এখন পড়ছেন
হোম > আন্তর্জাতিক > করোনা অ্যান্টিবডি স্থায়ী নয়! নতুন গবেষণায় সামনে এল ভয়ঙ্কর তথ্য! সামনে আরও বড় বিপদ অপেক্ষায়?

করোনা অ্যান্টিবডি স্থায়ী নয়! নতুন গবেষণায় সামনে এল ভয়ঙ্কর তথ্য! সামনে আরও বড় বিপদ অপেক্ষায়?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দীর্ঘদিন ধরেই করোনা নিয়ে নানান গবেষনা চলছে বিশ্বের বুকে। করোনার হাত থেকে বাঁচতে প্রতিষেধকের ওপরেই এখন একমাত্র ভরসা, আর তা নিশ্চিত করে দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রতিষেধকের মাধ্যমে শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি করেই করোনাকে দূরে সরানো যাবে। তবে অ্যান্টিবডি নিয়েসামনে আসতে শুরু করেছে বিভিন্ন তথ্য। অনেকেই মনে করেছিলেন আগে একবার শরীরে করোনা তৈরি হলে শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরী হয়ে যাবে। পরবর্তীতে করোনার হাত থেকে মুক্তি।

কিন্তু অনেকেই দাবি করেছিলেন, আগে একবার করোনা হলেও করোনার অ্যান্টিবডির স্থায়িত্ব কিন্তু বেশিদিন থাকবে না। আর এই তত্ত্বকেই মেনে নিলেন দেশের অন্যতম ভাইরোলজিস্ট পুণের ‘ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স, এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ’-এর ডা. সত্যজিৎ রথ ও দিল্লির ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ইমিনোলজি’র ডা. বিনীতা বল। এই দুই ইমিউনোলজিস্ট সম্প্রতি জানিয়েছেন, শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হওয়া মানেই দেহে করোনার প্রবেশ ঘটেছিল তা ঠিক। কিন্তু একবার করোনা হলে দ্বিতীয় বার যে হবে না তার কোন নিশ্চয়তা নেই।

কারণ সারা জীবনের জন্য এই অ্যান্টিবায়োটিক নির্ভরযোগ্য নয়। প্রসঙ্গত মানব শরীরে সাধারণত দুই ধরনের অ্যান্টিবডি তৈরি হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। এক হলো নিউট্রিলাইজিং অ্যান্টিবডি এবং অন্যটি হলো নন-নিউট্রিলাইজিং সারকুলেটরি অ্যান্টিবডি। প্রথম অ্যান্টিবডিটি কোন ভাইরাসকে শরীরে ঢুকতে দেয়না। যদি বা ভাইরাস ঢোকে, তা সঙ্গে সঙ্গেই নষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু দ্বিতীয় ধরনের অ্যান্টিবডিটি ভাইরাসের সঙ্গে যুক্ত হতে পারলেও তার কার্যকারিতা পুরোপুরি নষ্ট করতে পারে না। বরং কোন কোন ক্ষেত্রে শরীরে জীবাণু ঢোকার রাস্তাকে মসৃণ করে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

ডেঙ্গু এবং সার্সের ক্ষেত্রে এই ধরনের লক্ষণ দেখা দিয়েছে। তবে করোনার ক্ষেত্রে অবশ্য এখনও পর্যন্ত তেমন কিছু চোখে পড়েনি। সম্প্রতি জানা গেছে, আইসল্যান্ডের গবেষকরা এই অ্যান্টিবডি নিয়ে করোনা আক্রান্ত হয়ে যারা সুস্থ হয়ে উঠেছেন, তাদের মধ্যে সেরো সার্ভুলেন্স চালান। নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অফ মেডিসিনের গবেষণাপত্র তা প্রকাশিত হয় বলে জানা গেছে। সেই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে ভাইরোলজিস্ট ডক্টর সিদ্ধার্থ জোয়ারদার এদিন জানিয়েছেন, সেরো সার্ভুলেন্সে যে অ্যান্টিবডি টেস্ট হচ্ছে, তার শুধু পজেটিভ কিংবা নেগেটিভ বোঝা যাবে।

কিন্তু কতটা শরীরে অ্যান্টিবডি থাকছে তার পরিমাপ জানার এখনো কোনো রাস্তা বের হয়নি। সেক্ষেত্রে শরীরের মজুদ অ্যান্টিবডি ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে কি ভূমিকা গ্রহণ করবে তাও বলা যাচ্ছে না। এ প্রসঙ্গে জানা গেছে, পরীক্ষায় প্রমাণিত আইসল্যান্ডে করোনা জয়ীদের রক্তের অ্যান্টিবডি থাকছে মাত্র চার মাস। আর সেক্ষেত্রে বলা যেতে পারে, অ্যান্টিবডি মাত্রই যে করোনার বাধাদানকারী হয়ে উঠবে, তার কোনো মানে নেই। শহরের ভাইরোলজিস্টরা ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, করোনার ক্ষেত্রে দেহে তৈরি হওয়া অ্যান্টিবডির স্থায়িত্ব যে বেশি দিন নয় তার প্রমাণ আগেই পাওয়া গেছে। তবে করোনার অ্যান্টিবডি নিয়ে এখনো পর্যন্ত সেভাবে কোন পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়নি।

তবে এবার দিল্লির ইমিউনোলজিস্টরা যেভাবে দিক নির্ণয় করলেন করোনার অ্যান্টিবডি নিয়ে, তাতে আগামী দিনে একজনের একের অধিক বার করোনার সম্ভাবনা দেখা দিচ্ছে। এতদিন পর্যন্ত ডাক্তারি ভাষায় প্লাজমা চিকিৎসাও করা হয়েছে বেশ কিছু জায়গায়। অন্যদিকে করোনাকে ঠেকাতে প্রতিষেধক আবিষ্কারের দিকেও বেশ কয়েক ধাপ এগিয়ে গেছেন বিজ্ঞানীরা। প্রতিষেধক মানেই শরীরে অ্যান্টিবডির বাড়বাড়ন্ত, কিন্তু সেই অ্যান্টিবডির কতদিন স্থায়ীত্ব থাকবে, তা নিয়ে কিন্তু থাকছে প্রশ্ন। অনেকেই মনে করছিলেন এতদিন, কারোর করোনা হয়ে গেলে আর দ্বিতীয়বার হবেনা, সে তত্ত্বকেও রীতিমতো সরিয়ে রাখতে হচ্ছে বর্তমানে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!