এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > বেআইনিভাবে জবরদখল হয়ে যাওয়া আবাসন খালি করতে মরিয়া রেল কর্তৃপক্ষ! উচ্ছেদ ঠেকাতে মরিয়া তৃণমূল

বেআইনিভাবে জবরদখল হয়ে যাওয়া আবাসন খালি করতে মরিয়া রেল কর্তৃপক্ষ! উচ্ছেদ ঠেকাতে মরিয়া তৃণমূল


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বনগাঁ শহরের ঢাকাপাড়া, সাহাপাড়া, বাবুপাড়া, আরএস মাঠ ইত্যাদি এলাকাতে বেশ কিছু রেল আবাসন রয়েছে। এই আসনগুলিতে বসবাস করছেন প্রায় ১০০ টি পরিবার। এই পরিবারগুলির কেউ এখানে বসবাস করছেন ২৫ বছর ধরে, কেউ বা ৩০ বছর ধরে। রেলের অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে বেদখল অবস্থায় পড়ে আছে এই আবাসনগুলি।

এবার রেলের পক্ষ থেকে এই আবাসনগুলিতে বসবাসকারী পরিবারগুলিকে আবাসন ছেড়ে দেবার নোটিশ দেওয়া হয়। রেলের নোটিসে বলা হয়, ৬ ই অক্টোবরের মধ্যে এই আবাসন গুলি খালি করে ফেলতে হবে, না হলে এর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে রেল। এবার এই আবাসন গুলিতে থাকা বিপন্ন পরিবারগুলির পাশে দাঁড়ালো তৃণমূল কংগ্রেস।

প্রসঙ্গত আবাসন ছেড়ে দেবার এই নির্দেশ পেয়ে মাথায় হাত পড়েছে দীর্ঘ সময় ধরে আবাসনে বসবাসকারী এই পরিবারগুলির। এই পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন যে, দীর্ঘ সময় ধরে তারা এখানে বসবাস করছেন। অনেকের জন্মও হয়েছে এখানে। তাঁরা বিদ্যুতের বিল মেটাচ্ছেন, দিচ্ছেন পুরসভার কর। তাছাড়া এই পরিবারগুলির কেউ-না-কেউ অতীতে রেলে চাকরি করতেন বলেই তারা এই আবাসন পেয়েছেন। তাই হঠাৎ করে আবাসন ছেড়ে চলে যাওয়া তাদের পক্ষে কার্যত অসম্ভব।

বিপন্ন এই পরিবারগুলির পক্ষ নিয়ে আন্দোলনে নামল তৃণমূল। এই পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করে ‘বনগাঁ রেল কোয়ার্টার কলোনি উচ্ছেদ কমিটি’ নামে এক কমিটি করেছে তৃণমূল। যার সভাপতি হয়েছেন, তৃনমূলের জনৈক প্রভাবশালী ও বনগাঁ পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের সদস্য শম্ভু দাস। এই কমিটির পক্ষ থেকে ৫ ই অক্টবর একটি স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে রেলকে। চলেছে বিক্ষোভ ও মিছিল।

এ প্রসঙ্গে সভাপতি শম্ভু দাসের বক্তব্য, ” রেল কর্তৃপক্ষকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, রেল আবাসনে বসবাসকারী পরিবারগুলিকে উচ্ছেদ করা যাবে না। উচ্ছেদ করতে হলে আগে পুনর্বাসন দিতে হবে। জমি-বাড়ি করে দিতে হবে। আমাদের দাবি মানা না হলে আন্দোলন চলবে।’’সম্প্রতি বনগাঁ শহরের নিউ বাটার মোড় এলাকায় বনগাঁ রেল কোয়ার্টার কলোনি উচ্ছেদ কমিটি ও বনগাঁ শহর তৃণমূলের পক্ষ থেকে একটি প্রতিবাদ সভা ও অবস্থান বিক্ষোভের আয়োজন করা হলো।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এই বিক্ষোভে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে সঙ্গে আবাসনের পরিবারের সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন। বিপন্ন এক পরিবারের সদস্য সুমি সাহার বক্তব্য, ” প্রায় ২১ বছর ধরে আমরা রেল আবাসনে বসবাস করছি। স্বামী হকারি করেন। লকডাউনে রুজিরোজগার বন্ধ। এখন উচ্ছেদ হলে পথে বসতে হবে। পুনর্বাসন ছাড়া আমরা আবাসন ছাড়ব না।’’

বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপির বিরুদ্ধে এমন একটি হাত গরম কিছু পেয়ে তার পূর্ণ সদ্ব্যবহার করতে চাইছে তৃণমূল, এমনটাই বিভিন্ন রাজনৈতিক মহলের ধারণা। তবে এ প্রসঙ্গে সিপিএমের প্রাক্তন কাউন্সিলর পার্থ সাহা তৃণমূলের বিরুদ্ধে দ্বিচারিতার অভিযোগ করে জানালেন যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন রেলমন্ত্রী ছিলেন, তখন তিনি আরএস মাঠে ইন্ডোর স্টেডিয়ামের ঘোষণা করেছিলেন।

সেসময় আবাসনের পরিবারগুলির উচ্ছেদের চেষ্টা করেছিল তৃণমূল, এখন করছে বিরোধিতা । তাঁর দাবি, রেল তার জমি, আবাসন নিশ্চই নিক, কিন্তু তার পূর্বে এই পরিবারগুলির পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে দিক। সিপিএম নেতা পার্থ সাহার এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বনগাঁ শহর যুব তৃণমূল সভাপতি প্রসেনজিৎ ঘোষের বক্তব্য, ” ইন্ডোর স্টেডিয়াম ঘোষণার পরে আমরা বলেছিলাম, পুনর্বাসন ছাড়া কাউকে উচ্ছেদ করা হবে না। রাজনীতিতে দেউলিয়া সিপিএমের স্মৃতিভ্রম হয়েছে।’’

অন্যদিকে এ প্রসঙ্গে বনগাঁ উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস জানিয়েছেন, “রেল আবাসনে থাকা পরিবারগুলির সঙ্গে কথা বলে তাঁদের মতামত নিয়ে রেলের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা মেটাতে পদক্ষেপ করব।’’ তবে রেলকর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে এখনো কোনো বিবৃতি দেয়নি। অন্যদিকে নোটিশ অনুযায়ী ৬ তারিখ পার হয়ে গেল এখনও পর্যন্ত আবাসনের পরিবারগুলির বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি রেল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!