এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > করোনা সামাল দিতে ভ্যাকসিন নিয়ে বড়োসড় পদক্ষেপ কেন্দ্রীয় সরকারের

করোনা সামাল দিতে ভ্যাকসিন নিয়ে বড়োসড় পদক্ষেপ কেন্দ্রীয় সরকারের


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দেশের করোনা পরিস্থিতি ক্রমশ মারাত্মক আকার ধারণ করছে। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি রাজ্যে লকডাউন ঘোষণা করেছে। আবার কয়েকটি রাজ্যে নাইট কার্ফু জারি হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, দেশে করোনার দ্বিতীয় ওয়েভ শুরু হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে  ভ্যাকসিন নিয়ে শুরু হয়েছে অনিশ্চয়তা। বিভিন্ন জায়গায় রাজ্যে ভ্যাকসিনের আকাল দেখা যাচ্ছে। অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গে চলছে নির্বাচন। বহু জায়গায় তৃণমূল নেত্রীকে বলতে শোনা গেছে, তিনি দীর্ঘদিন ধরে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আবেদন জানিয়ে আসছিলেন ভ্যাকসিন কিনে নেওয়ার জন্য।

দীর্ঘদিন কেন্দ্রীয় সরকার কিছু না বললেও এবার কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হলো ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী সংস্থা গুলির কাছ থেকে সরাসরি সমস্ত রাজ্য ভ্যাকসিন কিনে নিতে পারবে। সেক্ষেত্রে অবশ্য জানা গেছে মোট উৎপাদিত ভ্যাকসিনের 50% কেন্দ্রীয় সরকার পাবে, এবং বাকি 50% রাজ্য সরকার এবং খোলা বাজারে সরবরাহ করতে পারবে উৎপাদনকারী সংস্থাগুলি।

পাশাপাশি ভ্যাকসিনেনের দাম কত হবে তা নিয়ে সমস্ত পক্ষই আলোচনা করে তারপর ঠিক হবে। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য এবার নেওয়া হলো বড়োসড়ো পদক্ষেপ। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী 1 লা মে থেকে 18 বছরের উর্ধ্বে প্রত্যেককে করোনার ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।

তবে রাজ্য সরকারগুলিকে আগের মতোই সেন্ট্রাল ড্রাগ ল্যাবরেটরির মাধ্যমে ভ্যাকসিন সরবরাহ করা হবে বলে জানা গিয়েছে। কোন রাজ্যে কতজন আক্রান্ত হয়েছেন সেই অনুযায়ী ভ্যাকসিন সরবরাহ হবে। কেন্দ্রীয় সরকারের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে ইতিমধ্যে একাধিক রাজ্য অভিযোগ করেছিল, কেন্দ্রের থেকে ঠিকঠাকভাবে ভ্যাকসিন সরবরাহ না হওয়ায় রাজ্যজুড়ে ভ্যাকসিন সংকট তৈরি হয়েছে।

তবে সূত্রের খবর, ভ্যাকসিনের অনুমোদন দিলেও ভ্যাকসিন উৎপাদন করাই এই মুহূর্তে সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ। প্রথম থেকে যারা করোনার ভ্যাকসিন উৎপাদন করছে এই দেশে সেই সেরাম ইনস্টিটিউটের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বর্তমানে প্রতি মাসে সাড়ে ছয় কোটি ভ্যাকসিন উৎপাদন করা যাচ্ছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এই সংখ্যা যদি বাড়ানো যায় অর্থাৎ 10 কোটি উৎপাদন করতে গেলে এই মুহূর্তে তিন হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে হবে। সেক্ষেত্রে ভ্যাকসিন উৎপাদন বৃদ্ধিতে কিভাবে সেরাম ইনস্টিটিউটকে সাহায্য করা যায় তাই নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে আলোচনা শুরু হয়েছে। গত 16 জানুয়ারি থেকে দেশজুড়ে করোনার ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হয়েছিল।

প্রথম পর্যায়ে করোনার সামনের সারিতে থাকা যোদ্ধারা ভ্যাকসিন পেয়েছিলেন। দ্বিতীয় পর্যায়ে ষাট বছরের উর্ধ্বে এবং কো মর্বিডিটি যাদের রয়েছে, তাঁরা টিকা নিয়েছিলেন। এরপর 45 বছরের উর্ধ্বে যারা, তাঁদেরকে ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রক্রিয়া চালু হয়। তবে সেই প্রক্রিয়া চালু হতে না হতেই ভ্যাকসিনের আকাল দেখা যায়।

যথারীতি ভ্যাকসিন প্রদান বন্ধ হয়ে যায় বহু জায়গায়। তবে কেন্দ্রীয় সরকারের 18 বছরের উর্ধ্বে সবাইকে করোনার টিকা দেওয়ার ঘোষণায় পরিস্থিতি কিছুটা হলেও সামলানো যাবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। পাশাপাশি করোনা টেস্টও বাড়াতে হবে। অন্যদিকে ভ্যাকসিন নিলেও করোনা হবে না সে ব্যাপারে নিশ্চিত থাকা যাচ্ছেনা।

কারণ এখনও পর্যন্ত বেশ অনেকগুলি ঘটনা সামনে এসেছে, যেখানে নিয়ম মেনে ভ্যাকসিন গ্রহণ করলেও করোনা আক্রান্ত হয়েছে ব্যক্তি। তবে সেক্ষেত্রে ভয়াবহতা কিছুটা কম বলে জানা যাচ্ছে। আপাতত উদ্বেগের ফেলেছে সব মহলকে তবে সবার আগে মাক্স ব্যবহার করা যায় যে আবশ্যিক কার্য সেনা পারে নিশ্চিত করেছে বিশেষজ্ঞরা এবং চিকিৎসকরা

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!