নেতাজিকে নিয়ে দিলীপের আবেগঘন পোস্টে মেতে আমজনতা, চাপ বাড়ছে তৃণমূলের! তৃণমূল বিজেপি রাজনীতি রাজ্য April 19, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একদিকে ধর্ম এবং অন্যদিকে বহিরাগত ইস্যু নিয়ে এখন উত্তপ্ত বঙ্গ রাজনীতি। গেরুয়া শিবির বহিরাগত শব্দ দিয়ে বারবার আক্রমণ করতে শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর এই পরিস্থিতিতে একটি ফেসবুক পেজে রাম এবং সুভাষচন্দ্র বসুর কথা লিখে পোস্ট করে রীতিমত শোরগোল তুলে দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। মূলত, দিলীপ ঘোষ এই ফেসবুক পেজের মধ্যে দিয়ে মানুষের মন জয় করার চেষ্টা করলেন বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এক্ষেত্রে তৃণমূল কংগ্রেসের বহিরাগত শব্দকে নিজের পোস্টের মধ্যে দিয়ে আক্রমণ এবং খন্ডন করার চেষ্টা করেছেন দিলীপ ঘোষ বলে দাবি একাংশের। সূত্রের খবর, এদিন নিজের ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। আর সেখানেই তিনি লেখেন, “রামায়ণের সমস্ত পবিত্র সামান্য তৃণের বর্ণনাও পবিত্র। কিন্তু হায়! সেই পবিত্রতা আমরা ধর্মত্যাগী বলিয়া আর এখন বুঝিতে পারি না। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, পত্রাবলী। একমাত্র ধর্মত্যাগীরা শ্রীরামকে অপমান করার চেষ্টা করে। তাকে বহিরাগত বলে। নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর বাংলায় প্রভু শ্রী রামের অপমান বাঙালি সহ্য করবে!” স্বাভাবিক ভাবেই দিলীপ ঘোষের এই ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে এখন রীতিমত গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে। ইতিমধ্যেই বহু মানুষ তার এই ফেসবুক পোস্টে কমেন্ট এবং শেয়ার করতে শুরু করেছেন। মুহূর্তের মধ্যে তা ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। নানা মানুষ এক্ষেত্রে নানা প্রশ্ন করছেন। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - অনেকেই বলছেন, ধর্ম নিয়ে এত রাজনীতি কিসের? সারাক্ষণ মন্দির মসজিদ করছেন, সাত বছরে কটা হাসপাতাল করেছেন, সেটা বলুন! অন্যদিকে একজন লিখেছেন, সুভাষচন্দ্র বোস আরএসএস দেখলে পেটানোর নিদান দিয়েছিলেন। পাশাপাশি নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু কখনই সাম্প্রদায়িকতাকে সমর্থন করতেন না বলেও দাবি করেছেন এক ব্যক্তি। একাংশ বলছেন, পঞ্চম দফার নির্বাচনের পর “বহিরাগত” ইস্যুকে কেন্দ্র করে এখন রীতিমত সরগরম রাজ্য রাজনীতি। আর এই পরিস্থিতিতে দিলীপ ঘোষের এই পোস্ট যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। একাংশের মতে, বহিরাগত শব্দ এখন বিজেপিকে যথেষ্ট চাপে রেখেছে। তাই সেই পরিস্থিতিতে রাম এবং সুভাষ চন্দ্রের কথা তুলে ধরে বাংলার মনীষীকে হাতিয়ার করে তৃণমূলকে একহাত নিলেন দিলীপ ঘোষ। যার ফলে শাসকদল কিছুটা হলেও চাপের মুখে পড়ে যাবে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। আপনার মতামত জানান -