এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > করোনা আতঙ্ক আরও তীব্র করে এবার খোদ কলকাতার বুকে প্রাণ গেল প্রৌঢ়ের!

করোনা আতঙ্ক আরও তীব্র করে এবার খোদ কলকাতার বুকে প্রাণ গেল প্রৌঢ়ের!

রাজ্যে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্তের মৃত্যু হল। কোভিড ১৯-এ আক্রান্ত হয়ে সল্টলেকের এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন কলকাতার দমদমের বাসিন্দা এক প্রৌঢ়। সোমবার দুপুরে মৃত্যু হয় তাঁর। শনিবার রাতেই তাঁর শরীরে করোনাভাইরাসের জীবাণু পাওয়া যায়। শুকনো কাশি সহ শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা নিয়ে গত ১৩ মার্চ থেকে ভুগছিলেন দমদমের ওই ব্যক্তি। তার পর কাশি ও শ্বাসকষ্ট বাড়তে থাকায় তাঁকে সল্টলেকের বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু তিন দিন হাসপাতালে ডাক্তারদের পর্যবেক্ষণে থাকার পরেও তাঁর উন্নতি তেমন হয়নি।

গত ১৯ মার্চ শ্বাসকষ্ট বেড়ে পরিস্থিতি আয়ত্বের বাইরে চলে যাওয়ায় তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখতে হয়। ডাক্তাররা তাঁকে ইসিএমও সাপোর্টে রাখার পরামর্শ দেন। তবে তখনও তাঁর শরীর নমুনা সংগ্রহ করে করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়নি। পরে তাঁর লালারসের নমুনা পরীক্ষার জন্য নাইসেড এবং এসএসকেএম হাসপাতালে পাঠানো হয়। তাতেই পজিটিভ রেজাল্ট ধরা পড়ে। করোনাভাইরাসের জীবাণু পাওয়া যাওয়ার পর জানা যায়, সম্প্রতি ওই প্রৌঢ়ের পরিবারের কোনও সদস্যই বিদেশে যাননি। তারপরেই বোঝা যায় কলকাতায় সামাজিক সংস্পর্শে করোনাভাইরাস তাঁর শরীরে বাসা বাঁধে।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার দুপুরে তিনি মারা যান। উল্লেখ্য, ওই প্রৌঢ়ের পরিজন ও পরিচিতদের মধ্যেও করোনার আশঙ্কায় কয়েকজন হাসপাতালে ভর্তি। তাঁদেরকে কোয়ারিন্টিনে রাখা হয়েছে।অন্যদিকে, করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন স্কটল্যান্ড ফেরত্ এক ছাত্রী। তিনি উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়ার বাসিন্দা। গত ১৯ মার্চ স্কটল্যান্ড থেকে মুম্বই হয়ে কলকাতায় পৌঁছন ওই তরুণী। দমদম থেকে তরুণীকে গাড়িতে করে নিয়ে বেলেঘাটা হাসপাতালে যান তাঁর বাবা। বেলেঘাটায় প্রায় ৩ ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে চিকিত্সক দেখিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ওই তরুণী। সেক্ষেত্রে লাইনে দাঁড়ানো অন্যান্যদেরও ভাইরাস ছড়ানোর সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না বলে চিকিৎসকদের দাবি।

হাসপাতালে ভর্তির পরেই লালারস সংগ্রহ করে নাইসেডে পাঠানো হয় নমুনা। শুক্রবার রাতেই পজিটিভ রিপোর্ট মেলে। বেলেঘাটা আইডি-তে ছাত্রীকে ভর্তি করানো হলেও, বাবা, গাড়ি চালক সহ পরিবারকে হোম কোয়ারেন্টিনের পরামর্শ দেওয়া হয়। যদিও স্থানীয়রা আতঙ্কের জেরে পরিবারকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার দাবি তোলে। এলাকায় চাপা উত্তেজনা রয়েছে।

স্থানীয়দের একাংশের দাবি, কলকাতায় ফিরে প্রথমে রাতে বাড়িতে আসেন ওই ছাত্রী। দেখা করেন বন্ধুর সঙ্গেও। যদিও, এই দাবির সঙ্গে পরিবারের দাবি মেলেনি। এলাকায় গুজব ছড়িয়েছে বলে দাবি পরিবার, পরিজনদের।
এরপরেই ওই তরুণীর বাবা, গাড়ি চালক ও পরিবারের ঘনিষ্ট বন্ধুকে বেলেঘাটায় নিয়ে আসা হয়।পরিবারের দাবি, হাবড়াতে গুজব ছড়িয়েছে। তরুণী যে বাড়ি গিয়েছিলেন তা কাউকে বলতে শোনা যায়নি। পরিবারকে হোম কোয়ারেন্টিনের পরামর্শ দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেন চিকিত্সকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!