এখন পড়ছেন
হোম > আন্তর্জাতিক > করোনা এখন অতীত, গোটা বিশ্ব কাঁপাতে বাজারে আসছে ইবোলার মতো বায়ুবাহিত নতুন ভাইরাস,

করোনা এখন অতীত, গোটা বিশ্ব কাঁপাতে বাজারে আসছে ইবোলার মতো বায়ুবাহিত নতুন ভাইরাস,


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনা নিয়ে ইতিমধ্যেই দুর্ভাবনার অন্ত নেই। গবেষক ও চিকিৎসকদের পাশাপাশি বিশ্ববাসী এই মুহূর্তে করোনার কারণে আতঙ্কিত। যত দিন যাচ্ছে, এই আতঙ্ক বেড়েই চলেছে। পাশাপাশি বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ মানুষের মৃত্যু ঘটছে এই করোনায়। সারা বিশ্বজুড়ে করোনার প্রতিষেধক নিয়ে গবেষণা চললেও এখনো পর্যন্ত নিশ্চিতভাবে করোনার প্রতিষেধক নিয়ে বিশেষ কিছু বলা যাচ্ছেনা। কিন্তু এরই মধ্যে করোনার পাশাপাশি আরও একটি বায়ুবাহিত ভাইরাসের আগমনের বার্তা পাওয়া গেল। সম্প্রতি বলিভিয়ার উত্তরে লাপাজ প্রদেশের ছাপার অঞ্চলে এই নতুন ভাইরাসটি সংক্রামিত হচ্ছে।

এর লক্ষণ অনেকটা ইবোলা ভাইরাসের মতন বলে জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথেই বলিভিয়ায় শুরু হয়ে গেছে মৃত্যু। জানা গিয়েছে, এই ভাইরাসে আক্রান্ত দুই ব্যক্তি গিয়েছিলেন লাপাজ শহরের স্বাস্থ্য কেন্দ্রটিতে। 3 জন স্বাস্থ্য কর্মী তাঁদের সংস্পর্শে আসেন। জানা গিয়েছে, দুজন রোগীর মধ্যে একজন এবং তিনজন স্বাস্থ্যকর্মীর মধ্যে দুজনের ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে। ইউনাইটেড স্টেটস সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এন্ড প্রিভেনশন এই খবর জানিয়েছে। যথারীতি এই তথ্য সামনে আসতেই আতঙ্ক ছড়াতে শুরু করেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ভাইরাসটিও করোনার মতন বায়ুবাহিত। শরীরে এই সংক্রমণ দেখা দিলে প্রথমেই হেমারেজিক জ্বরের উপসর্গ তৈরি করছে।

পাশাপাশি বমি, মাড়ি থেকে রক্তপাত, গায়ে ব্যথা, পেটে ব্যথা সহ বিভিন্ন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে, যা এই সংক্রমণের প্রাথমিক উপসর্গ বলে দাবি করছেন চিকিৎসকরা। আপাতত নজর রাখা হচ্ছে বলিভিয়ায় কতজনের শরীরে এই উপসর্গ দেখা দিয়েছে! সংক্রামিতরা ছাড়া বাকিদের শরীরে এই ভাইরাস কতটা ছড়িয়ে পড়ছে! ইবোলার লক্ষণসমূহ এই ভাইরাসটির নাম দেওয়া হয়েছে চাপার ভাইরাস। বলিভিয়ায় গত বছরেও এই চাপার ভাইরাসের সংক্রমণের কথা শোনা গিয়েছিল। অন্যদিকে মার্কিন সিডিসির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এখনো পর্যন্ত করোনা মুক্ত হয়নি সারাবিশ্ব। তার মধ্যেই নতুন করে এই চাপার ভাইরাস ছড়িয়ে পড়লে দুর্গতির অন্ত থাকবে না বলে মনে করা হুচ্ছে।

জানা গেছে, করোনা মূলত শ্বাসযন্ত্রে সংক্রমণ ছড়ায় আর এই নতুন চাপার ভাইরাস বডি ফ্লুইড এর মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। যথারীতি করোনা রোগীর শরীরে এই ভাইরাসের আক্রমণ হলে তা আরো বেশি মারাত্মক হয়ে উঠবে বলে মনে করা হচ্ছে। চাপার ভাইরাস কি? এর সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য দিয়েছে মার্কিন সিডিসি। জানা গিয়েছে চাপার ভাইরাস মূলত ম্যামারেনাভাইরাস মূলত অ্যারেনাভিরিডি ভাইরাস পরিবারের অন্তর্গত। 2003 সালে এই ভাইরাসের কথা প্রথম শোনা যায় বলিভিয়ায়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তখন অবশ্য অল্প সংখ্যক মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন।মার্কিন সিডিসি-র এপিডেমোলজিস্ট কেইটলিন কোসাবুম জানিয়েছেন, যেকোনো মানুষের রক্ত, বীর্য, প্লাজমা, নাক ও মুখের তরল ইত্যাদির মাধ্যমে এক শরীর থেকে অন্য শরীরে ছড়িয়ে পড়ে এই ভাইরাস। বিশেষজ্ঞদের মতে, যেকোনো রোগীর বীর্যে কয়েক সপ্তাহ থেকে 168 দিন পর্যন্ত এই ভাইরাসটি টিকে থাকে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, অ্যারেনাভাইরাস পরিবারের আরও মারাত্মক প্রজাতি হলো লাসা ভাইরাস, ম্যাকুপো ভাইরাস। করোনার মতই এই ভাইরাসটিও জিনের পরিবর্তনের সাথে সাথে নতুন রূপ গ্রহণ করে এবং আরো বেশি সংক্রামক হয়ে ওঠে বলে জানাচ্ছেন গবেষকরা।

ডেঙ্গুর সাথে মিল থাকায় অনেকেই এই ভাইরাস সংক্রমণকেই জ্বর বলে ভুল করেছিলেন প্রথমে। পরে রক্তের নমুনায় এই ভাইরাসের খোঁজ পান আমেরিকান হেলথ অর্গানাইজেশনের গবেষকরা। সিডিসির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, rt-pcr টেস্টে এই ভাইরাসের সংক্রমণ চিহ্নিত করা সম্ভব। তবে করোনার মতনই এই চাপার ভাইরাসেরও কোনো প্রতিষেধক এখনো পর্যন্ত বের হয়নি। একেই করোনা মানুষের জীবনধারাই পরিবর্তন করে দিচ্ছে। তার ওপর এই নতুন আবিষ্কৃত চাপার ভাইরাস- দুইয়ের সাঁড়াশি আক্রমণে এখন বিশ্ববাসী রীতিমতো তীব্র আতঙ্কে ভুগছেন।

করোনাকে আটকাবার মতন এখনো কোনো প্রতিষেধক বিশ্ব বাজারে আসেনি। এই পরিস্থিতিতে যদি এবার নতুন এই চাপার ভাইরাস বলিভিয়া থেকে বেরিয়ে বিশ্বের অন্যত্র ছড়িয়ে পড়ে, তাহলে বিপর্যয়ের অন্ত থাকবে না বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এই পরিস্থিতিতে নতুন এই ভাইরাসটির গতিবিধির ওপর কড়া নজর রাখা হচ্ছে। আপাতত করোনার পাশাপাশি নতুন এই ভাইরাসের চিকিৎসা কিভাবে হবে, তা নিয়ে ক্রমাগত আলোচনা চালাচ্ছেন বিশ্বের তাবড় তাবড় চিকিৎসকেরা।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!