এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > অতিমারীতে করুন ছবি, কলকাতায় করোনার হাহাকার! মৃত ডাক্তার, ১৬ লক্ষের বিল মিটিয়ে নিঃস্ব পরিবার

অতিমারীতে করুন ছবি, কলকাতায় করোনার হাহাকার! মৃত ডাক্তার, ১৬ লক্ষের বিল মিটিয়ে নিঃস্ব পরিবার


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – পশ্চিমবঙ্গে করোনা ভাইরাসের সক্রমণ দিন দিন বেড়েই চলেছে। ইতিমধ্যে পশ্চিমবঙ্গে ৭২ হাজারেরও বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, যাঁদের ১৬০০ জনের বেশি মানুষ এই রোগে প্রান হারিয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গে করোনায় সুস্থতার হার সন্তোষজনক হলেও, মৃত্যুর হারটিও কিন্তু কম ভয়াবহ নয়। সাধারণ মানুষ তো বটেই করোনা থেকে রেহাই মিলছে না সমাজের বিশিষ্টজনেদেরও। আর করোনা রোগীদের শুশ্রুষা করতে গিয়ে করোনাতে আক্রান্ত হয়ে পড়ছেন চিকিৎসকেরা । ঘটছে তাঁদেরও প্রাণহানি। সম্প্রতি করোনা রোগে প্রাণ হারালেন কলকাতার দমদমের জনৈক স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ।

সংবাদসূত্রে জানা গেছে, বহুকাল ধরে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ হিসেবে ছিলেন চিকিৎসক সীতাংশু শেখর পাঁজা। নিজের কর্মসূত্রে দমদমের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন তিনি। গত ২৬ সে জুন করোনার উপসর্গ নিয়ে তিনি দমদমের ওই বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি হন। লালারস পরীক্ষার পর তাঁর রিপোর্ট পসিটিভ আসে। শুরু হয় তাঁর চিকিৎসা।

নার্সিংহোম কতৃপক্ষের থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, সীতাংশু বাবুর শারীরিক অবস্থার ক্রমাবনতি ঘটতে থাকে। তাই তাঁকে শেষপর্যন্ত রাখা হয় ভেন্টিলেশনে। নার্সিংহোমের ভেন্টিলেশনে থাকার ফলে তাঁর মেডিক্যাল বিলের বোঝা ক্রমাগত বাড়তে শুরু করে। ২৫ দিনেরও বেশি চিকিৎসাধীন থেকে মোট ২৩ লক্ষ টাকা বিল হয় তাঁর। কিন্তু আসেনা কাঙ্খিত ফলাফল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তাঁর চিকিৎসায় হওয়া বিরাট বিল মেটাতে গিয়ে সর্বশান্ত হয়ে পরে তাঁর পরিবার। বিল মেটানো অসম্ভব হয়ে পরে তাঁর পরিবারের পক্ষে। শেষ পযন্ত রাজ্যের স্বাস্থ দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তাঁর পরিবার পরিজনেরা। সীতাংশু বাবু কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক হবার কারণে তাঁকে সেখানে ভর্তি করার দাবি জানানো হয়। শেষপর্যন্ত রাজ্যের স্বাস্থদপ্তর তাঁদের পশে এগিয়ে আসে।

স্বাস্থ দপ্তরের হস্তক্ষেপে বেসরকারি ওই নার্সিংহোমের বিলের পরিমান কিছুটা কম করে ২৩ লক্ষ থেকে ১৬ লক্ষ টাকা করা হয়। সেই সঙ্গে গত ২৪ সে জুলাই তাঁকে নার্সিংহোম থেকে স্থানান্তর করে ভর্তি করা কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতলে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত করোনার কাছে হার স্বীকার করেন চিকিৎসক সীতাংশু বাবু। গত শনিবার তাঁর মৃত্যু হয়।

ডাক্তার সীতাংশু বাবুর মৃত্যু সাধারণ মানুষকে বারবার ভাবাচ্ছে। করোনা রোগে আক্রান্ত হয়ে, বিলের বোঝা বইতে গিয়ে একজন চিকিৎসকের পরিবার যদি নিঃস্ব হয়ে পরে। অর্থাভাবে যদি একজন চিকিৎসক বেসরকারি হাসপাতাল ছেড়ে সরকারি মেডিক্যালে ভর্তি হতে বাধ্য হন, আর এতো করেও সামর্থ না হন নিজের প্রাণ রক্ষায় । তবে সাধারণ, মানুষের জন্য কেমন পরিস্থিতি অপেক্ষা করে আছে?

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!