের মাঝেই হেভিওয়েট মন্ত্রীর সভায় তারস্বরে মাইক! তীব্র সমালোচনা বিরোধীদের

নিয়মের তোয়াক্কা না করে মাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন ধুপগুড়িতে অডিটোরিয়ামের জমির শিলান্যাস অনুষ্ঠানে জোরে মাইক বাজানোর অভিযোগ উঠল ধুপগুড়ি পৌরসভার বিরুদ্ধে। ওদিকে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বয়ং উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। গতকাল দুপুর দুটো নাগাদ ধুপগুড়ি ২ নম্বর ব্রিজ সংলগ্ন পৌরসভার জমি তথা অডিটোরিয়ামের প্রস্তাবিত জমির আনুষ্ঠানিকভাবে শিলান্যাসের পাশাপাশি ভূমিপুজোও করেন। মন্ত্রীর উপস্থিতিতে কীভাবে মাধ্যমিক পরীক্ষার সময়ে জোরে মাইক বাজানো হল? এই প্রশ্নকে ঘিরেই নয়া বিতর্ক দানা পাকিয়েছে।

মাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন মাইক বাজানো নিষিদ্ধ করেছেন স্বয়ং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই নির্দেশকে অমান্য করেই তৃণমূল সরকারেই এক মন্ত্রীর উপস্থিতিতে এক অনুষ্ঠানে মাইক বাজানো হয়। আবার এ বিষয়ে সাফাই দিতে অনুষ্ঠান শেষে মন্ত্রী বলেন, “২৬ তারিখ পর্যন্ত মাইক ব্যবাহার নিষিদ্ধ। আজ রবিবার, ছুটির দিন তাই হয়তো পৌরসভা এই মাইকের আয়োজন করেছে। সামান্য আওয়াজ হয়েছে। তবে এটা ঠিক নয়। কিন্তু লোকজন বেশি হয়েছিল বলে মাইক ব্যবহার করা হয়েছে।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অনুষ্ঠানে রবীন্দ্রনাথবাবু ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ বিজয়চন্দ্র বর্মণ, ধুপগুড়ি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দীনেশ মজুমদার, জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি দুলাল দেবনাথ এবং ধুপগুড়ি পৌরসভার চেয়ারম্যান ভারতী বর্মণ সহ অন্যরা। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, যেখানে খোদ রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান নির্দেশ দিয়েছেন মাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন মাইক বাজানো বন্ধ রাখতে হবে, সেখানে তাঁর রাজ্যেই তাঁর মন্ত্রীসভার মন্ত্রী কীভাবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ অমান্য করার আশকারা দিলেন?

নেত্রীর নির্দেশকে যদি তাঁর দলের নেতা-মন্ত্রীরাই বু্ড়ো আঙুল দেখায় তাহলে অন্যান্য বিরোধী দল নেত্রীর কথা মানবে কেন? এ প্রশ্নওকে ঘিরেও গুঞ্জন শুরু হয়েছে রাজনৈতিকমহলে। গতকালের ঘটনায় রীতিমত সমালোচনাও শুরু হয়ে গেছে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে যা এই মুহূর্তে শাসকদলের ভাবমূর্তি রক্ষার জন্য ইতিবাচক নয় বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এই ঘটনায় শাসকদলের বিরুদ্ধে তোপ দেগে বিরোধীদের দাবি, তৃণমূল অন্যের দোষ ধরতে আসে, অথচ নিজের বেলায় সাত খুন মাফ! এই কাজ বিরোধীরা করলে তো গ্রেপ্তার হয়ে যেত, কেন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন না মুখ্যমন্ত্রী?

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!