এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > কোভিড আক্রান্তদের হোম-আইসোলেশনে রাখাই কি কাল হতে চলেছে? নতুন তথ্যে ঘুম উড়ছে স্বাস্থ্যদপ্তরের

কোভিড আক্রান্তদের হোম-আইসোলেশনে রাখাই কি কাল হতে চলেছে? নতুন তথ্যে ঘুম উড়ছে স্বাস্থ্যদপ্তরের


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে তরতরিয়ে, সেইসঙ্গে স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে বেডের সংখ্যাও অপ্রতুল হয়ে পড়ছে। এমন ভাবনায় আগেই বাড়িতে থেকে হোম আইসোলেশনের মাধ্যমে চিকিৎসা করানোর কথা বলা হয়েছিল সরকারি তরফে। তবে সেক্ষেত্রে রোগীর পরিবার যাতে উদ্বিগ্ন না হয়, সেই জন্য আলাদা করে তাদের সঙ্গে চিকিৎসকদের কথা বলা হবে বলেও জানানো হয়েছিল।

তবে সম্প্রতি রাজ্য সরকারের তরফে যে তথ্য প্রকাশিত হয়েছে, তাদের হোম আইসোলেশনই আশঙ্কার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। বস্তুত, এক্ষেত্রে মানুষের সচেতনতার অভাব হচ্ছে বলেই মনে করা হচ্ছিল। স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী রাজ্যে অ্যাক্টিভ কেসের মধ্যে ৭৫ শতাংশ আক্রান্তই হোম আইসোলেশনে রয়েছেন। আর সেইরকম আক্রান্তের সংখ্যাই ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে বলে জানা গেছে।

তথ্য সূত্রে জানা গেছে, গত ১২ই অক্টোবর রাজ্যে যেখানে অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা ছিল ৩০৬০৪ জন, সেখানে তার মধ্যে হোম আইসোলেশনে থাকা কোভিড রোগীর সংখ্যা ছিল ২২৩৬৬ জন। সম্প্রতি আবার যেখানে রাজ্যে অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩৫১৭০ জন, সেই সঙ্গে অন্যদিকে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে হোম আইসোলেশনে থাকা রোগীর সংখ্যাও।

স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, গত ২০শে অক্টোবর পর্যন্ত হোম আইসোলেশনে ২৬৮২৪ জন ছিলেন। আর বুধবার স্বাস্থ্য দফতর কর্তৃক প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী, গত চব্বিশ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনাতে ৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। ফলে রাজ্যে এখন মৃত্যুর হার ১.৮৭ শতাংশ। জেলাস্তরে আক্রান্ত এবং মৃত্যুর পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বর্তমানে রাজ্যের আটটি জেলায় মৃত্যুর হার ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে বলে জানা গেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে, রাজ্য প্রশাসনের তরফে জানা গেছে, কলকাতা এবং উত্তর ২৪ পরগনায় অবস্থিত সেফ হোম সংক্রান্ত পরিসংখ্যান অনুযায়ী ওই দুই জেলায় প্রতিদিনের আক্রান্তের সংখ্যা ৮০০ ছাড়িয়েছে। অথচ গত ২০ অক্টোবরের পরিসংখ্যান দেখে বোঝা গেছে রাজারহাটে দেড়শো শয্যার সেফ হোমে মাত্র ১০ জন রোগী রয়েছেন। অন্যদিকে একই অবস্থা কলকাতায় সায়েন্স সিটির কাছে অবস্থিত সেফ হোমে।

সেখানে শয্যা সংখ্যা ২৪০ হলেও তার মধ্যে ২১৪টি শয্যাই খালি পড়ে রয়েছে। হাওড়ার বালটিকুরিতে ৪০০ শয্যার মধ্যে একটি বেডেও রোগী নেই বলে জানা গেছে। অন্যদিকে ৮০০ শয্যার হজ হাউসে মাত্র ১১ জন রোগী রয়েছেন বলে জানা গেছে। তবে এদের মধ্যে একমাত্র ব্যতিক্রম আনন্দপুরে অবস্থিত সেফ হোম। সেখানে ৩৮৫টি বেডের মধ্যে ২১৫টি বেডে রোগী আছেন বলে জানা গেছে।

এক্ষেত্রে, দেখা গেছে করোনা আক্রান্ত হয়ে যে সমস্ত মানুষেরা হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার তিন চার দিনের মধ্যে মারা গেছে তাদের মধ্যে এমন রোগীর সংখ্যা ৩০ শতাংশ। বাড়িতে ফেলে রাখার ফলে এবং ঠিকমতো সচেতনতার অভাবের জন্যই এত সংখ্যক মানুষকে বাঁচানো সম্ভব হচ্ছে না বলেই জানা গেছে। এর ফলে রোগীকে হাসপাতালে আনার ক্ষেত্রে অনেকটাই দেরি করে ফেলেছেন বাড়ির লোকেরা।

সেইসঙ্গে নার্সিংহোমে করোনা আক্রান্ত রোগীকে ফেলে রাখা হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি হতে গেলে শয্যার অভাব থাকলেও কিভাবে তাকে ভর্তি নেওয়া হবে সেই ক্ষেত্রে পাল্টা প্রশ্ন তুলেছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে, চিকিৎসকদের মতে গুরুতর অসুস্থ হলেও বাড়িতে রাখার পরিকল্পনা না থাকলে রোগীকে বাড়িতে রেখে দিতে হবে এমন কথা বলা হয়নি কোনো ক্ষেত্রেই। কিন্তু বেশিরভাগ মানুষের ক্ষেত্রে কোন রকম বোঝার ভুল হচ্ছে বলে এমন সমস্যা তৈরি হচ্ছে বলে জানা গেছে। তাই সতর্কতা তৈরি হলে বা সচেতনতা না বাড়লে এমন সমস্যা যে আরও বাড়বে, সেই আশঙ্কাই করছেন সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!