এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > হকার-অনুদানেও এবার চরম দুর্নীতি! প্রকৃতরা বঞ্চিত? টাকা পাচ্ছেন শুধু তৃণমূল নেতা ঘনিষ্ঠরাই?

হকার-অনুদানেও এবার চরম দুর্নীতি! প্রকৃতরা বঞ্চিত? টাকা পাচ্ছেন শুধু তৃণমূল নেতা ঘনিষ্ঠরাই?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল তৃণমূলের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ আসতে শুরু করেছে বিরোধীদের। আর তা সামলাতে এখন কার্যত হিমশিম অবস্থা শাসকদলের। প্রথমত আম্ফান ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণে রাজ্যজুড়ে চরম দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল বিরোধীদের তরফ থেকে। আম্পান ক্ষতিগ্রস্তদের সেই টাকা অন্যদের পকেটে যাচ্ছে বলে অভিযোগ আসে।

সেই সঙ্গে কিছুদিন আগে রাজ্যের বিভিন্ন পূজা কমিটিগুলোকে সরকারি অনুদান দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানা যায় অনুদানের সেই ৫০,০০০ টাকা নাকি এমন অনেকজনের একাউন্টে গেছে যারা কিনা সেই অনুদান পাওয়ার কোনোভাবেই যোগ্য নয়। সেক্ষেত্রে উঠে এসেছিল বনেদি বাড়ির নামও। তবে সম্প্রতি সেইসঙ্গে সামনে এসেছে হকার অনুদানের দুর্নীতির কথা।

পুজোর সময় ক্লাবগুলোকে টাকা অনুদান দেওয়ার ঘোষণা করার সঙ্গে সঙ্গেই মমতা ব্যানার্জির ঘোষণা করেছিলেন সেই অনুদানের টাকা পাবেন হকাররাও। তাদেরকে পুজোর মুখে এককালীন ২০০০ টাকা অনুদানের কথা বলা হয়েছিল সেই সময়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন এই টাকা দিয়ে অন্তত হকাররা নিজের ছেলেমেয়েদের একটি করেও নতুন জামা কিনে দিতে পারবেন।

তবে সম্প্রতি জানা গেছে, চকদহে নাকি এই সূত্রে তৈরি হয়েছে নতুন সমস্যা। বস্তুত, পুরসভা সূত্রে যদিও সেই হকার তালিকা তৈরির দ্রুততা সংক্রান্ত কথা জানানো হয়েছে, তবে এক্ষেত্রে জানা গেছে পুরো কর্মী ও কিছু নেতার ঘনিষ্ঠরাই নাকি এক্ষেত্রে আবেদন করতে পারছেন। তাই সেই তালিকা নিয়ে অভিযোগ উঠেছে চাকদহে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বস্তুত, প্রাথমিক আবেদনের ভিত্তিতে তালিকা প্রস্তুত করার কথা বলা হলেও যেখানে তালিকা প্রস্তুতিতেই এমন অভিযোগ এসেছে, সেক্ষেত্রে অনুদানের টাকা থেকে প্রকৃত হকাররা যে বঞ্চিত হচ্ছেন সেই অভিযোগ উঠতে দেখা গেছে। এক্ষেত্রে সামনে এসেছে এমন অনেক মহিলার নামও যারা কিনা কেবলমাত্র গৃহবধূ। আবার সেই সঙ্গে উঠে এসেছে বিভিন্ন ব্যবসায়ী নাম।

বিরোধীদের তরফ থেকে এই প্রসঙ্গে অভিযোগে বলা হয়েছে, তৃণমূলের লোকজন প্রকল্পের টাকাতেই নিজেদের পকেট ভরছে। এক্ষেত্রেও তার অন্যথা হচ্ছে না। যদিও আবেদন করার ক্ষেত্রে তৃণমূলের এক কর্মীর কথায়, যে কেউ এই আবেদন করতে পারেন, তবে সে ক্ষেত্রে পুলিশ সমস্ত তথ্য খতিয়ে দেখে তবেই চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে পুরসভার এক পদস্থ কর্তার মতে যেহেতু অত্যন্ত তাড়াহুড়োর মধ্যে কাজ করতে হচ্ছে, তাই অনেক ক্ষেত্রেই নাম যাচাই করার ব্যাপারে ভুল থেকে যাবার সম্ভাবনার হয়ে যাচ্ছে।

তাই সর্বশেষ যাচাইয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পুলিশের উপরেই। এক্ষেত্রে সমস্ত তথ্য বিচার করে চূড়ান্ত তালিকা তারাই দেবেন বলে জানানো হয়েছে। অন্যদিকে তথ্যসূত্রে জানা গেছে, করোনা পুজো প্রস্তুতি এবং দৈনন্দিন কাজের ফাঁকে কাজ করতে গিয়ে সবক্ষেত্রে যাচাই প্রক্রিয়াও সঠিক হয়েছে বলে দাবি করা যাচ্ছে না। আর তাতেই সমস্যা তৈরি হবার সম্ভাবনা থেকে যাচ্ছে। তবুও এর সঙ্গে পুরো কর্মীদের সতর্কতার অভাবকেও অস্বীকার করা যাবে না বলেই মনে করছেন অনেকে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!